সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার বড়দলে মারপিটে এক মুক্তিযোদ্ধা সন্তানের মৃত্যু প্রকাশিত: ৬:৪৮ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ৫, ২০১৯ | আপডেট: ৭:১৯:অপরাহ্ণ, এপ্রিল ৬, ২০১৯ সাতক্ষীরা সংবাদদাতা: জেল থেকে বাড়ি ফেরার দিনে মিষ্টি খাবার কথা বলে ডেকে নিয়ে গিয়েছিল প্রতিবেশি কয়েক যুবক। আর তারাই তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে পিটিয়ে আহত করে। এ ঘটনার ১০ দিন পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেল মুক্তিযোদ্ধা সন্তান যুবলীগ নেতা তৌহিদুল ইসলাম তৌহিদ সানা। তবে, পুলিশ বলছে তার বিরুদ্ধে ২২ টি মাদক মামলা রয়েছে। এদিকে, হত্যার ঘটনায় তার বোন রিনা রহমান ছয়জনকে আসামি করে থানায় একটি মামলা দিয়েছেন। তৌহিদ সানা আশাশুনি উপজেলার বড়দল গ্রামের প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধা সিদ্দিক সানার ছেলে। বৃহস্পতিবার রাতে খুলনা একটি হাসপাতাল থেকে তার লাশ নিজ বাড়ি বড়দল গ্রামে নিয়ে আসা হয়। এ সময় সেখানে এক হৃদয় বিদারক দৃশ্যের অবতারনা ঘটে। পুলিশ লাশটি ময়না তদন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। স্থানীয়রা জানান, ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সভাপতি তৌহিদ সানার বিরুদ্ধে থানায় একটি মাদক মামলা হয়। এই মামলায় মাস তিনেক আগে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গত ২৬ মার্চ জামিনে জেল থেকে মুক্ত হন তৌহিদ। তার স্বজনরা জানান, বাড়ি ফেরার পর তৌহিদ বড়দল বাজারের একটি দোকানে বসে ছিলেন। এ সময় তার চাচাতো ভাই টুটুল সানা সন্ধ্যার দিকে তাকে মিষ্টি খাওয়ানোর কথা বলে তার অফিসে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর পর সেখান থেকে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি নাহিদ রানা ওরফে বাবু সানা, তার সহযোগী কাজল সানা, আইউব আলি মালি ও ইয়াসিন সরদারসহ ৫/৬ জন সেখান থেকে তাকে জনৈক খোকনের দোকানে নিয়ে তার ওপর হামলা করে। তারা তাকে লোহার রড, হাতুড়ি ও লাঠিসোটা দিয়ে বেপরোয়াভাবে মারপিট করতে থাকে। জীবন বাঁচাতে তৌহিদ দৌড়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল আলিমের সহযোগিতা চান। এরপর সে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে চিকিৎসার জন্য দ্রুত নিয়ে যাওয়া হয় খুলনার একটি বেসরকারি হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার তার মৃত্যু হয়। তার স্বজনরা আরো জানান, তৌহিদ মাদকসেবী কাজল সানাকে পুলিশে ধরিয়ে দিয়েছিল বলে তারা দাবী করে। এতে তাদের অনেক টাকা খরচ হয়েছে এবং সেই টাকা ফেরত দেওয়ার দাবি করে। তারই প্রেক্ষিতে বাবু সানা, কাজল সানা ও টুটুল সানাসহ ৫/৬জন তার উপর ক্ষিপ্ত ছিল। তারাই তাকে পিটিয়ে হত্যা করেছে। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে আশাশুনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার নাথ জানান, তৌহিদ সানা ২২ টি মাদক মামলার আসামি। গত বছর অক্টোবর মাসে সে গ্রেফতার হবার পর গত ২৬ মার্চ জামিনে বাড়ি আসে। এ দিন তাকে কয়েকজন যুবক পিটিয়ে আহত করে। ওসি আরও জানান, এ ঘটনায় নিহত তৌহিদের বোন রিনা রহমান বাদী হয়ে ৬ জনকে আসামী করে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। নিহতের লাশ ময়না তদন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। 12.45/s.g/sat মারপিটসাতক্ষীরার আশাশুনি সংবাদটি ২৮৫ বার পড়া হয়েছে আপনার মতামত লিখুন : আরও পড়ুন দেবহাটায় ট্রলি চাঁপায় এক স্কুল ছাত্রী নিহত নির্যাতিতদের নিয়ে সরকার গঠন হবে: তারেক রহমান