চুকনগরে ১৪৪/১৪৫ ধারা ভঙ্গ করে এতিমের জমি জোরপূর্বক দখল করে নেয়ার অভিযোগ প্রকাশিত: ৭:০৮ অপরাহ্ণ, মে ২৯, ২০২০ | আপডেট: ৭:০৮:অপরাহ্ণ, মে ২৯, ২০২০ খুলনা ডুমুরিয়া উপজেলার চুকনগরে এক এতিমের জমি জোরপূর্বক দখর করে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এঘটনায় জমিটি ফিরে পাওয়ার জন্য দ্বারে দ্বারে ঘুরেও কোন প্রতিকার পাচ্ছে না প্রকৃত জমির মালিক। গত ২৬/০৫/২০২০ইং তারিখে সকাল বেলায় তিনি ১৪৪/১৪৫ ধারা অমান্য করে দোকানের তালা ভেঙ্গে তার ক্রয়কৃত জমিটি জোরপূর্বক দখল করে নেয়া হয়েছে। জমির কাগজপত্র পর্যালোচনা করে দেখা যায়, চাকুন্দিয়া মৌজায়, যার জেএল নং-৯০, ১৮৯নং সিএস খতিয়ানে ২৩শতক জমির মালিক মৃত ফটিক শেখের পুত্র মৃত দায়েম শেখ। দায়েম শেখ এক পুত্র জোনাব আলী শেখ, দুই কন্যা আয়েশা বিবি ও ফাতেমা বিবি এবং স্ত্রী বিলুজান বিবিকে রেখে মারা যান। সে অনুযায়ী উত্তরাধিকার সূত্রে এক পুত্র জোনাব আলী শেখ ১০শতক, দুই কন্যা আয়েশা বিবি ৫শতক ও ফাতেমা বিবি ৫শতক এবং স্ত্রী বিলুজান বিবি ৩শতক জমির মালিক হন। জোনাব আলী শেখের মূত্যুর পর পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত ১০শতক জমি তার চার পুত্র আবুল কাশেম শেখ, আবুল আজাদ, আবু সাঈদ ও আবু শাহামা হিস্যা অনুযায়ী ০১৭৫শতক জমি মালিক হন, দুই কন্যা রোকেয়া বেগম ও মনোয়ারা বেগম ০৮৭৫০শতক এবং স্ত্রী নুরজাহান বিবি-১ ১/৪ শতক জমির মালিক হন। এরপর ২৫/০৯/১৯৯৬ সালে ৪৭২৭ নং দলিল মূলে আয়েশা বিবি ও ফাতেমা বিবি প্রাপ্য দুই জনের ১০শতক জমি ক্রয় করেন জোনাব আলী শেখের চার পুত্রের মধ্যে শুধমাত্র আবু শাহামা বাদে তিন পুত্র আবুল কাশেম শেখ, আবুল আজাদ ও আবু সাঈদ। এতে তাদের তিনজনের অংশে জমির পরিমান হয় ০৫০৮শতক। যেহেতু তিনি কোন জমিক্রয় করেননি সেহেতু আবু শাহামার পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত জমি ০১৭৫শতক থেকে যায়। এদিকে মৃত অমেদালী মোড়লের পুত্র আব্দুস সালাম মোড়ল ০২/১১/১৯৮৬ সালে ৬২৯৮নং দলিল মূলে মৃত দায়েম শেখের স্ত্রী বিলুজান বিবির প্রাপ্ত ৩শতক জমি এবং ২৫/০৯/১৯৯৬ সালে ৪৭৩০নং দলিল মূলে জোনাব আলী শেখের তিন পুত্র আবুল কাশেম শেখ, আবুল আজাদ ও আবু সাঈদের সমুদয় সম্পত্তি ক্রয় করে। এতে আব্দুস সালাম মোড়লের ক্রয়কৃত জমির পরিমান হয় ০২১৭৫শতক। বাকী থেকে যায় শুধুমাত্র আবু শাহামার ০১৭৫শতক জমি। এরপর ০৬/০৭/১৯৯৭ সালে ৩৪৫৬ নং দলিল মূলে আবু শাহামা তার অংশ চাকুন্দিয়া গ্রামের এজাহার আলী (বজর) পুত্র শহিদুল ইসলাম গাজীর কাছে বিক্রয় করেন। উক্ত দলিলে স্পষ্ট উল্লেখ করা আছে শহিদুল ইসলাম তার ক্রয়কৃত সম্পত্তিটি মোট ২৩শতক সম্পত্তির মধ্য হতে পূর্ব পশ্চিম লম্বা ও উত্তর শেষ সীমানা বরাবর ভোগ দখল করিবে। এরপর শহিদুল ইসলাম গাজী আবার ২৮/০৩/২০০০ সালে ১৮৩৯নং দলিল মূলে আবুল কাশেমের নিকট জমিটি বিক্রয় করে। সর্বশেষ ঐ একই জমি আবুল কাশেম তার ক্রয়কৃত জমি মৃত হাবিবুর রহমান মলঙ্গীর পুত্র হাসান আলী মলঙ্গী ্ওরফে আলী হাসান এর কাছে বিক্রয় করে। হিসাব অনুযায়ী দেখা যায় মূলত্র হাসান আলী ০১৭৫শতক জমির মালিক এবং তিনি পূর্ব পশ্চিম লম্বা ও উত্তর শেষ সীমানা বরাবর জমিটি ভোগ দখল করিবে। কিন্তু বর্তমানে আদালতে তার আবেদনের প্রেক্ষিতে ১৪৪/১৪৫ ধারা অমান্য নিজেই অমান্য করে গত ২৬/০৫/২০২০ ইং তারিখে আব্দুস সালামের ক্রয়কৃত জমিটি জোর পূর্বক দখল করে বসে আসে। এ ব্যাপারে হাসান আলী বলেন, তার ক্রয়কৃত সম্পত্তি তিনি দখল করেছেন। সংবাদটি ৪০০ বার পড়া হয়েছে আপনার মতামত লিখুন : আরও পড়ুন চুকনগরে চিংড়িতে অপদ্রব্য পুশ করায় ভ্রাম্যমান আদালতে জরিমানা চুকনগরে ইঞ্জিন ভ্যান চালাতে গিয়ে ৬ বছরের শিশুর করুন মৃত্যু