চুকনগরে করোনা ভাইরাস আতংঙ্কে এনজিও’র কিস্তি দেয়া নিয়ে বিপাকে পড়েছে গ্রাহকরা প্রকাশিত: ৯:১৮ অপরাহ্ণ, মার্চ ২৩, ২০২০ | আপডেট: ৯:১৮:অপরাহ্ণ, মার্চ ২৩, ২০২০ গাজী আব্দুল কুদ্দুস, চুকনগর(খুলনা): চুকনগরে করোনা ভাইরাস আতংঙ্কে কোন কাজকর্ম না থাকায় এনজির কিস্তি দেয়া নিয়ে বিপাকে পড়েছে গ্রাহকরা। বিভিন্ন এনজিও প্রতিষ্ঠান থেকে লোন নেওয়া লোক গুলো একদিকে করোনা আতংঙ্ক অন্যদিকে সমিতির কিস্তি আতংঙ্কে হতাশ হয়ে পড়েছে। অনেকে কিস্তির ভয়ে পালিয়ে পালিয়ে বেড়িয়ে কিস্তি দেয়া থেকে কোনক্রমেই রেহাই পাচ্ছে না। তাই সমিতির কিস্তি আদায় বন্দ করার জন্য বাংলাদেশ সরকার সহ সকল পর্যায়ের উদ্ধোর্তন কর্তৃপক্ষের পক্ষের কাছে জোর দাবি জানিয়েছে ডুমুরিয়ার মানুষ। তাদের দাবি এটা একটি জাতীয় সমস্যা। এ সমস্যার আপাতত একটা সমাধান না হলে বেঁচে থাকায় কঠিণ হয়ে পড়বে। ঋণ নেয়া ব্যক্তিদের দাবি, সারা বিশ্বের ন্যায় বাংলাদেশে মানুষ করোনা ভাইরাসে আতংঙ্ক হওয়া নিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছে। ইতোমধ্যে ২জনের মূত্যুর ঘটনায় মানুষিকভাবে আরো ভেঙ্গে পড়েছে তারা। ফলে খেটে খাওয়া মানুষ গুলোর কাজকর্ম একেবারে নেই বললেই চলে। বেচাকেনা না থাকায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গুলো বন্ধ হওয়ার উপক্রম প্রায়। ইতোমধ্যে সরকারীভাবে করোনা আতংঙ্ক হতে রেহাই পাওয়ার জন্য দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, কোচিং সেন্টার, এক জেলা মানুষ অন্য জেলায় যাওয়া আসা, হাট বাজারে প্রয়োজন ছাড়া চলাচল করা, একাধিক ব্যক্তি এক স্থানে বসে কোন আলোচনা না করা ইত্যাদি বিষয়ের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। একারণে সারা দেশের ন্যায় ডুমুরিয়ার মানুষ করোনা ভাইরাস থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য বাইরে গিয়ে কাজকর্ম করা তো দূরের কথা বাড়ি থেকে হতে সাহস পাচ্ছে। এক কথায় বলা যায় জনজীবন স্তিমিত হয়ে পড়েছে। কিন্তু অবিশ্বাস্য হলেও সত্য এ অঞ্চলের এনজিও প্রতিষ্ঠান গুলোর কার্যক্রম থেমে নেই। তারা তাদের কিস্তি আদায়ের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রেখেছে। এনজিও কর্মীরা এতোই নাছোড়বান্দা যে এই দূরঅবস্থার ভিতরেও কোনক্রমেই কিস্তির টাকা না নিয়ে বাড়ি থেকে বের হচ্ছে না। এক কথায় কিস্তি আদায়ের জন্য তারা গ্রামে গ্রামে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে।এতে করে সাধারণ মানুষ পড়েছে বিপাকে। করোনার ভয়ে বাড়িতে গৃহবন্দী থাকার কারণে সপ্তাহ এলেই সমিতির কিস্তি দেয়া কঠিন হয়ে পড়েছে ঋণ নেয়া মানুষ গুলো। ইতোমধ্যে অনেকে গরু ছাগল ব্ক্রিয় করে কিস্তির টাকা দিয়েছে। তাই সরকারের প্রতি ডুমুরিয়া বাসীর দাবি এটা একটা জাতীয় সমস্যা মনে করে সকল ধরণের কিন্তি আদায় বন্দ করে দেয়া হোক। বাদুড়িয়া গ্রামের রহমান গাজী, রমজান বিশ্বাস, গোবিন্দ সরকার, মোহাম্মদ সরকার, কাঞ্চনপুর গ্রামের আইয়ুব আলী মাহামুদ বলেন, সপ্তাহ এলেই সমিতির লোকেরা কিস্তির জন্য বাড়িতে এসে ধন্যা দিচ্ছে। যতক্ষন টাকা দেয়া না হচ্ছে ততক্ষন বাড়ি থেকে নামছে না। অধ্যক্ষ এম এম রুহুল আমীন ও প্রভাষক হাফিজুর রহমান বলেন, যে দেশের মানুষ জীবন মূত্যুর সন্ধিক্ষণে সে দেশে সমিতির লোকেরা কিস্তি আদায় করার জন্য বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে ঋণ নেয়া বক্তিতে পাগল করে দিচ্ছে। এটা কোনক্রমেই মেনে নেওয়া যায় না। সুন্দরবনটাইমস.কম/নিজস্ব প্রতিবেদক সংবাদটি ২৬০ বার পড়া হয়েছে আপনার মতামত লিখুন : আরও পড়ুন চুকনগরে চিংড়িতে অপদ্রব্য পুশ করায় ভ্রাম্যমান আদালতে জরিমানা চুকনগরে ইঞ্জিন ভ্যান চালাতে গিয়ে ৬ বছরের শিশুর করুন মৃত্যু