গুনাকরকাটি টু তেঁতুলিয়া সড়কে ভাঙ্গন রোধে ৭মাসেও উদ্যোগ নেওয়া হয়নি

প্রকাশিত: ৮:২২ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২৮, ২০২০ | আপডেট: ৮:২২:অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২৮, ২০২০

নিজস্ব প্রতিবেদক, আশাশুনি(সাতক্ষীরা):
আশাশুনি উপজেলার কুল্যা ইউনিয়নের গুনাকরকাটি টু তেঁতুলিয়া কার্পেটিং সড়কে ভাঙ্গন চললেও প্রতিকারে কোন উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। গত বছর জুলাই মাস থেকে ভাংতে থাকা সড়কটি নিয়ে পত্র-পত্রিকায় রিপোর্ট করা হয় ২৩ সেপ্টেম্বর। কিন্তু কোন কাজ না হওয়ায় ভাঙ্গনক্রিয়া চলতে থাকায় সড়কটি ভয়াবহ আকার ধারণ করতে চলেছে।

সোহাগ মাল্টিমিডিয়া এন্ড ট্র্যাভেলস

গুনাকরকাটি তথা বাহাদুরপুর গ্রাম হতে গাবতলা হয়ে তেঁতুলিয়া বাজার পর্যন্ত পানি উন্নয়ন বোর্ডের বাঁধের উপর দিয়ে কার্পেটিং সড়ক নির্মান করা হয়েছে। এলাকার হাজার হাজার মানুষের যাতয়াতের কথা বিবেচনা করে সড়কটি নির্মান করা হয়। প্রতিদিন শত শত যানবাহন এই সড়ক দিয়ে চলাচল করে থাকে। ফলে সড়কটি খুবই ব্যস্ত সড়কে পরিণত হয়েছে। সড়কের বাহাদুরপুর এলাকায় মৃত নূর আলি গাজীর পুত্র ছালেক গাজীর বাড়ির কাছে সড়ক বা বাঁধের ভেতরে ঘোগা (ছিদ্র) হয়ে ২/৩টি স্থান দিয়ে প্রতিনিয়ত বেতনা নদীর লবণ পানি ভিতরে ঢুকছে। একই ভাবে সামান্য দূরে মৃত বাবুরাম পরামান্যের পুত্র মধুসুদন পরামান্যের বাড়ির কাছে ওয়াবদার বাঁধ বা সড়কের মধ্যে বড় ধরনের ঘোগা (ছিদ্র) হয়ে লবণ পানি ভিতরে ঢুকছে। ফলে সড়কের কয়েক হাত কার্পেটিং ও ইট-মাটি ধ্বসে গিয়েছে। ছিন্দ্র দিয়ে সব সময় পানি ভিতরে ঢুকছে। স্থানীয়রা মাটি, বস্তা, গাছের ডাল দিয়ে ছিদ্র (ঘোগা) আটকানোর চেষ্টা করে আসলেও রক্ষা করা সম্ভব হয়নি। বর্তমানে ভাঙ্গন বেশ বড় হয়েছে। সড়কের ভাঙ্গনের বাইরে কিছু অংশ ডেবে গেছে। এভাবে চলতে থাকলে দ্রুতই পুরো সড়ক বা বাঁধ ভেঙ্গে যেতে পারে। ফলে এলাকার হাজার হাজার বিঘা জমির ধানসহ অন্য ফসল ও মাছ, ঘরবাড়ি প্লাবিত হতে পারে। উপজেলা প্রকৌশলী আক্তার হোসেন বলেন, নিউজ বেরোনোর পর ঘের মালিককে মাটি দিয়ে ঘোগা বন্ধ করার কথা বলা হয়েছিল। এখনো করেননি। এব্যাপারে আবারও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সুন্দরবনটাইমস.কম/ডেক্স

 


আপনার মতামত লিখুন :

নিজস্ব প্রতিবেদক