কেশবপুরে হুমকির মুখে বুড়িভদ্রা নদীর দু’কুলের শত শত বিঘা জমির পাট প্রকাশিত: ৪:০১ অপরাহ্ণ, জুলাই ২১, ২০২০ | আপডেট: ৪:০১:অপরাহ্ণ, জুলাই ২১, ২০২০ যশোরের কেশবপুরে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বাঁধের কারণে হরিহর নদীর উজানের পানি বুড়িভদ্রা নদীতে ঢুকে দু’কুল প্লাবিত হয়ে শত শত বিঘা জমির পাট হুমকির মুখে। এছাড়া এ বছর মৌসুমী বায়ুর আগাম প্রভাবে বিল এলাকার পাট ক্ষেত জলাবদ্ধ হয়ে রয়েছে। ফলে চলতি মৌসুমে পাটের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। এদিকে আমন ধান ও শাক সবজি ক্ষেত নষ্ট হয়ে গেছে। উপজেলা কৃষি অফিস জানায়, চলতি বছর এ উপজেলায় ৪ হাজার ১’শ হেক্টর জমিতে পাট চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। মৌসুমের শুরুতেই আগাম বৃষ্টিপাত হওয়ায় কৃষকরা উঁচু জমিসহ নিন্মাঞ্চলের জমিতে পাটের আবাদ করায় লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে ৪’শ হেক্টর বেশী জমিতে পাটের আবাদ করে। আগাম বৃষ্টিপাতের কারণে কৃষকরা পাটের ভালো ফলন আশা করছিল। অপরদিকে, বুড়িভদ্রা নদীর দু’কুল দিয়ে প্রতি বছর শত শত বিঘা জমিতে পাটের আবাদ হয়ে থাকে। যা এ বছরও অব্যাহত রয়েছে। কিন্তু গত ৩ বছর ধরে এ উপজেলার জলাবদ্ধতা নিরসনে ৩টি নদীসহ সংযোগ খাল পুনর্খননে প্রায় ৫০ কোটি টাকার প্রকল্প বাস্তবায়নে কাজ করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। নদী-খাল খননের স্বার্থে হরিহর নদীর জিরো পয়েন্টে পাওবো বাঁধ দিয়ে পানি নিষ্কাশন বন্ধ করে দিয়েছে। ফলে হরিহর নদীর উজানের পানি বুড়িভদ্রায় ঢুকে দু’কুল প্লাবিত হচ্ছে। যে কারণে এ নদীর দু’কুলের পাট ক্ষেতে কোমর সমান পানি জমে গেছে। এ অবস্থায় পাটের ভালো ফলন হবে কিনা তা নিয়ে কৃষকরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন। কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, এ উপজেলার কৃষকরা সাধারণতঃ উঁচু এলাকার জমিতে ১৫ চৈত্র থেকে পাটের বীজ বপণ শুরু করেন। নিন্মাঞ্চলের জমিতে বোরো ধান ঘরে তোলার পর ২০ বৈশাখ পর্যন্ত পাটের বীজ বপণ কার্যক্রম চলে। কিন্তু এ বছর মৌসুমী বায়ুর আগাম প্রভাবের ফলে ঘন ঘন বৃষ্টিপাত শুরু হয়। যার কারণে উঁচু এলাকার পাট ক্ষেতে আগাছার প্রকোপ দেখা দেয়। এতে গেল বছরের তুলনায় এ বছর পাটের উৎপাদন খরচও বেড়ে যায়। সকল পরিচর্যার পর কৃষক পাটের ভালো ফলন আশা করছিল। এ সময় ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে নিন্মাঞ্চলের পাট ক্ষেতে হাটু পানি জমে পাট নষ্ট হয়ে যায়।ফলে পাটের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মহাদেব চন্দ্র সানা বলেন, পাটের বাড়ন্ত সময়ে গোড়ায় পানি জমে গেলে পাটের গ্রোথ হয় না। এতে ফলন বিপর্যয়ের সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়াও আমন ধান ও বিভিন্ন জাতীয় শাক সবজি পানিতে ডুবে নষ্ট হয়েছে। এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মুন্সি আছাদুল্লাহ বলেন, নদী খননের স্বার্থে বাঁধ দেয়া হয়েছিল। পানি উন্নয়ন বোর্ডের টাস্কফোর্স নদী খনন এলাকা পরিমাপ করছে। আগামী ২৩ জুলাই অল্প করে বাঁধ খুলে দেয়া হবে। তখন আর পানি থাকবে না। সংবাদটি ৫৪৯ বার পড়া হয়েছে আপনার মতামত লিখুন : আরও পড়ুন কেশবপুরে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় বৃষ্টিতে বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত আজ মধু কবির ১৯৯তম জন্মবার্ষিকী, সাগরদাঁড়িতে সপ্তাহব্যাপী মধুমেলা শুরু