কেশবপুরে হামজা ব্রিকসে সরকারি নিয়ম উপেক্ষা, জনদূর্ভোগসহ ফসলি জমি ক্ষতিগ্রস্থ প্রকাশিত: ৯:১০ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২, ২০২০ | আপডেট: ৯:১০:অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২, ২০২০ যশোরের কেশবপুরের আগরহাটি নামকস্থানে ঘন বসতিপুর্ণ এলাকায় সরকারি নিয়ম নীতি উপেক্ষা করে ‘হামজা ব্রিকস’ নামে একটি ইট ভাটা পরিচালনা করায় বায়ু দুৃষনের পাশাপাশি ফসলি জমি মারাত্মক ভাবে ক্ষতি গ্রস্থ হচ্ছে। কয়লা দিয়ে ইট পোড়ানোর নির্দেশনা থাকলেও দেদারসে কাঠ পোড়ানোর অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগি এলাকার মানুষ। কেশবপুর উপজেলার আগরহাটি মৌজাস্থিত জমিতে আইন অমান্য করে দীর্ঘদিন যাবৎ ইট ভাটার কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন স্থানীয় কতিপয় স্বার্থলোভি মানুষ। কেশবপুর উপজেলার গৌরিঘোনা ইউনিয়নের ১৩৮নং আগরহাটি মৌজায় সাবেক দাগ ২১২ ও ২১৪ আর.এস খতিয়ান নং ২৪৪, হাল দাগ নং ৩৩৩ ও ৩৩৭ তার মধ্যে মোট ১০৬ শতাংশ জমি সহ তৎসংলগ্ন মোট ১৫ একর জমিতে অবৈধভাবে ইট ভাটা নির্মাণ করে আসছে। জানা যায় যে, খুলনা সিটি কর্পোরেশনের খালিশপুর থানার ৫২ আপ্যায়ন কমিউনিটি সেন্টার পুরাতন যশোর রোডের মৃত আবদুর রশিদ মিয়ার দুই ছেলে হুমায়ুন কবির ও আবদুল হাই বাহার অবৈধভাবে ‘হামজা ব্রিকস’ নামে একটি ইটভাটা উক্ত এলাকায় স্থাপন করে ইট পোড়ানোর জন্য কোন কয়লা ব্যবহার না করে নির্বিচারে গাছ কেটে ইট উৎপাদন করে আসছে। ফলশ্রুতিতে যশোর ও খুলনা জেলা পাশাপাশি হওয়াতে ইট পোড়ানো ধুয়াতে মারাত্মক পরিবেশ দূষণ সৃষ্টি এবং কৃষকের ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। সারা দিন-রাত কোন সময়ই এই দুঃসহ অবস্থা হতে মুক্তি পাওয়ার সুযোগ নেই। নভেম্বর-ডিসেম্বর থেকে আবহাওয়া শুষ্ক হওয়া শুরু হলে শীতকাল আসলে ধূয়া-ধুলায় দূষণও বাড়তে থাকে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ২০১৯ সালের ১০টি স্বাস্থ্য ঝুঁকি চিহ্নিত করেছে। তার মধ্যে একটি ঝুঁকি হলো বায়ু দূষণ এবং জলবায়ু পরিবর্তন। বায়ু দূষণের কারণে শিশুদের স্বাভাবিক শ্বাস-প্রশ্বাস বিঘিœত হওয়ার পাশাপাশি নানা জটিলতা খুঁজে পেয়েছেন একদল গবেষক। বিশেষজ্ঞদের মতে ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০১৩ অনুযায়ী ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপনের জন্য ৪ ধারা অনুযায়ী লাইসেন্স ব্যতীত ইট প্রস্তুত নিষিদ্ধ। ইটভাটা স্থাপনের জন্য জেলা প্রশাসক ও পরিবেশ অধিদপ্তর হতে ছাড়পত্র প্রয়োজন। কিন্তু ছাড়পত্র ছাড়া ‘হামজা ব্রিকস’ ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন করেছে যা সম্পূর্ণ বে-আইনী ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ। যেখানে ইটভাটা প্রস্তুত করেছে সেখানে আবাসিক এলাকা, জলাভূমি, কৃষি জমি, পরিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা, বাগান, ব্যক্তি মালিকানা বন আছে। স্থাপিত ইটভাটার কারণে তৎসংলগ্ন এলাকায় পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্য হুমকির সম্মুখীন হয়েছে। বায়ু দুষণ রোধে সরকারের হস্তক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগি এলাকাবাসি। জমির মালিক কৃষক শিমুল বিশ্বাস অভিযোগ করে বলেন, ‘হামজা ব্রিকস’ নামক ইট ভাটাটি আবাসিক এলাকায় নির্মাণ করা হয়েছে। বায়ু দূষণের কারণে এলাকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মসজিদ, মাদরাসা, হাট-বাজার ও ফসলের জমিও নষ্ট হচ্ছে। শ্বাসকষ্ট থেকে শুরু করে শরীরে বাসা বাঁধছে ক্যান্সারসহ রোগবালাই। জোর পূর্বক তার ফসলি জমিতেও ভাটার কাজ করছে। ইট ভাটা মালিক সরকারি কোন নির্দেশনা মানছেন না। তিনি প্রশাসনের দৃষ্টি কামনা করেছেন। এ বিষয়ে ইট ভাটা মালিক আবদুল হাই বাহার বলেন, ওই শিমুল বিশ্বাস ছাড়া অন্যরা তাকে ডিড করে দিয়েছেন। শিমুল বিশ্বাসকে হারির টাকা নেয়ার জন্য বারবার খবর দেয়া হলেও তিনি আসছেন না। বিধায় তার জমিতে ভাটার কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে। তিনি অহেতুক আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করে চলেছেন। সংবাদটি ৩৯৫ বার পড়া হয়েছে আপনার মতামত লিখুন : আরও পড়ুন কেশবপুরে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় বৃষ্টিতে বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত আজ মধু কবির ১৯৯তম জন্মবার্ষিকী, সাগরদাঁড়িতে সপ্তাহব্যাপী মধুমেলা শুরু