কপিলমুনি হরিদাশকাটি সঃ প্রাঃ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খলিল নিজের স্কুল ফেলে গোলাবাটি সঃ প্রাঃ বিদ্যালয়ে অবাধ যাতায়াত; সমালোচনা তুঙ্গে! প্রকাশিত: ৬:০৬ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১৬, ২০১৯ | আপডেট: ৬:০৬:অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১৬, ২০১৯ নিজস্ব প্রতিবেদক, কপিলমুনি(খুলনা): পাইকগাছা উপজেলার সলুয়া গোলাবাটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অবাধ যাতায়াত অন্য স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোঃ খলিলুর রহমানের। এ ঘটনায় স্কুল ফাঁকি দিয়ে তার এমন অবাধ যাতায়াত ভাল চোখে দেখছে না এলাকাবাসী। যা নিয়েও কমিটি ও অভিভাবকদের মাঝে রীতিমত প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। প্রশ্ন উঠেছে, কি কারণে শিক্ষক খলিলুর রহমান নিজের স্কুল ফেলে তিনি সলুয়া গোলাবাটি স্কুলে সময় ব্যায় করছেন? তিনি কেনই বা আসেন? উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে আসেন? না অসৎ উদ্যেশ্যে আসা-যাওয়া করেন। নাকি তিনি কোন মহৎ উদ্দেশ্য নিয়েই প্রতিষ্ঠানের দরদে বারবার ছুটে এখানে আসেন? এমন বিভিন্ন প্রশ্নের কোন উত্তর নেই কারও কাছে। যা একের পর এক বিতর্কে রূপ নিচ্ছে। অথচ খলিলুর রহমান একই ইউনিয়নের হরিদাশকাটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বলে জানাগেছে। তিনি প্রায়ই স্কুল ফাঁকি দিয়ে দীর্ঘ দেড় কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে সলুয়া গোলাবাটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আসেন? এলাকাবাসীর এমন অভিযোগের ভিত্ত্বিতে মঙ্গলবার সরেজমিন গিয়ে দেখাযায় তার অনাকাঙ্খিত উপস্থিতি! প্রধান শিক্ষক খলিলুর রহমান অফিস রুমে মোবাইল চার্জ দেওয়ার নামে পায়চারী করছেন। পরিচয় জানতে চাইলে খলিলুর রহমান নিজেকে হরিদাশকাটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বলে দাবী করেন।কি কারণে তিনি এখানে এসেছেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মোবাইল চার্জ দেওয়ার জন্য এখানে এসেছেন তিনি। তাৎক্ষনিক বিষয়টির এমন উত্তর রহস্যজনক বলে মনে হয়। কারণ হিসাবে জানাগেছে, সলুয়া গোলাবাটির বিদ্যুৎ লাইনটি সরাসরি হরিদাশকাটির সাথে যুক্ত। সে ক্ষেত্রে গোলাবাটি বিদ্যুৎ থাকলে হরিদাশকাটিতে বিদ্যুৎ থাকার কথা বলে জানান স্থানীয়রা। পরে প্রতিনিধির উপস্থিতি আঁচ করতে পেরে ছিটকে পড়েন শিক্ষক খলিলুর রহমান। স্কুলের সহকারী শিক্ষক শিবাজিৎ জানান, উনি মাঝেমধ্যে আসেন। কি জন্য আসেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, উনি একজন প্রধান শিক্ষক তাই আমরা সেদিকে খেয়াল রাখিনা। আমরা সহকারী শিক্ষকরা ছাত্রছাত্রীদের পাঠদানে ব্যাস্ত থাকি। এটা প্রধান শিক্ষক বলতে পারবেন। এ বিষয়ে সলুয়া গোলাবাটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা হাছিনা বেগম জানান, আমাদের দাপ্তরিক কাজে উনার সহযোগীতা নিতে হয়। আমরা একে অপরকে সহযোগীতা করে থাকি সেকারণে উনি আসেন। স্কুল টাইমে এমন আসা যাওয়ার বিষয় তিনি বলেন, নিয়মানুযায়ী প্রয়োজন হলে আমরা লোকেশান খাতায় লিখে যে কোন জায়গায় যেতে পারি। ঘটনার পর হরিদাশকাটি বালক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ খলিলুর রহমানের সাথে তার ব্যাক্তিগত মোবাইল নাং ০১৭৪২০৫০৩৯৯ এ বহুবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।শিক্ষা সংশ্লিষ্ট সুত্র জানায়, উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ ছাড়া ক্লাস ফাঁকি দিয়ে কেহ এক প্রতিষ্ঠান থেকে অন্য প্রতিষ্ঠনে সময় নষ্ট করতে পারবে না। আর প্রধান শিক্ষকের কোন সমস্যা মনে হলে সাব- ক্লাস্টারের দ্বায়িত্বে থাকা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তার সহযোগীতা নিয়ে তা সমাধান করার নিয়ম রয়েছে। এমতাবস্থায় কোন শিক্ষক কোন প্রতিষ্ঠানের ক্ষতি করে ক্লাস ফাঁকি দিয়ে হরহামিশা অন্য প্রতিষ্ঠনে সময় নষ্ট করতে পারবে না। এ বিষয়ে সাব-ক্লাস্টারের দ্বায়িত্বে থাকা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ আলমগীর হোসেনের ব্যবহৃত ০১৭১২৪৪৯৬২২ -এ মঙ্গলবার একাধিকবার ফোন করেও পাওয়া যায়নি, অবশেষে বুধবার ২ টার পর তিনি ফোন রিসিভ করে জানান আধাঘন্টা পর তিনি ফোন ব্যাক করে কথা বলবেন।এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা গাজী সাইফুল ইসলাম প্রতিনিধিকে জানান, বিষয়টি আমার নলেজের বাইরে। এ ব্যাপারে তিনি খোঁজ নিয়ে যথাযত ব্যাবস্থা নিবেন বলে জানান। সুন্দরবনটাইমস.কম/এইচ এম এ হাশেম/কপিলমুনি সংবাদটি ২৩৮ বার পড়া হয়েছে আপনার মতামত লিখুন : আরও পড়ুন কপিলমুনিতে শিশু সন্তানকে খেলতে পাঠিয়ে মায়ের আত্মহত্যা! কপিলমুনিতে ওয়ারেন্টভুক্ত আসামীদের নামের তালিকা টানিয়েছে থানা পুলিশ