মাগুরাঘোনায় শিরিস গাছ ঘরের চালে পড়ায় হতদরিদ্র পরিবারের উঠানে রাত যাপন প্রকাশিত: ৫:১০ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১১, ২০১৯ | আপডেট: ৫:১০:অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১১, ২০১৯ নিজস্ব প্রতিবেদক, চুকনগর(খুলনা): খুলনার মাগুরাঘোনা ইউনিয়নে বসত ঘরের পিছনে শিরিস গাছ রোপনের পর থেকে অদ্যবধি কয়েকবার গাছটি মেরে নেয়ার জন্য অনুরোধ করার পরও না মেরে নেয়ার কারণে হতদরিদ্র একটি পরিবার বর্তমানে বাড়ির উঠানে রাত যাপন করছে। ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের আঘাতে শিরিস গাছটি ভেঙ্গে বসত ঘরের চালের উপর পড়ায় পুরো চালটি ভেঙ্গে পড়েছে। এঘটনায় পরিবারের ২জন সদস্যও আহত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের তোরাব সরদারের পুত্র সবুজ সরদার জানায়, ডুমুরিয়া উপজেলার কাঞ্চনপুন গ্রামে তার পিতার জমিতে অনেক কষ্টে টাকা রোজগার করে একটি বাড়ি বানিয়ে সেখানে বসবাস করে আসছে তারা। তাদের পাশের জমিটি একই গ্রামের বাবর আলী সরদারের পুত্র ওহুদ আলী সরদারের হওয়ায় কয়েক বছর আগে তাদের বসত ঘরের পাশে একটি শিরিস গাছ রোপন করে। সে সময় তার পিতা তোরাব সরদার ও মাতা রহিমা বেগম এভাবে বসত ঘরের পাশে শিরিস গাছটি না লাগানোর জন্য বারবার অনুরোধ করেছিল। কিন্তু প্রভাবশালী ওহুদ সরদার তাদের কথায় কোন কর্ণপাত না করে গাছটি সেখানে রোপন করে। এরপর গাছটি বড় হয়ে গেলে গাছের বড় বড় ডালপালা ঘরের চালের উপর সহ চতুরদিকে ছড়িয়ে পড়লে একাধিকবার গাছটি কেটে নেয়ার জন্য অনুরোধ সহ হাতে পায়ে ধরা হয়। কিন্তু এই গরীব পরিবারের কোন অনুরোধই তিনি শোনেনি। গত ৯নভেম্বর রাতে ঘুর্ণিঝড় বুলবুলের আঘাতে শিরিস গাছটি ভেঙ্গে গিয়ে বসত ঘর্রে উপর পড়লে পুরো টালির চালটি ভেঙ্গে তছনছ হয়ে যায় এবং বিল্ডিং এর মূল ভীত নড়ে যায়। এ সময় চালের উপরের টালি পড়ে রাতে ঘুমিয়ে থাকা তার মাতা রহিমা বেগমের মাথা ফেটে যায় ও ছোট ভাই আহত হয়। এমতাবস্থায় গত দুই দিন ধরে পরিবারের সকল সদস্য উঠানে রাত যাপন করছে। আর্থিক অসংগতির কারণে চাল দেয়ার সামর্থ্য তাদের নেই। এদিকে প্রভাবশালী ওহুদ সরদার এখনো পর্যন্ত গাছটি কেটে না নেয়ায় পুরো বিল্ডিংটি এখন ভেঙ্গে পড়ার উপক্রম হয়েছে। এব্যাপারে ওহুদ সরদারের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তার মেয়ে ফোনটি রিসিভ করে বলেন, তার পিতা বাড়িতে ফোন রেখে বাজারে গেছেন। সুন্দরবনটাইমস.কম/গাজী আব্দুল কুদ্দুস/চুকনগর সংবাদটি ৪৮৪ বার পড়া হয়েছে আপনার মতামত লিখুন : আরও পড়ুন চুকনগরে চিংড়িতে অপদ্রব্য পুশ করায় ভ্রাম্যমান আদালতে জরিমানা চুকনগরে ইঞ্জিন ভ্যান চালাতে গিয়ে ৬ বছরের শিশুর করুন মৃত্যু