পাইকগাছায় কলেজ শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিক্ষা কর্মকর্তার বসতবাড়ীর প্রবেশ পথে প্রাচীর নির্মাণ করার অভিযোগ

প্রকাশিত: ৯:৩২ অপরাহ্ণ, জুলাই ৩, ২০১৯ | আপডেট: ৯:৩২:অপরাহ্ণ, জুলাই ৩, ২০১৯
Exif_JPEG_420

সোহাগ মাল্টিমিডিয়া এন্ড ট্র্যাভেলস

পাইকগাছা (খুলনা) সংবাদদাতা:
পাইকগাছায় শিক্ষা কর্মকর্তার বসত বাড়ীর গেটের সামনে পাকা প্রাচীর দিয়ে একটি পরিবারকে অবরুদ্ধ করে রাখার অভিযোগ উঠেছে এক প্রভাষকের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি পাইকগাছা পৌর সদরের ৮নং ওয়ার্ডে বুধবার দুপুরে। এ বিষয়ে থানায় অভিযোগের ভিত্তিতে কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে।
জানা যায়, পাইকগাছা উপজেলার সাবেক সহকারী শিক্ষা অফিসার বর্তমানে ফকিরহাট উপজেলা শিক্ষা অফিসার বিদ্যুৎ রঞ্জন সাহা ও তার স্ত্রী পাইকগাছা মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা ললিতা নাথ কয়েক বছর পূর্বে পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ড বাতিখালী মৌজার এস,এ ৮১ খতিয়ানে ৬৭ দাগে পাকা বিল্ডিং বাড়ী সহ দুটি দলিলে ৪.৯৪ শতক জমি করে দীর্ঘদিন বসবাস করে আসছে। একই খতিয়ানে পাইকগাছা কলেজের প্রভাষক সরদার জামাল উদ্দীন গত ১৬ মে ৪.১২ শতক জমি ক্রয় করেন। উক্ত সম্পত্তির মধ্যে বিদ্যুৎ রঞ্জন সাহার বাড়ীতে যাতায়াতের জন্য একটি ঘরোয়া রাস্তা রয়েছে। রাস্তাটি নিয়ে বেশ কিছুদিন বিরোধ চলে আসায় থানা পুলিশ পর্যন্ত গড়ায়। থানা পুলিশের উপস্থিতিতে উভয়ের সীমানা নির্ধারণ করে শুক্রবার দু’পক্ষকে নিয়ে মীমাংসার জন্য দিন ধার্য্য করেন। এদিকে থানায় দায়ের করা অভিযোগের বিষয়টি চলমান থাকা অবস্থায় প্রভাষক জামাল উদ্দীন বুধবার বিদ্যুৎ-ললিতা দম্পতির বাড়ীর প্রবেশ পথে ইট দিয়ে প্রাচীর দেয়। এতে পরিবারটি অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। বিষয়টি থানা পুলিশকে অবহিত করলে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে প্রাচীর তৈরী কাজ বন্ধ করে দেয়। উপজেলা শিক্ষা অফিসার বিদ্যুৎ রঞ্জন সাহা জানান, চাকুরীর সুবাদে আমার দু’জন বাইরে থাকায় এ সুযোগে প্রভাষক জামাল উদ্দীন আমাদের বসতবাড়ীর প্রবেশ পথে প্রাচীর দেয়। এ বিষয়ে প্রভাষক জামাল উদ্দীন বলেন, আমি প্রাচীর দিচ্ছিলাম, থানাপুলিশ নিষেধ করলে আমি কাজ বন্ধ করে দিয়েছি।

 

সুন্দরবনটাইমস.কম/আমিনুল ইসলাম বজলু/পাইকগাছা


আপনার মতামত লিখুন :

নিজস্ব প্রতিবেদক