যৌতুকের দাবিতে ৫মাসের অন্তসত্ত্বাকে পিতার বাড়িতে তাড়িয়ে দেয়ার অভিযোগ

প্রকাশিত: ৬:৪২ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১৮, ২০২০ | আপডেট: ৬:৪২:অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১৮, ২০২০
আছিয়া খাতুন (২১)| (ফাইল ছবি)

আঁঠারমাইলে যৌতুকের দাবিতে ৫মাসের অন্তসত্ত্বা গৃহবধুকে জোরপূর্বক গর্ভপাতের (এ্যাবারসন) মেডিসিন খাওয়ায়ে পিতার বাড়িতে তাড়িয়ে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে ডুমুরিয়া উপজেলার মাগুরাঘোনা ইউনিয়নের ঘোষড়া গ্রামে।

সোহাগ মাল্টিমিডিয়া এন্ড ট্র্যাভেলস

উপজেলার ঘোষড়া গ্রামের আব্দুল গফফার গাজীর একমাত্র কন্যা আছিয়া খাতুন (২১) জানায়, গত ০৮/১১/২০১৯ইং তারিখে যশোর জেলার কেশবপুর উপজেলার ভরত ভাইনা গ্রামের রুহুল আমীন মোড়লের পুত্র মোঃ রাহাত মোড়ল (২৩) এর সাথে পারিবারিকভাবে বিবাহ হয়। বিবাহের সময় তার পিতা নগত টাকা, স্বর্ণালংকার ও ঘর সাজানোর আসবাস পত্রসহ প্রায় ৩লক্ষ টাকার মালামাল যৌতুক হিসাবে দেয়। বিবাহের পর সুখের দাম্পত্য জীবনের এক থেকে দেড় মাসের মধ্যে তার গর্ভে সন্তান আসে। এভাবে তার গর্ভে সন্তান আসাকে তার শ্বশুর রুহুল আমীন মোড়ল শাশুড়ী লিমু বেগম ভাল চোখে দেখেনি।

 

তারা তাদের সন্তান রাহাতকে স্ত্রীর শ্বশুর বাড়ি থেকে আবারও যৌতুকের জন্য চাপ প্রয়োগ করতে থাকে। একারণে স্বামী,শ্বশুর ও শ্বাশুড়ী সময়ে অসময়ে তাকে শারিরীক ও মানুষিকভাবে নির্যাতন করতে থাকে। সর্বশেষ গত ২১/০৫/২০২০ইং তারিখে তাদের দাবীর মোটরসাইকেল সহ নগত ৫লক্ষ টাকা না দেয়ার অজুহাতে তার মেডিসিন দিয়ে এ্যাবারসনের মাধ্যমে গর্ভের ৫মাসের সন্তান নষ্ট করার জন্য স্বামী, শ্বশুর, শ্বাশুড়ী ও কাজের মহিলা জাহানারা বেগম ২৭ই রমজান রোজা থাকা অবস্থায় জোরপূর্বক ঔষধ খাওয়ায়ে দেয়। পরবর্তীতে জীবন নাশের হুমকী দিলে পরক্ষণে তিনি তার পিতাকে বিষয়টি বললে ঐদিন রাত আনুমানিক সাড়ে ১০টার দিকে তাকে পিতার বাড়িতে নিয়ে আসেন। পিতার বাড়িতে আসার পর তিনি আরও অসুস্থ হয়ে পড়লে গত ২৬/০৫/২০২০ইং তারিখে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানে বাচ্চাটি ডেলিভারী হয়ে যায়। কিন্তু ঘটনার পর প্রায় ৫মাস অতিবাহিত হয়ে গেলেও আজও পর্যন্ত তাকে কেউ দেখতে আসেনি।

 

বরং বিভিন্ন মারফত তাদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তার স্বামীর পরিবার স্পষ্ট বলে দেয় মোটর সাইকেল ও টাকা না দিলে তাকে তালাক দিবে। এব্যাপারে স্থানীয় ইউপি সদস্য মাহাবুর রহমান গাজী বলেন, অনেক চেষ্টা করেছি সবকিছু মেনে নিয়ে মেয়েটিকে শ্বশুর বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়ার জন্য। কিন্তু তারা টাকা না দিলে উল্টো আছিয়া তালাক দেয়ার হুমকী দেয়। এব্যাপারে আছিয়ার স্বামী রাহাতের মোবাইল নম্বরে ফোন দিয়ে সাংবাদিক পরিচয় দেয়ার পর তিনি ফোনটি কেটে দিয়ে বন্ধ করে রাখেন।


আপনার মতামত লিখুন :

গাজী আব্দুল কুদ্দুস। নিজস্ব প্রতিবেদক। চুকনগর, খুলনা