কেশবপুরে ৯১টি মন্ডপে দূর্গোৎসবের প্রস্তুতি প্রকাশিত: ১১:৪৯ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১৫, ২০২০ | আপডেট: ১১:৪৯:অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১৫, ২০২০ সনাতন ধর্মবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দূর্গাপূজাকে সামনে যশোরের কেশবপুরে মন্ডপে মন্ডপে চলছে শেষ প্রস্তুতি। ভাষ্করররা শেষ মুহুর্ত্বের ব্যস্ত সময় পার করছে। চলছে প্রতিমাকে আকর্ষণীয় করতে প্রতিযোগিতার লড়াই। দূর্গাপূজা আগামী ২২ অক্টোবর থেকে শুরু হবে। কেশবপুর উপজেলায় এবছর ৯১ টি মন্ডপে দূর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে কেশবপুর পৌরসভা এলাকায় ৮টি, ত্রিমোহিনী ইউনিয়নে ১টি, সাগরদাঁড়ি ইউনিয়নে ১২টি, মজিদপুর ইউনিয়নে ৭টি, বিদ্যানন্দকাটী ইউনিয়নে ৪টি, মঙ্গলকোট ইউনিয়নে ৪টি, কেশবপুর সদর ইউনিয়নে ৭টি, পাঁজিয়া ইউনিয়নে ৯টি, সুফলাকাটি ইউনিয়নে ১০টি, গৌরিঘোনা ইউনিয়নে ১১টি, সাতবাড়িয়া ইউনিয়নে ৯টি, সাতবাড়িয়া ইউনিয়নে ৯টি মন্ডপে দূগাপূজা অনুষ্ঠিত হবে । কেশবপুর উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সুকুমার সাহা ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গৌতম রায় জানান ,কেশবপুরে এবছর ৯১ টি পূজা মন্ডপে দূর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনেই দূর্গা উৎসব পালিত হবে। পূজা মন্ডপে দূর্গা পূজার প্রস্তুতি চলছে। ভাষ্করদের দিনে রাতের খাবার এক প্রকার বাদ দিয়েই চলছে প্রতিমা তৈরীর কাজ। কেশবপুর সার্বজনীন কেন্দ্রীয় কালীমন্দির ও বালিয়াডাঙ্গা দেবালয় মন্দিরের ভাষ্কর শিল্পী প্রহল্বাদ কুমার জানান কেশবপুরে ৪টি সহ করালোয়া ,দৌলতপুর, ও খুলনায় ৪ টি সহ মোট ৮টি প্রতীমা তৈরীর কাজ করছি। আর মাত্র বাকি কয়েকদিন প্রতিমা তৈরীর কাজ সম্পন্ন করতে হবে। তবে এ বছর করোনার কারণে ভাষ্করদের মজুরী বেশ খানিকটা কমে গেছে। ভাস্কর পলাশ মন্ডল বলেন পাঁজিয়া সার্বজনীন পূজা মন্দির ,চুয়াডাঙ্গাসহ মোট ৭টি মন্দিরের প্রতীমা তৈরীর কাজ করচ্ছেন।তবে এ বছর প্রতিমাগুলো গত বছরের চেয়ে ছোট আকারের। করোনা ভাইরাসের কারণে মন্দির কমিটির বাজেট গত বছরের তুলনায় কম। এ কারণে আমাদের পারিশ্রমিক ও কম। তারপরও ষে মুহুর্ত্বেও তুলির আাঁচড়ে প্রতিমাকে দর্শণীয় করার কাজ চলছে। কেশবপুর সার্বজনীন কেন্দ্রীয় কালীমন্দিরের দূর্গাপূজা পরিচালনা কমিটির কোষাধ্যক্ষ সত্যজিৎ সাহা বুলু বলেন মন্দিরের প্রতিমা তৈরীর কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। পূজার সকল প্রস্তুতি চলছে। পাঁজিয়া সার্বজনিন কালী মন্দির মন্ডপের দূর্গা পূজা কমিটির সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক তাপস মজুমদার বলেন, বৃহত্তর পাঁজিয়া সার্বজনীন পূজা মন্দিরে এ বছর ৭৪ তম দুর্গোৎসব উদযাপিত হচ্ছে। গত বছর আমরা ৫ দিন ব্যাপী কৃতিছাত্র সম্বার্ধনা, গুনিজন স্মারক প্রদান, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসজ নানা আয়োজনের মধ্যদিয়ে উদযাপন করেছিলাম। এ বছর আমরা করোনাকালীন শারদীয় উৎসবে কোন কালচারাল অনুষ্ঠান করছি না। দর্শনার্থীদের জন্য হ্যান্ড সেনিটাইজার ও মাক্সের ব্যবস্থা রাখবো মন্দিরে। বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ কেশবপুর শাখার সাধারণ সম্পাদক মাষ্টার সুকুমার সাহা বলেন, এবার কেশবপুরে ৯১ টি মন্ডপে পূজার আয়োজন করা হচ্ছে। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী স্বাস্থ্যবিধি মেনে শারদীয় দূর্গা উৎসব পালিত হবে। এব্যাপারে কেশবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন বলেন, উপজেলায় ৯১টি মন্ডপে শারদীয় দূর্গা পূজা উদযাপন অনুষ্ঠিত হবে। শান্তিপূর্ণভাবে পূজা উদযাপনের জন্য আইনশৃংখলা বাহিনীর টহল থাকবে। প্রতিদিন পূজা মন্ডপগুলি পরিদর্শনসহ মতবিনিময় করা হচ্ছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে শারদীয় দূর্গা পূজা উৎসবের জন্য পূজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দদের দিকনির্দেশনা দেয়া হয়েছে। সংবাদটি ৬৩৩ বার পড়া হয়েছে আপনার মতামত লিখুন : আরও পড়ুন কেশবপুরে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় বৃষ্টিতে বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত আজ মধু কবির ১৯৯তম জন্মবার্ষিকী, সাগরদাঁড়িতে সপ্তাহব্যাপী মধুমেলা শুরু