কেশবপুরে কচুরিপনার কারণে নষ্ট হচ্ছে বুড়িভদ্রা নদের সৌন্দর্য প্রকাশিত: ৯:৫০ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১১, ২০২০ | আপডেট: ৯:৫০:অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১১, ২০২০ যশোরের কেশবপুরে কচুরিপনার কারণে বুড়িভদ্রা নদের সৌন্দর্য নষ্ট হচ্ছে । শুধু বুড়িভদ্রা নদ নয়, এ নদের সাথে সংযুক্ত কয়েকটি খালেরও একই অবস্থা। নদটি কেশবপুরের ত্রিমোহিনী এলাকার কপোতাক্ষ নদের স্লুইচ গেট থেকে প্রবাহিত হয়ে মঙ্গলকোট জিরো পয়েন্টে আপার ভদ্রা নদের সাথে সংযুক্ত হয়েছে। এ নদটি পার্শ্ববর্তী ডুমুরিয়া উপজেলার মধ্য দিয়ে মিশে গেছে। কচুরি পানায় নদের সৌন্দর্য নষ্ট হওয়ায় এলাকাবাসীর ভেতর তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। বুড়িভদ্রা নদের সৌন্দর্য ফিরিয়ে আনার জন্য দ্রুত কচুরি পানা অপসারণের দাবি করেছেন নদ তীরবর্তী এলাকায় বসবাসকারি সহসচেতন মহল। পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্তৃপক্ষদের নেই কোন মাথা ব্যাথা। রোববার সরেজমিন বুড়িভদ্রা নদের কেশবপুর উপজেলার ত্রিমোহিনী এলাকার কপোতাক্ষ নদের স্লুইচ গেট হতে মঙ্গলকোট জিরো পয়েন্টে এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে কচুরি পানায় ভরে রয়েছে। এতে নদ ও খালের সৌন্দর্য নষ্ট হচ্ছে বলে এলাকাবাসী জানিয়েছেন। বুড়িভদ্রা নদের সরফাবাদ ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় বসবাসকারি মাহাবুবুর রহমান, আয়ুব হোসেন, জিয়াউর রহমান ও রফিকুল ইসলাম বলেন, যখন নদে কচুরি পানা থাকে না তখন নদের সৌন্দর্যে মানুষের মনও মুগ্ধ হয়ে উঠে। সম্প্রতি কচুরি পানার কারণে নদের সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে গেছে। মজিদপুর ব্রিজের নিকট বসবাসকারি মোখলেছুর রহমান, জাহান আলী ও রেজাউল হকের সাথে কথা হয়। তারা ক্ষোভের সাথে বলেন, বুড়িভদ্রা নদে কচুরি পানায় ভরে থাকায় কোন কিছু করারও উপায় নেই। কচুরি পানার কারণে নদের সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে পড়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্তৃপক্ষদের বারবার জানানোর পরও তাদের কোন মাথা ব্যাথা নেই। দ্রুত কচুরি পানা অপসারণ করার দাবি এলাকার মানুষের। নদ-নদীতে জমে থাকা কচুরি পানা অপসারণের কোন প্রকল্প পানি উন্নয়ন বোর্ডের নেই বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছেন। কিন্তু পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্তৃপক্ষদের বুড়িভদ্রা নদের কচুরি পানা অপসারণ করার কথা। কিন্তু তারা আজও পর্যন্ত কোন ব্যবস্থা নেয়নি। উপজেলার মজিদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবীর পলাশ বলেন, বুড়িভদ্রা নদ ও কয়েকটি খালে কচুরি পানা জমে সৌন্দর্য নষ্ট হচ্ছে। কচুরি পানার কারণে নদের জোয়ার ভাটা বন্ধ হয়ে গেছে। নদে জোয়ার ভাটা না থাকলে কচুরি পানা থেকেই যাবে। আগামীতে কর্মসৃজনের কাজ শুরু হলে বুড়িভদ্রা নদের সাথে সংযোগ খাল থেকে কচুরি পানা অপসারণ করা হবে। তবে নদের কচুরি পানা অপসারণের দায়িত্ব পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্তৃপক্ষদের। কিন্তু তারা অপসারণের কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেন না। এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মুন্সি আছাদুল্লাহ বলেন, স্রোতে ভেসে গিয়ে কচুরি পানা অপসারিত হলেই নদের সৌন্দর্য ফিরে আসবে। কিন্তু নদ-নদীতে জমে থাকা কচুরি পানা অপসারণের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের কোন প্রকল্প নেই। সংবাদটি ৩৮০ বার পড়া হয়েছে আপনার মতামত লিখুন : আরও পড়ুন কেশবপুরে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় বৃষ্টিতে বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত আজ মধু কবির ১৯৯তম জন্মবার্ষিকী, সাগরদাঁড়িতে সপ্তাহব্যাপী মধুমেলা শুরু