কেশবপুরে শখের বসে বেকার যুবকের কবুতর পালন প্রকাশিত: ৯:১৯ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২, ২০২০ | আপডেট: ৯:১৯:অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২, ২০২০ শখের বসে কবুতর পালন করছেন যশোরের কেশবপুর উপজেলার মাদারডাঙ্গা গ্রামের শানতনু কুমারের ছেলে বেকার যুবক সুরঞ্জিত কুমার। তিনি দীর্ঘদিন ধরে কবুতর পালনের ইচ্ছা ব্যক্ত করে আসছেন। তাই ধীরে ধীরে কবুতরের সংখ্যা বেড়ে প্রায় দুই শতাধিক হয়েছে। তার কবুতর এখন বানিজ্যিক ভাবে রূপ নিয়েছে। প্রতিদিন তিন বেলা তাদের খাওয়ার ব্যবস্থা করতে হয়। কবুতর মালিক সুরঞ্জিত কুমার জানান, ২০১৮ সালে প্রথমে ৩০ টি বিভিন্ন জাতের কবুতর নিয়ে শুরু করা হয়। এখন কবুতরের সংখ্যা বেড়ে প্রায় দুই শতাধিক হয়েছে । এদের মধ্যে বিভিন্ন জাতের কবুতর রয়েছে। যেমন- রামপুরি, শিয়ালকুটি, হারে, ব্যানারসি, লালসিরা, চুইনা, চাটওয়ালা, বুধাপেস, কালদম, শনি, দোরাজ জাতের কবুতর রয়েছে। প্রতিদিন সকাল ৯ টা ,দুপুর ২ টা ও সন্ধ্যার আগে তাদের খাওয়ার ব্যবস্থা করতে হয়। খাওয়ার তালিকায় রয়েছে, ধান, গম, কাউন, হেটকে, সরিষা ও বজরা ইত্যাদি। তাদের জন্যে কাঠের বাসা তৈরি করে রাখা হয়েছে। এদের বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রোগ দেখা দেয়। যেমন- মালথেনিলা, ক্লাইডোমাইসিস, ডিপথেরিয়া, জ্বর, সর্দি ইত্যাদি রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ে। এদের লক্ষন অনুযায়ী চিকিৎসা দেওয়া হয়ে থাকে। প্রতি মাসে দুটি কবুতর দুটি করে বাচ্ছা দেয়। কোনো ক্ষেত্রে বাচ্ছা অবস্থায় বা বড় হলে এগুলোকে বাড়ি থেকে বা বাজারে খাচায় করে নিয়ে বিক্রি করা হয়। বাচ্চা অবস্থায় এক মূল্য আবার বড় হলে তার মূল্য আলাদা। প্রতিটা কবুতরের মূল্য ৩৫০ টাকা থেকে ৪০০ টাকা মূল্যে বিক্রি করা হয়। পরিবারে মা-বাবা সবাই কবুতর গুলো দেখাশোনা করেন। সুরঞ্জিত কুমারের মা লক্ষি রানী কুমার বলেন, ছেলে শখের বসে কবুতর পালন করছে। বাড়ির সবাই তার সহযোগিতা দিয়ে থাকে। বাড়ির হাঁস, মুরগী, গরু, ছাগলকে যে ভাবে দেখাশোনা, খাদ্য খাবার দিতে হয় সে ভাবেই কবুতর গুলিকে তার কোনো কমতি দেয়া হয় না। তাদের জন্য সব সময় খাদ্য মজুদ রাখতে হয়। প্রতিবেশী কার্তিক রায়, পূরবী রায় বলেন, সুরঞ্জিত কুমার কবুতর পালন করায় এলাকাকে আরও পরিচিতি ঘটিয়েছে। দুর-দুরান্ত থেকে তার এই নুতন নূতন জাতের কবুতর দেখতে ও ক্রয় করতে আসে। কবুতর ওয়ালা বাড়ি বলে এলাকায় ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেছে। এ ব্যাপারে উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিসের ভেটেরিনারি সার্জন ডাক্তার অলোকেশ কুমার সরকার বলেন, উপজেলায় অনেক বেকার যুবকরা শখের বসে বিভিন্ন জাতের কবুতর পালন করে চলেছে। যা এ উপজেলায় ব্যাপক সাড়া যেগেছে। যেসব বেকার যুবকরা কবুতর পালন করছেন, তাদেরকে বিভিন্ন পরামর্শ দেয়া হয়ে থাকে। সংবাদটি ১৫৮৪ বার পড়া হয়েছে আপনার মতামত লিখুন : আরও পড়ুন কেশবপুরে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় বৃষ্টিতে বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত আজ মধু কবির ১৯৯তম জন্মবার্ষিকী, সাগরদাঁড়িতে সপ্তাহব্যাপী মধুমেলা শুরু