চুকনগরে যৌতুকের দাবিতে স্ত্রী সন্তানকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়ার অভিযোগ

প্রকাশিত: ৭:১৫ অপরাহ্ণ, আগস্ট ১৭, ২০২০ | আপডেট: ৭:১৫:অপরাহ্ণ, আগস্ট ১৭, ২০২০

চুকনগরে যৌতুকের দাবিতে স্ত্রী সন্তানকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে যৌতুক লোভী এক পাষন্ড স্বামীর বিরুদ্ধে। এঘটনায় স্ত্রী বাদী হয়ে খুলনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আমলী আদালতে যৌতুক নিরোধ আইনে স্বামীর বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছে।

সোহাগ মাল্টিমিডিয়া এন্ড ট্র্যাভেলস

প্রাপ্ত মামলার বিবরণ সূত্রে জানা যায়, খুলনা জেলার ডুমুরিয়া উপজেলার রোস্তমপুর গ্রামের মোঃ মোসলেম গাজীর কন্যা আন্না খাতুন(২০)এর সাথে যশোর জেলার কেশবপুর উপজেলার সন্যাসগাছা গ্রামের মোঃ আরশাদ ফকিরের পুত্র তরিকুল ইসলাম (২৪)এর সাথে গত ০১/০৬/২০১৮ইং তারিখে বিবাহ হয়। বিবাহের সময় আন্নার পিতা মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে যৌতুক হিসাবে জামাইকে নগত ৩০হাজার টাকা, ১ভরি স্বর্ণালংকার ও ৩টি ছাগল দেয়।

একারণে প্রথম পর্যায়ে তাদের দাম্পত্য জীবন বেশ সুখে ছিল। একপর্যায়ে তাদের ঘর আলোকিত করার জন্য আসামীর ঔরষে বাদীনির গর্ভে তাহিয়া নামে এক ফুটফুটে কন্যা সন্তান জন্মগ্রহন করে। এরপর কেন না জানি কি কারণে পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের কুপরামর্শে ও সহযোগীতায় আসামী বিভিন্ন সময়ে যৌতুকের দাবীতে বাদীনীকে শারীরিক ও মানষিকভাবে জ্বালা যন্ত্রনা দিতে থাকে।

তারপরও বাদীনি নিজের ও একমাত্র সন্তানের ভবিষ্যৎ সুখের কথা চিন্তা করে স্বামীর জ্বালা যন্ত্রনা সহ্য করে ঘর সংসার করতে থাকে। তাতেও আমাসী ক্ষান্ত না হয়ে মোটর সাইকেল ক্রয় ও দোকান করার জন্য ১লক্ষ ৫০হাজার টাকা যৌতুকের দাবি করে বাদিনী ও তার সন্তানকে এক বস্ত্রে ১মাস আগে পিত্রালয়ে তাড়িয়ে দেয়। সেই থেকে বাদীনি গরীব পিতার বাড়ীতে অবস্থান করে মিমাংসার চেষ্টা করতে থাকে। সর্বশেষ গত ২১/০৬/২০২০ইং তারিখে মিমাংসার কথাবার্তা থাকায় আসামী বাদীনীর পিত্রালয়ে আসে এবং মিমাংসার ভিতর পূর্ণরায় মোটর সাইকেল ক্রয় ও দোকান করার জন্য টাকা দাবি করে। একপর্যায়ে আসামী বলে টাকা না দিলে বাদীনিকে তালাক দিয়ে যৌতুকের জন্য আসামী অন্যত্র বিবাহ করার হুমকী দিয়ে শ্বশুর বাড়ি থেকে চলে যায়।

এব্যাপারে বাদীনি আন্না খাতুন বলেন, আসামী তাকে তালাক দেয়ার হুমকী দিয়েই ক্ষান্ত হয়নি। ১৭আগষ্ট তার পিতার ঠিকানায় তালাক নামাও পাঠিয়েছে। কিন্তু তিনি সেটা গ্রহন করেনি। এব্যাপারে তরিকুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তার ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরটি বন্দ পাওয়া যায়।


আপনার মতামত লিখুন :

গাজী আব্দুল কুদ্দুস। নিজস্ব প্রতিবেদক। চুকনগর, খুলনা