ভালবাসার গল্প: “অতৃপ্ত ভালবাসা” (পর্ব-৪) প্রকাশিত: ১২:৩৭ পূর্বাহ্ণ, জুন ২৪, ২০২০ | আপডেট: ১২:৫৮:পূর্বাহ্ণ, জুন ২৪, ২০২০ এই সাত মাসে জয়া ও রোহিতের ভালো লাগা আরো বেড়ে যায়। জয়া কলেজের সবার সাথে ঘনিষ্ঠ হয়ে যায়। জয়া বুঝতে পারে তার মনের সব জায়গা জুড়ে শুধু রোহিত আছে। তবে সে বুঝতে পারে না রোহিতের হৃদয় জুড়ে শুধু সে আছে? কি নেই! মাঝে মাঝে জয়া মামনিকে বলে, রোহিত কেন আমাকে ভালবাসার কথা বলে না। মামনি: তাড়াহুড়ো করে কোন কাজ করলে তার ফল ভাল হয় না মা। জয়া: আব্বু, পাপা রোহিতকে মেনে নিবেতো? মামনি: পাপা হয়তো নিবে, তবে রোহিতকে লেখাপড়া শেষ করে নিজের পায়ে দাঁড়াতে হবে। জয়া: তাই হবে। মামনি: আল্লাহ ছাড়া অন্য কাউকে নিজের থেকে বেশি ভালবাসতে নেই। বাসলে পরে নিজেকে কষ্ট পেতে হয়। জয়া বোঝেনা মামনি কি বলতে চাই। বোঝার চেষ্টাও করে না। সে শুধু জানে তার জীবনের প্রথম পুরুষ রোহিত। যাকে তার ভালো লাগে। যার সামনে থাকতে, যার সাথে কথা বলতে, যাকে নিয়ে ভাবতে, জয়ার সব থেকে বেশি ভালো লাগে। সেদিন কলেজে সবাই আসে শুধু রোহিতা আসেনা। জয়া: রাজ, রোহিত কোথায়? রাজ: যেখানে থাক চলে আসবে। আশা: একদিন না দেখলে কি হয়? তৃষা: তুই কখনো প্রেম করছিস? যে বুঝবি। আশা: জয়া কি রোহিতকে ভালোবাসে? পলি: তুই আর বুঝিস না। আশা: বুঝবো কি করে? ওরা তো এখনো নদীর মাঝখানে পড়ে আছে। এপাশেও যায়না, ওপাশেও যায় না। জয়া: রাজ তুমি সত্যি করে বলতো রোহিত আসবে না? রাজ: আসবে। আমি একটু নিচে থেকে ঘুরে আসছি। তৃষা: জয়া তুই কি রোহিতকে ভালবাসিস? জয়া: জানি না। আশা: তুই না জানলে কে জানবে? কাকুলি: ভালবাসে, আমি জানি। পলি: তুই থাম। আশা: তুই রোহিতকে মনের কথাটা বলিস না কেন? সাথী: রোহিত কি বোঝেনা? তৃষা: মুখে বলা আর ইশারার মধ্যে অনেক পার্থক্য। জয়া: আমার ভয় হয়। যদি রোহিতের মনে আমাকে নিয়ে এমন ভাবনা না থাকে। আর আমার আব্বু যদি রোহিতের সাথে আমার বিয়ে না দেয়! পলি: রোহিতের মত ভালো ছেলে তোর আব্বু কোথায় পাবে? জয়া: আমি ওসব জানি না। শুধু জানি রোহিত না বলা পর্যন্ত আমি বলতে পারব না। তৃষা: কাল বল। জয়া: না। পলি: চিঠি লিখে দে। জয়া: পারবো না। আশা: রোহিত কে ছাড়া থাকতে পারবি? জয়া: মরণেও না। সাথী: সেটা আবার কেমন? জয়া: যতদিন বেঁচে থাকব ততদিন শুধু রোহিতকে ভালবেসে যাব। আর মারা যাওয়ার পরেও রোহিতকে ভালবাসবো। তৃষা: কাল তোকে বলিযে ছাড়বো। জয়া হাসে। রাজ ছাদে আসে। রাজ: রোহিত এসেছে। জয়া: কোথায়? রাজ: নিচে। জয়া: কি করছে? রাজ: কালকের প্রোগ্রাম। তৃষা: কাল কি হবে? রাজ: রোহিত এসে বলবে। রোহিত আসে। রাজ: রোহিত, জুলিয়েট তোর জন্য পাগল হয়ে গেছে। রোহিত হাসে। জয়া: আমার খেয়ে কাজ নেই, পাগল হবো! রাজ: তোমার কথা তো বলিনি। তুমিতো জয়া। সবাই হাসে। রোহিত: কাল ১৪ই ফেব্রুয়ারি সবাই জানিস? আশা: কাল কি করব? রোহিত: কলেজের সবাই মিলে কাল রিক্সা চড়ে শহর ঘুরবো। রাজ: খুব মজা হবে! তবে আমি জুলিয়েটের সাথে বসবো। জয়া: তাই হবে। রাজ: কালকের চাঁদা ২শ টাকা করে। তৃষা: ঠিক আছে। এবার বাসায় যেতে হবে। রাজ: আমি কিছু খাবো। রোহিত: তোর খাওয়া ছাড়া আর আছে? সবাই ক্যান্টিনে যায়। খাওয়া শেষ করে সবাই কলেজ গেটে দাঁড়ায়। রোহিত রিক্সা ডেকে দেয়। জয়া রিক্সায় ওঠে। রিক্সা চলতে থাকে। জয়া ভাবে আজ কেন রোহিত চকলেট দিল না। হয়তো মনে নেই। তবুও জয়ার মন বোঝে না। জয়া মন খারাপ করে বসে থাকে। …………………………………… প্রথম পর্ব পড়তে ক্লিক করুন দ্বিতীয় পর্ব পড়তে ক্লিক করুন তৃতীয় পর্ব পড়তে ক্লিক করুন চতুর্থ পর্ব পড়তে ক্লিক করুন পঞ্চম পর্ব পড়তে ক্লিক করুন শেষ পর্ব পড়তে ক্লিক করুন …………………………………… অতৃপ্ত ভালবাসাভালবাসার গল্পলেখিকা নাজনীন সংবাদটি ৭৪৯ বার পড়া হয়েছে আপনার মতামত লিখুন : আরও পড়ুন “হরিষে বিষাদ” আজ বিশ্ব ভালোবাসা দিবস: কেন এই ভালোবাসা দিবস?