মণিরামপুরে চেতনানাশক স্প্রে করে তিন বাড়িতে লুট

প্রকাশিত: ৫:১৯ অপরাহ্ণ, জুন ১৮, ২০২০ | আপডেট: ৫:১৯:অপরাহ্ণ, জুন ১৮, ২০২০

যশোরের মণিরামপুরে চেতনানাশক স্প্রে করে তিন কৃষকের বাড়িতে লুটের ঘটনা ঘটেছে। বুধবার (১৭ জুন) দিবাগত রাতে উপজেলার কাশিপুর মাঝের পাড়ায় এঘটনা ঘটে। ক্ষতিগ্রস্ত তিন পরিবার হলেন ওই পাড়ার ইউনুস আলী, তার ভাই ইসহাক আলী ও ভগ্নীপতি আবুল বাসার। খবর পেয়ে মণিরামপুর থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই দেবাশীষ বিশ্বাস ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। ইউনুস আলী বলেন, বুধবার সন্ধ্যার সময় বিশ্রাম নিতে গিয়ে বাড়ির সবাই ঘুমিয়ে পড়ি। রাতে কি হয়েছে কিছু বলতে পাবর না। সকালে অন্যবাড়ির লোকজন এসে আমাদের ঘুম ভাঙায়। ঘরে হালখাতা ও ধান বিক্রির ৫০ হাজার টাকা ছিলো। ঘুম থেকে উঠে দেখি সেগুলো নেই। ডাকাতরা টাকাসহ কিছু স্বর্ণালংকার নিয়েছে। ইউনুস আলীর ছেলে ইব্রাহিম হোসেনের ধারণা, কেউ তাদের চেতনানাশক কিছু স্প্রে করেছে। তাই সন্ধ্যার সাথে সাথে বাড়ির সবাই ঘুমিয়ে পড়ে।

সোহাগ মাল্টিমিডিয়া এন্ড ট্র্যাভেলস

এদিকে ক্ষতিগ্রস্থ আবুল বাশার বলেন, বুধবার বিকেল থেকে গায়ে বল পাচ্ছিলাম না। সন্ধ্যার পরপরই সবাই ঘুমিয়ে যাই। বৃহস্পতিবার (১৮ জুন) সকালে ফজরের নামাজ পড়তে উঠে দেখি ঘরের জিনিসপত্র এলোমেলো। ডাকাতরা স্বর্ণালংকারসহ নগদ পাঁচ হাজার টাকা নিয়েছে। তিনি বলেন, জীবনে কোনদিন এমন ঘুম আসিনি। এখনো ঘুমঘুম ভাব হচ্ছে। একইভাবে ইসহাক আলীর বাড়ি থেকে নয় ভরি স্বর্ণালংকারসহ জিনিসপত্র লুট হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে দশটার দিকে সরেজমিন ঘটনাস্থল ঘুরে জানা যায়, লুট হওয়া তিন বাড়িই কৃষিভিত্তিক ধনী পরিবার। গ্রামের ভিতরে বাড়ি হওয়ায় তারা সাধারণত রাতে দরজা খুলে ঘুমান। ঘটনার রাতেও তাদের ঘরের দরজা লাগানো ছিলো না। এসময় বাড়ির লোকজনকে ঘুমিয়ে থাকতে দেখা গেছে।

অপরদিকে একইরাতে উপজেলার চালুয়াহাটি ইউনিয়নের মনোহরপুর ও হায়াতপুর গ্রামে দুই কৃষকের বড় দুটি গরু চুরি হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। খেদাপাড়া ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই খাইরুল আলম বলেন, কাশিপুর গ্রামে তিন বাড়িতে চুরি হওয়ার ঘটনা শুনেছি। মণিরামপুর থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই দেবাশীষ বিশ্বাস বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছি। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তাৎক্ষণিক জানাতে পারেনি ক্ষতিগ্রস্থরা। তাদের থানায় আসতে বলা হয়েছে। মণিরামপুর থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) শিকদার মতিয়ার রহমান বলেন, বুধবার রাতে তিন বাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটেছে বলে শুনেছি।


আপনার মতামত লিখুন :

উত্তম চক্রবর্তী। নিজস্ব প্রতিবেদক। মনিরামপুর, যশোর