তালায় ইরি বোরো চাষাবাদে বাম্পার ফলন: বৈরী আবহাওয়া নির্ঘুম রাত কাটছে কৃষকরা

প্রকাশিত: ১:২১ অপরাহ্ণ, মে ১১, ২০২০ | আপডেট: ১:২১:অপরাহ্ণ, মে ১১, ২০২০

সাতক্ষীরা জেলার তালা উপজেলায় এবছর লক্ষ্যমাত্রার চাইতে বেশী পরিমান জমিতে ইরি বোরো চাষাবাদ হয়েছে। উপজেলার বিলগুলোতে যে দিকে চোখ যায় শুধু ধান আর ধান। করোনা ভাইরাসে শ্রমিক সংকট ও বৈরী আবহাওয়ায়ার কারনে কৃষক উৎপাদিত ফসল ঘরে তুলতে হিমশিম খাচ্ছে। বৈরী আবহাওয়ার কারনে জমির ফসল নিয়ে ঘুম হারাম হয়ে গেছে কৃষকের প্রতিনিয়ত দুঃচিন্তায় কৃষক দিন গুনছে। গত কয়েকদিনের কালবৈশাখী ঝড় আর বৃষ্টিতে কৃষকের ক্ষেতের ধানের বেশ ক্ষতি হয়েছে। কৃষকের পাকা ধান পানিতে ভাসছে। গত কয়েক দফায় উপজেলার উপর দিয়ে কালবৈশাখী ঝড়ো হাওয়া ও শিলাবৃষ্টিতে কৃষকের মাঠের ধান পানিতে ভাসছে। বিগত বছরের চেয়ে এ বছর অধিক জমিতে ইরি বোরো চাষাবাদ হয়েছে। এ বছর চাষাবদের শুরুতে বৃষ্টিপাত কম থাকার কারণে উপজেলার সকল এলাকায় ব্যাপকহারে ইরিবোরো চাষাবাদ হয়েছে। অনেক নিচু এলাকার জমিতে ও চাষাবাদ হয়েছে। বৃষ্টিতে কৃষকের ক্ষেতের ধান পানিতে ডুবে যাওয়া একদিকে যেমন খাদ্য ঘাটতির সম্ববনা তেমনি গো খাদ্যের তীব্র সংকট দেখা দিতে পারে বলে ধারনা করা হচ্ছে।

সোহাগ মাল্টিমিডিয়া এন্ড ট্র্যাভেলস

সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলার বিভিন্ন বিলে ইরিবোরো ধানের ফসলের সমারোহ। উপজেলার শতকরা ৮০জন কৃষকই সরাসরি কৃষি কাজের সাথে জড়িত। কৃষি কাজ করেই তারা জীবিকা নির্বাহ করে থাকে। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার প্রায় ১৭হাজার হেক্টর জমিতে ইরি বোরো চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্র নির্ধারণ করা হলেও লক্ষ্য মাত্রার চাইতে বেশি জমিতে ইরিবোরো চাষাবাদ হয়েছে। এ বছর উপজেলায় জলাবদ্ধতা না থাকায় উপজেলার ধানদিয়া, নগরঘাটা, সরুলিয়া, কুমিরা, খলিষখালী, তেঁতুলিয়া তালা, জালালপুর, মাগুরা, খেশরা, সহ উপজেলায় সর্বত্রই লক্ষ্য মাত্রার চাইতে বেশী জমিতে ইরি বোরো চাষাবাদ হয়েছে। তালা উপজেলার আমতলাডাঙ্গা গ্রামের কৃষক আজিবার জানান আবহাওয়া ও প্রকৃতির কারনে এবছর আমাদের ব্লকে গতবারের চাইতে বর্তমানে ধান ভাল হয়েছে।

এ বছর আমার ব্লকে ব্রি-ধান ২৮ বেশ ফলেছে। আবহাওয়া প্রতিকুলে থাকায় বেশ দূচিন্তায় আছি,জমির ধান পানিতে ভিজে নষ্ট হয়ে গেছে। অতিরিক্ত মুজুরী দিয়ে শ্রমিক নিয়ে ধান সংগ্রহ করেছি। তার পর বৃষ্টির কারনে ধান মাড়াই ঝাড়াই করা সম্ভবপর হচ্ছে না। নাওয়া খাওয়া বন্ধ করে পরিবারের সকলে মিলে ফসল সংগ্রহে কাজ করেছি। অপর দিকে ইসলামকাটি ইউনিয়নের কজিডাঙ্গা গ্রামের কৃষক জামাল উদ্দীন জানান গত বছরের তুলনায় ধান ভাল রোগ বালাই কম আছে। ধানদিয়া গ্রামের রবিউল ইসলাম জানান এবছর আমাদের এলাকায় ধানের ফলন খুব ভাল হয়েছে। শেষ পর্যন্ত বৃষ্টিতে ধরা খেয়েছি। তালা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আল মামুন জানান এবছর আবহাওয়া ভাল থাকার কারনে অনেক এলাকায় চাষাবাদ হয়েছে। বৃষ্টি ও ঝড়ে কিছু কিছু এলাকায় ধানের ক্ষতি হয়েছে। উপজেলার সকল এলাকায় কৃষকদের পরামর্শ প্রদান করায় রোগ বালাই কিছুটা কম আছে। আগাম পরামর্শ দেওয়ায় ব্লাস্ট রোগ তেমন চোখে পড়েনি। এবছর উপজেলায় ব্রি-ধান ২৮ বেশী পরিমান জমিতে চাষাবাদ হয়েছে তাছাড়া ৬৭, বিনা-১০ ও কিছু এলাকায় লবণ সহিষœু ধান চাষাবাদ হয়েছে।


আপনার মতামত লিখুন :

মুজিবুর রহমান। নিজস্ব প্রতিবেদক, ডেক্স