অবশেষে এলাকাবাসীর দাবির মুখে শ্বশুরবাড়ি থেকে হাসপাতালে করোনা অক্রান্ত ব্যক্তি

প্রকাশিত: ৯:০০ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ২৫, ২০২০ | আপডেট: ৯:০০:অপরাহ্ণ, এপ্রিল ২৫, ২০২০

অবশেষে যশোরের কেশবপুরে শ্বশুরবাড়িতে চিকিৎসাধীন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত সেই স্বাস্থ্য সহকারীকে শনিবার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। জেলা সিভিল সার্জন অফিসের পক্ষ থেকে তাকে বাড়িতে রেখে চিকিৎসা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে বেঁকে বসেন এলাকাবাসী।

সোহাগ মাল্টিমিডিয়া এন্ড ট্র্যাভেলস

জানা গেছে, মনিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ওই স্বাস্থ্য সহকারীর গত ১০ এপ্রিল করোনা উপসর্গ নিয়ে কেশবপুর উপজেলার ইমাননগর গ্রামে শ্বশুরবাড়িতে আসেন। ১২ এপ্রিল খুলনা মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ তাকে করোনা পজিটিভ বলে শনাক্ত করেন। এ খবরে জেলা সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীন, যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তত্ত্ববধায়ক ডা. দিলীপ রায় ইমাননগর গ্রামে উপস্থিত হয়ে তাকে শ্বশুরবাড়িতে রেখে চিকিৎসা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। এখবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকাবাসী বার বার তাকে ওই গ্রাম থেকে হাসপাতালে নেওয়ার দাবি করলেও তা হয়ে উঠেনি। গত বুধবার দ্বিতীয় দফায় ওই স্বাস্থ্য সহকারীর নমুনা সংগ্রহের পাশাপাশি তার শ্বশুরবাড়ির অন্যদেরও নমুনা সংগ্রহ করে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জিনোম সেন্টারে পাঠানো হয়। দ্বিতীয় দফায়ও ওই স্বাস্থ্য সহকারীর নমুনা পরীক্ষায় করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়।

তার সংস্পর্শে থাকা এক শ্যালকও করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এদিকে মনিরামপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পক্ষ থেকে নতুন আক্রান্ত মাদ্রাসা ছাত্রকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হলেও পূর্বের আক্রান্ত স্বাস্থ্য সহকারীকে না নেওয়ায় এলাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। অপরদিকে গতকাল শুক্রবার দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকার অনলাইনে ‘কেশবপুরে করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে আরেকজন আক্রান্ত, এলাকায় উত্তেজনা’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। সংবাদটি প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরে আসে। পরে তারা শনিবার করোন আক্রন্ত ওই স্বাস্থ্যকর্মীকে হাসপাতালের আইসোলেশনে নিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। অপরদিকে মণিরামপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ওই স্বাস্থ্য সহকারীর শ্যালককে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। 

এব্যাপারে কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আলমগীর হোসেন বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে করোনা আক্রান্ত ওই স্বাস্থ্য সহকারীর শ্যালককে বাড়িতে রেখে চিকিৎসার সিদ্ধান্ত হয়েছে ।


আপনার মতামত লিখুন :

মশিয়ার রহমান। নিজস্ব প্রতিবেদক। কেশবপুর, যশোর