ডুমুরিয়ায় করোনা আতংঙ্কে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে ছুটে চলেছেন ইউএনও প্রকাশিত: ৪:০৯ অপরাহ্ণ, মার্চ ২৪, ২০২০ | আপডেট: ৪:০৯:অপরাহ্ণ, মার্চ ২৪, ২০২০ গাজী আব্দুল ক্দ্দুুস, চুকনগর(খুলনা): করোনা ভাইরাসকে কেন্দ্র করে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি রোধে বা নিয়ন্ত্রণে রাখতে ডুমুরিয়া উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নের এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে ছুটে চলেছেন ডুমুরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছাঃ শাহানাজ বেগম। বিভিন্ন স্থানে করছেন সচেতনামূলক জনসমাবেশ। করছেন ভ্রাম্যমান আদালতে জরিমানা। জানা যায়, সারা বিশ্বের ন্যায় বাংলাদেশ যখন করোনা ভাইরাস আক্রমণ প্রতিরোধে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। ঠিক তখননি সারাদেশের ন্যায় ডুমুরিয়ার কিছু অসাধু ঘাপটি মারা ব্যবসায়ী এ সুযোগকে ব্যবসার সুসময় হিসাবে গ্রহণ করে দ্বিগুন দামে ক্রেতাদের কাছে মালামাল বিক্রয় করছে। তারা মনে করছেন করোনা তাদেরকে কিছুই করতে পারবে না। একারণে নিজে সচেতন না হয়ে টাকাকে বেশী গুরুত্ব দিচ্ছেন। তাদেরকে মালামালের মূল্য তালিকা টাঙিয়ে বিক্রয়ের নির্দেশনা দেয়া হলেও তা মানা হচ্ছে না। বিভিন্ন বাজারে ঘুরে দেখা গেছে, কতিপয় অতিলোভী অসাধু চালাক ব্যবসায়ী বিভিন্ন দ্রব্য সামগ্রী বিক্রয়ে ব্যাপক অনিয়মের আশ্রয় গ্রহণ করছে। বিশেষ করে চাউল বস্তা প্রতি প্রায় ৪/৫শত টাকা বেশি মূল্যে বিক্রয় করছে। এছাড়া ৪০টাকার পেয়াজ ১০০ থেকে ১২০টাকা, ৬০ টাকার রসুন ১০০থেকে ১৫০ টাকা ও ১৪ টকার আলু প্রায় ২০ টাকা মূল্য বিক্রয় করছে। একারণে ডুমুরিয়া উপজেলায় গত ৩ দিনে ভ্রাম্যামান আদালত কর্তৃক ৫৯,৭০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এরমধ্যে ডুমুরিয়া উপজেলায় হোম কোয়ারান্টাইনে না থাকায় ৫০০০ টাকা, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে ৩৩,৭০০ টাকা এবং জনসমাগম ঘটানোর দায়ে ২১,০০০ টাকা জরিমানা হিসাবে আদায় করা হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোছাঃ শাহনাজ বেগম বিভিন্ন স্থানে এ আদালত পরিচালনা করেন। সোমবার বিকেলে উপজেলার থুকড়া বাজারে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে সৈকত স্টোরকে ৩০০০ টাকা, জুই স্টোরকে ১০০০ টাকা, মিষ্টির দোকানদার ফারুক হোসেনকে ৫০০০ টাকা, মুদি দোকানদার আব্দুল গনিকে ৩০০০ টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া জনসমাগম ঘটানোর দায়ে চায়ের দোকানদার আব্দুল মান্নানকে ১০০০ টাকা জরিমানা করা হয় এবং সবাইকে সতর্কতামূলক নির্দেশনা প্রদান করা হয়। এদিকে শনিবার ও রবিবার ডুমুরিয়া উপজেলার একাধিক স্থানে বিভিন্ন ঘটনায় ভ্রাম্যমাণ আদালত কর্তৃক ২৩ হাজার ৫’শ টাকা জরিমানা পূর্বক নগদ আদায় করা হয়। চুকনগর বাজারে বেশি দামে পেঁয়াজ বিক্রি অপরাধে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে মুজিবর রহমান ও মিজানুর রহমানকে যথাক্রমে ৫’শ টাকা ও ১ হাজার টাকা, আঠারোমাইল বাজারে চাউল ব্যবসায়ী রেজাউল ইসলামকে ২ হাজার টাকা এবং ধামালিয়া ইউনিয়নের চেচুড়ী গ্রামে বিবাহত্তোর বৌভাত অনুষ্ঠানে জনসমাবেশ ঘটানোর অপরাধে দন্ডবিধি ১৮৬০ এর ২৬৯ ধারায় রেজোয়ান গাজীকে ২০ হাজার টাকা এবং শাহপুর বাজারের চালের দোকানদারকে ৫ হাজার এবং পেট্রোল দোকানদারকে ৫ হাজার টাকা, হোম কোয়ারান্টাইনে না থাকাসহ ২দিনে ৩৬,৭০০ টাকা জরিমানা করা হয়। আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোছাঃ শাহনাজ বেগম। এছাড়া বিদেশ ফেরৎ সকলকে কোয়ারেন্টাইন শর্ত মেনে চলার জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হয়। এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে তিনি জানান। সুন্দরবনটাইমস.কম/নিজস্ব প্রতিবেদক সংবাদটি ২৬০ বার পড়া হয়েছে আপনার মতামত লিখুন : আরও পড়ুন চুকনগরে চিংড়িতে অপদ্রব্য পুশ করায় ভ্রাম্যমান আদালতে জরিমানা চুকনগরে ইঞ্জিন ভ্যান চালাতে গিয়ে ৬ বছরের শিশুর করুন মৃত্যু