কেশবপুরে ইউএনও’র বিরুদ্ধে উপজেলা চেয়ারম্যানের রীট পিটিশন দাখিল

প্রকাশিত: ২:৩৬ অপরাহ্ণ, মার্চ ১৯, ২০২০ | আপডেট: ২:৩৬:অপরাহ্ণ, মার্চ ১৯, ২০২০

মশিয়ার রহমান, কেশবপুর (যশোর):
যশোরের কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের (ইউএনও) বিরুদ্ধে কেশবপুর উপজেলা চেয়ারম্যান উচ্চ আদালতে একটি রীট পিটিশন দাখিল করেছেন। জাতীয় দিবসের অনুষ্ঠানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও সালাম গ্রহণ করতে না দেওয়ায় উপজেলা চেয়ারম্যান যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা কাজী রফিকুল ইসলাম ক্ষুব্ধ হয়ে হাইকোর্টে রীট পিটিশন দাখিল করেন। ২৯ জানুয়ারি বুধবার অ্যাডভোকেট ইদ্রিসুর রহমান কেশবপুর উপজেলা চেয়ারম্যানের পক্ষে বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের রীট পিটিশনটি দাখিল করেন। যার নং ৫৩৯/২০২০। ওই রীট পিটিশনে ইউএনও ছাড়াও মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, খুলনা বিভাগীয় কমিশনার, যশোর জেলা প্রশাসক ও মন্ত্রী পরিষদ বিভাগের সচিবকে প্রতিপক্ষ করা হয়েছে।

সোহাগ মাল্টিমিডিয়া এন্ড ট্র্যাভেলস

রীট পিটিশনে উল্লেখ করা হয়েছে, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মন্ত্রী পরিষদ বিভাগের স্মারক নং মপবি/মাপ্রস/২(৪৯)/২০০৮(অংশ-২)/৭৭ তারিখঃ ২৩ মার্চ ২০০৯ অনুযায়ী ১৯৭২ সালের জাতীয় পতাকা বিধির চতুর্থ অনুচ্ছেদ মোতাবেক উপজেলা পর্যায়ে ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস, ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস এবং সরকার ঘোষিত অন্য যে কোন দিনে আয়োজিত অনুষ্ঠানাদি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কর্তৃক জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও সালাম গ্রহণ করা হবে। যা কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার কর্তৃক অগ্রাহ্য করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি এফ.আর.এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে.এম কামরুল কাদেরের দ্বৈত বেঞ্চ প্রতিপক্ষকে ৪ সপ্তাহের মধ্যে কারণ দর্শাতে রুলনিশি ইস্যু করেছেন।

এ দিকে উপজেলা চেয়ারম্যানের চেয়ারে দায়িত্বশীল অবস্থায় রীট পিটিশন করা যায় কি-না, প্রশাসন থেকে এ ধরণের প্রশ্ন তোলা হয়েছে। এ ব্যাপারে বৃহস্পতিবার সকালে কেশবপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা কাজী রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘গত বছরের ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে আমি উপস্থিত থাকার পরও সংবিধান ও সরকারের আইন ভঙ্গ করে আমাকে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও সালাম গ্রহণ করতে দেয়া হয়নি। এখানে আমাকে অসম্মান করা মানে রাষ্ট্রকে অসম্মান করা। এ রাষ্ট্রের একজন নাগরিক হিসেবে উচ্চ আদালতে রীট পিটিশন করার অধিকার আমার রয়েছে।’
কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুসরাত জাহান বলেন, ‘অফিসিয়ালি বিষয়টি আমি জেনেছি।’ এর বেশী কিছু বলতে তিনি অপারগতা প্রকাশ করেন।

সুন্দরবনটাইমস.কম/নিজস্ব প্রতিবেদক

 


আপনার মতামত লিখুন :

নিজস্ব প্রতিবেদক