পাইকগাছার হরিঢালীতে কৃষকলীগে সদস্য সচিব শিবির নেতা, এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া! প্রকাশিত: ৫:৪৭ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২০ | আপডেট: ৫:৪৭:অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২০ নিজস্ব প্রতিবেদক, কপিলমুনি(খুলনা): খুলনার পাইকগাছা উপজেলার ১নং হরিঢালী ইউনিয়ন কৃষকলীগে শিবির নেতা শেখ আলামিনকে সদস্য সচিব মনোনীত করায় ফুঁসে উঠেছে দলীয় নেতা কর্মীরা। এ ঘটনার পর থেকে সর্বত্র সমালোচনা ও মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। তাদের দাবি, দলের দুঃসময়ের নেতা কর্মীদের মুল্যায়ন না করে উপজেলা নের্তৃবৃন্দ কৃষকলীগে সদ্য যুক্ত হওয়া শিবির নেতা আল আমিনকে কিভাবে দলের সদস্য সচিব পদে ঢুকাতে পারেন? ঘটনার পর থেকে নেতাকর্মীরা তাদের প্রতিক্রিয়া ব্যাক্ত করে বিভিন্ন স্টাটাস ফেইসবুক ওয়ালে পোস্ট করেছে। কৃষকলীগ নেতা শেখ ফারুক হোসেন জানান, আল আমিন ইতোপূর্বে নিষিদ্ধ জামায়াতে ইসলামীর অঙ্গ সংগঠন ছাত্র শিবিরের নেতা ছিলেন। আল আমিন রাতারাতি নিজেকে বদলিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ছত্রছায়ায় এসেছে। এবং কয়েক দফায় পদ দখলের চেষ্টায় লবিং করে। সর্বশেষ মোটা টাকা ব্যয় করে হরিঢালী ইউনিয়ন কৃষকলীগের সদস্য সচিব পদটি নিয়ে নেয়। কোন কাউন্সিল ছাড়ায় এবং তৃণমূলের মতামত ব্যাতিরেকে তাকে এমন একটি পদ প্রদান রীতিমতো বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। তিনি আরোও বলেন, আমরা চাই দলের নিয়মিত এবং ত্যাগীরাই কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করা হোক। জানাগেছে, ১ ফেব্রুয়ারী কৃষকলীগ আয়োজিত কপিলমুনি দলীয় কার্যালয়ে এক সভায় বিষ্ণু রায় কে শোকস্ নোঠিশ না দিয়ে দলীয় শৃংখলা ভঙ্গের অজুহাতে স্থায়ী ভাবে বহিষ্কার করা হয়। যা সম্পুর্ন অবৈধ দাবি করে কৃষক লীগের অপর একটি গ্রুপ তাদের মিছিল মিটিং অব্যাহত রাখে। এ ঘটনায় বিতর্ক সামলাতে হরিঢালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আহবায়ক শেখ বেনজির আহমেদ বাচ্চু বিষয়টি নিয়ে সুষ্ঠু সমাধানের আশ্বাস দেন কৃষকলীগের স্থানীয় নেতা কর্মীদের। এক পর্যায় কৃষকলীগের উর্দ্ধতন নেতাদের সাথে পরামর্শ করে কমিটি তৈরির আশ্বাসও দেন বিদ্রোহী নেতাকর্মীদের। এ বিষয়ে সদ্য মনোনীত কৃষকলীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য সচিব আল আমিন জানান, বিষয়টি উর্দ্ধতন নেতাদের। আমাকে শিবির বলা ঠিক না। আমি অনেক দিন যাবৎ কাজ করছি। হরিঢালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আহবায়ক শেখ বেনজির আহমেদ বাচ্চু বলেন, বিষয়টি নিয়ে বাড়াবাড়ি করা হয়েছে। একজনকে বাদ দিতে হলে প্রথমে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিতে হয়। তখন তাকে অন্তর্র্বতীকালীন অব্যহতি দেওয়া যায়। সঠিকভাবে কারণ দর্শানোর পর তাকে স্থায়ী অব্যহতি প্রদানের নিয়ম রয়েছে। কিন্তু এখানে তার উল্টোটা ঘটেছে বা নিয়ম বহির্ভূত করা হয়েছে বলে মনে হয়েছে। সুন্দরবনটাইমস.কম/এইচ এম এ হাশেম সংবাদটি ৬৮৬ বার পড়া হয়েছে আপনার মতামত লিখুন : আরও পড়ুন কপিলমুনিতে শিশু সন্তানকে খেলতে পাঠিয়ে মায়ের আত্মহত্যা! কপিলমুনিতে ওয়ারেন্টভুক্ত আসামীদের নামের তালিকা টানিয়েছে থানা পুলিশ