হাবিবের পক্ষে সাফাই সাক্ষী দিলেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভি প্রকাশিত: ৪:৩৪ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ৩১, ২০২০ | আপডেট: ৪:৩৪:অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ৩১, ২০২০ সাতক্ষীরায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়ি বহরে হামলা মামলায় আসামীদের পক্ষে সাফাই স্বাক্ষী দিলেন বিএনপি’র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভি। সাতক্ষীরার কলারোয়ায় তৎকালিন বিরোধী দলীয় নেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়ি বহরে হামলা মামলার অন্যতম আসামি হাবিবুল ইসলাম হাবিবের পক্ষে শেষ সাফাই সাক্ষ্য দিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ন মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। বৃহস্পতিবার (৩১ ডিসেম্বর) সাতক্ষীরা চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হুমায়ুন কবীরের আদালতে এ কার্যক্রম সম্পন্ন হয়। আগামী বুধবার (৬ জানুয়ারি) আলোচিত এই মামলার যুক্তিতর্ক হবে। সাতক্ষীরা জজকোর্টের পিপি অ্যাডভোকেট আব্দুল লতিফ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আজ রুহুল কবির রিজভীর সাফাই সাক্ষী ও জেরা করার মাধ্যমে শেষ হলো সকল সাক্ষীর সাক্ষ্য কার্যক্রম। এদিকে রুহুল কবির রিজভী সাফাই সাক্ষ্য শেষে সাংবাদিকদের বলেন,আমরা আশা করছি ন্যায় বিচার পাব। ঘটনার দিন হাবিবুল ইসলাম হাবিব ঢাকাতে ছিলেন। প্রসঙ্গত: ২০০২ সালের ৩০ আগস্ট তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ধর্ষিতা এক মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রীকে দেখতে আসেন। হাসপাতাল থেকে ঢাকায় ফেরার পথে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সাতক্ষীরার কলারোয়া বিএনপি অফিসের সামনে গাড়ি বহরে হামলার অভিযোগ ওঠে তৎকালিন সাতক্ষীরা-১ আসনের সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। এঘটনায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোসলেম উদ্দীন বাদী হয়ে উপজেলা যুবদলের সভাপতি আশরাফ হোসেনসহ ২৭ জনের নাম উল্লেখ পূর্বক অজ্ঞাত ৭০/৭৫ জনের নামে থানায় ব্যর্থ হয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেন। পরে আদালতের নির্দেশে এক যুগ পর ২০১৪ সালের ১৫ অক্টোবর কলারোয়া থানায় মামলাটি রেকর্ড করা হয়। এরপর ২০১৫ সালের ১৭ মে জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাতক্ষীরা ১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ ৫০ জনের নাম উল্লেখ করে ৩০ জনকে স্বাক্ষী করে সম্পূরক অভিযোগপত্র জমা দেন মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা শেখ সফিকুল ইসলাম। সাতক্ষীরা চীপ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ৯ জন স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্য গ্রহণের পর ২০১৭ সালের ২১ সেপ্টেম্বর আসামীপক্ষের আপীল আবেদনে মামলার কার্যক্রম স্থগিতের আদেশ দেন উচ্চতর আদালত। এরপর রাস্ট্রপক্ষের আইনজীবীদের আবেদনের প্রেক্ষিতে উচ্চতর আদালত চলতি বছরের ২২ অক্টোবর মামলাটির স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে নথি পাওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে মামলাটি নিষ্পত্তি করতে চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতকে নির্দেশ দেন। সেই নির্দেশ অনুযায়ী মামলাটি বিচারিক কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। মামলায় ২০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। ৪৯ জন আসামীর মধ্যে ১৬ জনের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে। এসজি/ডেক্স সংবাদটি ৬৪৬ বার পড়া হয়েছে আপনার মতামত লিখুন : আরও পড়ুন তালায় মটরসাইকেল-পিকআপ মুখোমুখি সংঘর্ষ: নিহত ১, আহত ২ সাতক্ষীরায় জিপি, পিপি ও নারী-শিশু পিপিসহ ৩৪ আইন কর্মকর্তা নিয়োগ