সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা: রুহুল হক সহ ৫৪জনের বিরুদ্ধে সাতক্ষীরায় হত্যা মামলা

প্রকাশিত: ৬:৪১ অপরাহ্ণ, আগস্ট ২২, ২০২৪ | আপডেট: ৬:৪১:অপরাহ্ণ, আগস্ট ২২, ২০২৪
ফাইল ছবি। ডা: রুহুল হক

সাতক্ষীরার দেবহাটার এক যুবককে তুলে নিয়ে হত্যার ঘটনায় এবার সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা: আ.ফ.ম রুহুল হক, সাবেক এসপি চৌধুরী মঞ্জুরুল কবির ও সাবেক এএসপি সদর সার্কেল কাজী মনিরুজ্জামানসহ ৫৪ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে।

সোহাগ মাল্টিমিডিয়া এন্ড ট্র্যাভেলস

বৃহস্পতিবার (২২ আগষ্ট) দুপুরে সাতক্ষীরা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালত-৭ এ মামলাটি দায়ের করেন নিহতের ভাই রবিউল ইসলাম। আদালতের বিচারক মোহিতুল ইসলাম মামলাটি আমলে নিয়ে সংশ্লিষ্ট থানার ওসিকে এফ.আই.আর হিসেবে গন্য করার নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলার অন্যান্য আসামীরা হলেন, তৎকালীন এএসপি কালিগঞ্জ সার্কেল মনিরুজ্জামান, দেবহাটা থানার ওসি তারক বিশ্বাস, এসআই জিয়াউল হক, শেখ আলী আকবর, তপন কুমার সিংহ, ইউনুস আলী গাজী, পিএসআই তানভীর হাসান, এএসআই এফ এম তারেক, এএসআই মদন মোহন অধিকারী, কনস্টেবল দেবাশীষ অধিকারী, জাহাঙ্গীর, গৌতম সাহা, আনোয়ার, আব্দুল্লাহ, ইসমাইল, মাহাফুজুল হক, আবু জাফর, শহিদুল, রেজাউল,ইব্রাহীম, শাহ জাহান, আবুল হাসেম, হাদিস উদ্দিন, আ: মজিদ, দলিল উদ্দিন, নুর ইসলাম, মনজুরুল, মেহেদী, দেবহাটা গ্রামের নজরুল ইসলাম, মুজিবর রহমান, মোমিন গাজী, সাংবাড়িয়া গ্রামের মজিবর রহমান, নওয়াপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন সাহেব আলী, নংলা গ্রামের মাহমুদুল হক লাভলু, ঘোনাপাড়া গ্রামের সামছুর রহমান, মনতেজ, হাবিবুল্লাহ গাজী, মোস্তফা বিশ্বাস, মাহমুদ গাজী, রমজান গাজী, ছুটিপুর গ্রামের আব্দুর রশিদ, নওয়াপাড়া গ্রামের মনিরুজ্জামান মনি, এবাদুল গাজী, সিদ্দিক গাজী, মাঝের আটি গ্রামের আকবর আলী, নাজমুস শাহাদাত (নফর বিশ্বাস), জারিফুল ইসলাম, সাতক্ষীরা শহরের কামালনগর গ্রামের কিলার কামরুল (কেটো কামরুল) এবং দেবহাটার কোমরপুর গ্রামের আবু মুসা।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, বিগত ২০১৪ সালের ১৪ জানুয়ারি দেবহাটার নাংলা গ্রামের আব্দুল হান্নানের পুত্র আনারুল ইসলাম নিজস্ব মৎস্যঘের কাজ করছিল। এসময় উল্লেখিত ব্যক্তিদের সহযোগিতায় পূর্ব পরিকল্পিতভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে আনারুল ইসলামকে পুলিশ আটকের চেষ্টা করলে তিনি জীবনের ভয়ে দৌড় দিলে পুলিশ তাকে গুলি করে হত্যা করে। এরপরও উল্লেখিত ব্যক্তিদের নির্দেশে মৃত্যু নিশ্চিত না পর্যন্ত নির্যাতন করতে থাকে। অথচ উল্টো মৃত আনারুল ইসলামকে আসামী করে মামলা দায়ের করা হয়। সে সময় রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট ভিন্ন থাকায় মামলা করার সাহস পায়নি। তবে শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর পরিস্থিতি অনুক‚লে আসায় ন্যায় বিচার পাওয়ার দাবিতে মামলা রুজু করেছেন বলে বাদী রবিউল ইসলাম দাবি করেছেন।

এ মামলায় বাদী পক্ষের আইনজীবি ছিলেন, এড. এ.টি.এম বাসারুতুল্লাহ আওরঙ্গী বাবলা ও এড. হাফিজুর রহমান।

 

এসজি/ডেক্স


আপনার মতামত লিখুন :

নিজস্ব প্রতিবেদক। ডেক্স