সাতক্ষীরায় করোনা সনাক্তের হার ৫২ দশমিক ৮৫ শতাংশ প্রকাশিত: ২:২২ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২৬, ২০২২ | আপডেট: ২:২২:অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২৬, ২০২২ সাতক্ষীরায় গত ২৪ ঘন্টায় করোনা উপসর্গ নিয়ে বুধবার দুপুর পর্যন্ত তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ (সামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়। জেলায় বুধবার (২৬ জানুয়ারি) দুপুর ১২টা পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন মোট ৮৮ জন এবং করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন মোট ৭৮১ জন। জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্র জানায়, জ্বর, সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্টসহ করোনার নানা উপসর্গ নিয়ে বেশ কয়েকদিন আগে মৃত ও্ই তিননজন সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ (সামেক) হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ভর্তি হন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৪ জানুয়ারি বিভিন্ন সময় তাদের মৃত্যু হয়। এদিকে, গত ২৪ ঘন্টায় সাতক্ষীরায় নতুন করে আরও ৬৫ জন করোনা শনাক্ত হয়েছে। র্যাপিড এন্টিজেন কীট ও সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ (সামেক) হাসপাতালের আরটি পিসিআর ল্যাবে মোট ১২৩টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। শনাক্তের হার ৫২ দশমিক ৮৫ শতাংশ। সামেক হাসপাতাল সূত্র জানায়, জ্বর, সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্টসহ করোনার নানা উপসর্গ নিয়ে ২৫ জানুয়ারি পর্যন্ত মোট ৫১ জন রোগী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছেন। এর মধ্যে ৫ জন করোনা পজেটিভ ও বাকি ৪৬ জন সাসপেক্টেড। নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটে (আইসিইউ) ভর্তি আছে ৮ জন। সিভিল সার্জন ডা. হুসাইন সাফায়াত জানান, গত ২৪ ঘন্টায় সাতক্ষীরা সামেক হাসপাতালের আরটি পিসিআর ল্যাবে ৯২ নমুনা পরীক্ষা করে ৫০ জনের করোনা শনাক্ত হয়। সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে র্যাপিড এন্টিজেন কীটে ৩১টি নমুনা পরীক্ষা করে আরো ১৫ জনের করোনা পজেটিভ শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ৫২ দশমিক ৮৫ শতাংশ। জেলায় ২৫ জানুয়ারি পর্যন্ত সাতক্ষীরা জেলায় মোট করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৭ হাজার ১৬ জন। জেলায় মোট সুস্থ হয়েছেন ৬ হাজার ৮১৫ জন। গত ২৪ ঘন্টায় সুস্থ হয়েছে ৫ জন। বর্তমানে জেলায় করোনা রোগী রয়েছে ১১৩ জন। এর মধ্যে হাসপাতালে ভর্তি করোনা রোগীর সংখ্যা ৫ জন। বাড়িতে হোম আইসোলেশনে আছেন ১০৮ জন। জেলায় প্রথম থেকে ২৫ জানুয়ারি পর্যন্ত ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ৮৮ জন এবং উপসর্গে মারা গেছেন আরো ৭৮১ জন। জেলায় গড় সংক্রমণের হার ২০ দশমিক ০৮ শতাংশ। সিভিল সার্জন আরও জানান, গত ২৫ জানুয়ারি পর্যন্ত জেলায় ১ লক্ষ ৫৬ হাজার ৬১৭ জন এস্ট্রোজিনিকা ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ গ্রহণ করেছেন। আর দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণ করেছেন ৮৫ হাজার ৬০৫ জন। এদিকে, সিনোফার্ম ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ গ্রহণ করেছেন ৮ লক্ষ ৯৯ হাজার ৩৩৮ জন এবং দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণ করেছেন ৭ লক্ষ ৯০ হাজার ৪৪৬ জন। ফাইজার ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ গ্রণ করেছেন ২ লক্ষ ২১ হাজার ৪৩০ জন। দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণ করেছেন ১৯ হাজার ৮৬০ জন। সিনোভ্যাক্স ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ গ্রণ করেছেন ১ লক্ষ ১৫ হাজার ৮১১ জন। এস্ট্রোসেনিকা ভ্যাকসিনের বুস্টার ডোজ গ্রহণ করেছেন ১৬ হাজার ৪৬ জন এবং ফাইজার ভ্যাকসিনের বুস্টার ডোজ গ্রহণ করেছেন ৯১ জন। জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের সর্বশেষ তথ্য, জেলায় এ পর্যন্ত প্রথম ডোজ ভ্যাকসিন দেয়া হয়েছে ১৩ লক্ষ ৯৩ হাজার ১৯৬ জনকে। দ্বিতীয় ডোজ ভ্যাকসিন দেয়া হয়েছে ৮ লক্ষ ৯৫ হাজার ৯১১ জনকে এবং তৃতীয় ডোজ ভ্যাকসিন প্রদান করা হয়েছে ১৬ হাজার ১৩৭ জনকে। এসজি/ডেক্স সংবাদটি ৫৮৪ বার পড়া হয়েছে আপনার মতামত লিখুন : আরও পড়ুন নির্যাতিতদের নিয়ে সরকার গঠন হবে: তারেক রহমান অন্ত্র ও গুলিসহ তিন বনদস্যু আটক