সাতক্ষীরার উপকুলে বেঁড়িবাধ ভেঙে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত প্রকাশিত: ৬:৩৯ অপরাহ্ণ, আগস্ট ২১, ২০২০ | আপডেট: ৬:৪৫:অপরাহ্ণ, আগস্ট ২১, ২০২০ সাতক্ষীরার উপকুলে বেঁড়িবাধ ভেঙে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত সাতক্ষীরার উপকুলীয় উপজেলা আশাশুনি ও শ্যামনগরের বিভিন্ন স্থানে জরাজীর্ণ বেঁড়িবাধ ভেঙে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। ভেসে গেছে হাজার হাজার বিঘা মৎস্য ঘের ও ফসলি জমি। পানি বন্দী হয়ে পড়েছে আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর ও শ্রীউলা ইউনিয়নের লক্ষাধিক মানুষ। মানবেতর জীবন যাপন করছেন এ দুই ইউনিয়নের বাসিন্দারা। সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) বিভাগ-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী সুধাংশ কুমার সরকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ঘূর্ণিঝড় আম্পানের দীর্ঘ তিন মাস পেরিয়ে গেলেও পানি বন্দী রয়েছে প্রতাপনগর ও শ্রীউলা ইউনিয়নের লক্ষাধিক মানুষ। বর্তমানে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৩-৪ ফুট পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রতাপনগর ইউনিয়নের চাকলা, কুড়িকাউনিয়া, হরিশখালী ও শ্রীউলা ইউনিয়নের হাজরাখালী ও কোলা দিয়ে পানি লোকালয়ে প্রবেশ করে বিস্থীর্ণ প্লাবিত হয়েছে। জোয়ার-ভাটা বইছে লোকালয়ে ও বাড়ির উঠানে। ভেঙে পড়েছে স্যানিটেশন ব্যবস্থা। এতে চরম স্বাস্থ্য ঝুঁকির মধ্যে বিশাল জনগোষ্ঠী। দেখা দিয়েছে সুপেয় পানির অভাব। এদিকে, শ্যামনগরের গাবুরা ইউনিয়নে স্থানীয় ইউপি চেয়ারর্যানের নেতৃত্বে হাজার হাজার এলাকাবাসী গতকাল রাত থেকে আজ শুক্রবার দুপুর ১২ টা পর্যন্ত স্বেচ্ছাশ্রমে কাজ লেবুবুনিয়া গ্রামের যে ৬ টি স্থানের রিংবাধ ভেঙে গিয়েছিল তা কোন রহমে মেরামত করেছেন। তবে, পরবর্তী জোয়ারে কি হবে তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মাসুদুল আলম। স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরের প্রবল জোয়ারে এই আশাশুনি ও শ্যামনগরের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়। তারা আরো জানান, এখনই যদি বেড়িবাধ সংস্কার করা না হয় তাহলে পরবর্তী জোয়ারে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হবে। আশাশুনি উপজেলার শ্রীউলা ইউপি চেয়ারম্যান আবু হেনা শাকিল জানান, তার গোটা ইউনিয়ন এখন পানিতে নিমজ্জিত। সাধারন মানুষ বর্তমানে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা ইউপি চেয়ারম্যান মাসুদুল আলম জানান, তার ইউনিয়নে লেবুবুনিয়া, গানুরা ও খলসিখালী তিনটি গ্রাম এখনও প্লাবিত। তবে, হাজার হাজার এলাকাবাসীকে নিয়ে স্বেচ্ছাশ্রমে কোন রকমে রিংবাধ দিয়ে পানি বন্ধ করা হয়েছে। তবে, পরবর্তী জোয়ারে কি হবে তা বলা যাচ্ছেনা। আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শেখ জাকির হোসেন জানান, প্রতাপনগর ইউনিয়নের কমপক্ষে ২০ টি গ্রামে পানি আরো বেড়েছে। ফলে ওই এলাকার ৪০ হাজার মানুষের মধ্যে কমপক্ষে ৩০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। আশাশুনি উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান অসিম বরন চক্রবর্তী জানান, বর্তমানে তার উপজেলার প্রতাপনগর ও শ্রীউলা ইউনিয়নের লক্ষাধিক মানুষ পানি বন্দী হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। ভেসে গেছে হাজার হাজার বিঘা মৎস্য ঘের ও ফসলি জমি। পাউবো বিভাগ-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী সুধাংশ কুমার সরকার আরও জানান, কয়েকটি স্থানে রিংবাধ দিয়ে পানি বন্ধ করা হয়েছে। তিনি আরও জানান,আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর ইউনিয়নের চাকলা ও কুড়িকাউনিয়া এবং শ্রীউলা ইউনয়নের হাজরাখালী পয়েন্টে বেঁড়িবাধ ভেঙে এতই গভীর হয়েছে যে সেখানে এখন বেঁড়িবাধ সংস্কার করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। সংবাদটি ৭৮৬ বার পড়া হয়েছে আপনার মতামত লিখুন : আরও পড়ুন দেবহাটায় ট্রলি চাঁপায় এক স্কুল ছাত্রী নিহত নির্যাতিতদের নিয়ে সরকার গঠন হবে: তারেক রহমান