মাগুরাঘোনার বাদুড়িয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে বার্ষিক পরীক্ষা নির্ধারিত সময়ের পরে নেয়ার অভিযোগ প্রকাশিত: ৬:২৭ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ৯, ২০১৯ | আপডেট: ৬:২৭:অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ৯, ২০১৯ নিজস্ব প্রতিবেদক, চুকনগর(খুলনা): সরকারী নির্দেশনা অমান্য করে মাগুরাঘোনার বাদুড়িয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা শাহিদা খাতুনের বিরুদ্ধে বার্ষিক পরীক্ষা নির্ধারিত সময়ের পরে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এঘটনায় ছাত্র-ছাত্রী,অভিভাবক ও ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। প্রত্যাহারের দাবি। সারা দেশের ন্যায় বাদুড়িয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বার্ষিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। কিন্তু গনিত পরীক্ষার দিন পরীক্ষায় নির্ধারিত সময় (সকাল-১০টা) অতিক্রম করলেও পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষার খাতা ও প্রশ্ন পত্র দেয়া হয়নি। এ সময় ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবকরা পরীক্ষার খাতা ও প্রশ্ন পত্র না দেয়ার কারণ জানতে অন্যান্য শিক্ষকরা জানায় প্রধান শিক্ষিকা না আসার কারণে খাতা ও প্রশ্ন পত্র দিতে একটু দেরি হবে। তখন তারা কোমলমতি ছেলে-মেয়েদের নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েন। এঘটনায় ছাত্র-ছাত্রী সহ অভিভাবকরা রাগে ও ক্ষোভে হৈচৈ শুরু করে। প্রায় ১০টা ১০মিনিটে প্রধান শিক্ষিকা শাহিদা খাতুন স্কুলে প্রবেশ করেন। এরপর পরীক্ষার্থীদের খাতা ও প্রশ্ন পত্র দেয়া হয়। তখন ঘড়িতে প্রায় ১০টার ১৫ থেকে ২০মিনিট হবে। কোমলমতি শিশুরা বাড়তি চাপ সহ তড়িঘড়ি করে পরীক্ষা দেয়া শুরু করে। পরীক্ষা শেষে তারা জানায় দেরিতে খাতা ও প্রশ্ন পত্র গনিত পর্ক্ষীা অনেক খারাপ হয়ে গেছে। অথচ পরীক্ষা শুরু হওয়ার ১৫ মিনিট আগে পরীক্ষার্থীদের খাতা দেয়ার বিধান রয়েছে। এ ঘটনায় ছাত্র-ছাত্রী, অভিভাবক মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। আসলে গনিত পরীক্ষার দিন প্রধান শিক্ষিকার স্কুলে আসতে ৭/৮মিনিট দেরি হয়েছে একথা স্বীকার করেন ঐ বিদ্যালয়ের শিক্ষক জাহিদুর রহমান। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে প্রায় প্রতিদিনই নির্ধারিত সময়ের পরে স্কুলে আসা ও ছেলেমেয়েদের ক্লাস না নেয়ার অভিযোগও রয়েছে। তাই অনতিবিলম্বে প্রধান শিক্ষিকাকে প্রত্যাহার করার দাবি জানিয়েছে অভিভাবকরা। এব্যাপারে প্রধান শিক্ষিকার শাহিদা খাতুন বলেন, পরীক্ষার সময় আমার দেরিতে স্কুলে আসা আসলে ভুল হয়েছে। বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির অভিভাবক সদস্য দ্বীন মোহাম্মদ বলেন, প্রধান শিক্ষিকা এ বিদ্যালয়ে আসার পর থেকে স্কুলে যাওয়া আসা সহ সবকিছু নিজের ইচ্ছামত করেন। কোন বিষয় তিনি কমিটির সদস্যদের সাথে বসার প্রয়োজন মনে করেন না। বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মোজহার আলী বিশ্বাস বলেন, সরকারী নির্দেশনা অমান্য করে পরীক্ষা শুরু হওয়ার ১০মিনিট পর স্কুলে এসে তারপর পরীক্ষা নেয়া এটা কোন বিধানে পড়ে সেটা আমি জানি না। এভাবে চলতে থাকলে অভিভাবকদের কোন জবাব দেয়া যায় না। তবে কোমলমতি ছেলেমেয়েদের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি করা উনার ঠিক হয়নি। তাছাড়া ইতেপূর্বে প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে অভিযোগ শুনতে শুনতে আমাদের কান ঝালাপানা হয়ে গেছে। ডুুমুরিয়া উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার(এটিও) রেক্সোনা আক্তার বলেন, প্রধান শিক্ষিকা যদি নির্ধারিত সময়ের পর পরীক্ষা নেয়। তাহলে আমরা তার বিরুদ্ধে অবশ্যই আইনগত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করব। সুন্দরবনটাইমস.কম/গাজী আব্দুল কুদ্দুস/চুকনগর সংবাদটি ১৮০ বার পড়া হয়েছে আপনার মতামত লিখুন : আরও পড়ুন চুকনগরে চিংড়িতে অপদ্রব্য পুশ করায় ভ্রাম্যমান আদালতে জরিমানা চুকনগরে ইঞ্জিন ভ্যান চালাতে গিয়ে ৬ বছরের শিশুর করুন মৃত্যু