বৃষ্টিতে প্লাবিত খুলনার গিলাতলা: চরম দুর্ভোগে এলাকাবাসি

প্রকাশিত: ৬:১৫ অপরাহ্ণ, আগস্ট ৪, ২০২০ | আপডেট: ৯:২৪:অপরাহ্ণ, আগস্ট ৪, ২০২০
খুলনার ফুলতলা উপজেলার ১নং আটরা গিলাতলা ইউনিয়ন পরিষদের ৫নং ওয়ার্ডে সামান্য বৃষ্টিতেই প্লাবিত হয় রাস্তাঘাট এবং বেশির ভাগ বসবাসকারীর ঘরের মধ্যে প্রবেশ করে বৃষ্টির পানি। অত্র এলাকায় ৪০ থেকে ৫০টি বাড়ি তাতে বিভিন্ন পেশার প্রায় ১৫০ থেকে ২শত পরিবারের বাসবাস আর এসব বাসিন্দার জন্য মহল্লার ভেতরে যাতায়াতের সড়কই প্রতি বছর বৃষ্টির মৌসুমে থাকে পানির নিচে থাকে এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি।
 
স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, মহল্লার পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা স্বাধীনতার পর থেকে এখন পর্যন্ত হয়নি তবে সাথেই জাহানাবাদ ক্যান্টমেন্ট সীমান প্রাচীর নিচ দিয়ে বিগত বছরে মহল্লার পানি নিষ্কাশন হতো কিন্তু সেটি বন্ধ হওয়ায় বিপাকে মহল্লাবাসি। বৃষ্টি মৌসুমে রাস্তাঘাট থাকে পানির নিচে চরম ভোগান্তি সহ সাপের ভয়ে রয়েছেন মহল্লাবাসি। ছোট ছেলে মেয়েদের স্কুলে যাতায়াত, চাকুরীজীবিদের অফিসে যাতায়াতে চরম ভোগান্তিতে রয়েছেন বসবাসকারী।
 
স্থানীয়দের ব্যক্তিগত প্রচেষ্টায় গতবছর প্রায় দুইলক্ষ টাকা ব্যয়ে রাস্তায় বালি ভরাট করে উচু করা হয় সেই সাথে পাকা ড্রেন করা হয় তাতে সুফল পাওয়া যায়নি তার প্রধান কারন মহল্লার প্রধান সড়কের চেয়ে মহল্লা ‍নিচু হওয়ায় মহল্লার পানি নিষ্কাশন হয়না। ১নং আটরা গিলাতলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ মনিরুল ইসলাম কে মহল্লাবাসি তাদের দুর্ভোগের কথা জানান এবং মহল্লাবাসির একটাই দাবী প্রধান সড়কের পাশ দিয়ে গভীরতা বেশি দিয়ে পাকা ড্রেন নির্মান। চেয়ারম্যান আশ্বাস প্রদান করেন মহল্লার পানি নিষ্কাশনের জন্য পাকা ড্রেন নির্মান করে দিবেন কিন্তু আশ্বাস এর একটি বছর পার হলেও সেটি আজও বাস্তবায়ন হয়নি। অথচ যেখানে ড্রেনের কোনধরনের প্রয়োজন না থাকা সত্বেও ৫নং ওয়ার্ড এর সদস্য গোলাম মোস্তাফা তার বাড়ি সংলগ্ন মহল্লায় প্রায় ২ কিলোমিটার পাকা ড্রেন নির্মান করেছেন। অথচ তারই ওয়ার্ডে অপর মহল্লায় প্রতিবছর পানি বন্দি রয়েছেন ২শত পরিবার যা ইউপি সদস্য অবগত রয়েছেন।
 
এ ব্যাপারে খুলনা গিলাতলার ৫ নং ওয়ার্ডবাসিরা খুলনা-৫ আসনের সাংসদ সদস্য বাবু নারায়ন চন্দ্র চন্দর সু-নজর ও হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।  মহল্লাবাসির একটাই দাবী পানি নিষ্কাশনের জন্য পাকা ড্রেন নির্মান এর মাধ্যমে দুর্ভোগ থেকে মুক্তা করা হোক।

আপনার মতামত লিখুন :

মোঃ ইউসুফ শেখ। প্রতিবেদক। ফুলতলা, খুলনা