বরগুনাতে ৪০ শতাংশ পানিতে ব্যাকটেরিয়া দূষণ পাওয়া গেছে ! প্রকাশিত: ৩:১৪ অপরাহ্ণ, আগস্ট ২১, ২০২৩ | আপডেট: ৩:১৪:অপরাহ্ণ, আগস্ট ২১, ২০২৩ বরগুনাতে উন্নত উৎসের পানি পানের হার বেড়েছে, তবে এখনো ৪০ শতাংশ পানিতে ব্যাকটেরিয়া দূষণ পাওয়া গেছে । সম্প্রতি সমাপ্ত নেদাররল্যান্ড সরকারের আর্থিক সহযোগিতায় ওয়াশ এসডিজি প্রকল্পের আওতায় পরিচালিত শেষ জরিপে উক্ত ফলাফল পাওয়া যায় । জরিপে দেখা যায় যে, বেইজলাইন (২০১৮) জরিপে প্রাপ্ত ফলাফল থেকে এন্ডলাইন জরিপে উন্নত উৎস থেকে পানি পানের হার বেড়েছে । কিন্তু পানিতে ই-কোলাই ব্যাকটেরিয়া দূষণ পাওয়া গেছে ৪০% নমুনাতে । এবং আর্সেনিক পাওয়া গেছে ৯ শতাংশ নমুনাতে। পানীয় জলের উৎসের দূরুত্ব কমেছে, যা গড়ে ৯.৫ মিনিট। বেইজলাইন জরিপে ১৭% গৃহস্থালির পানীয় জলের উৎস থেকে পানি সংগ্রহ করতে ৩০ মিনিটের বেশি সময় লাগত। এছাড়া ওপেন ডেফিকেশন (খোলা জায়গায় মলত্যাগ) প্রায় শূন্যের ঘরে এসেছে । হাইজিন অনুশীলন বেড়েছে ৯% থেকে ৯৩% এ। এ জরিপে মোট ১১১০ খানা, ২৯ স্কুল, ০৯ কমিউনিটি ক্লিনিক অংশগ্রহন করে। মোট ৫৫৫ খানার পানির নমুনা পরিক্ষা করা হয়, তিনটি প্যারামিটারে( আর্সেনিক, লবণাক্ততা এবং ই-কোলাই ব্যাকটেরিয়া)। এ জরিপে কলাপাড়া পৌর এলাকার ১৬০ খানা অর্ন্তভুক্ত করা হয় । এখানে উল্লেখ্য যে, ২০১৮ সালে প্রকল্প এর শুরুতে পানি, স্যানিটেশন এবং হাইজিন সর্ম্পকিত বিষয়ে জরিপ করা হয়েছিল এবং প্রকল্পের শেষে ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাসে শেষ জরিপে উক্ত একই বিষয়গুলো বিশ্লেষণ করা হয়। এতে দেখা গেছে প্রায় প্রতিটি সূচকে পানি, স্যানিটেশন এবং হাইজিন এর পরিস্থিতি উন্নীত হয়েছে। তবে ব্যাকটেরিয়া দূষণ বেড়ে বেইজলাইন এ ৩৪% ছিল। উপরেল্লিখিত ফাইন্ডিংস, ২১ আগষ্ট ২০২৩ বরগুনার আরডিআরএফ মিটিং ভেন্যুতে জরীপকৃত এলাকার ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা, স্কুল কমিউনিটি ক্লিনিক, ওয়াশ উদ্যাক্তাদের সাথে শেয়ার করা হয়। উক্ত ওয়ার্কশপে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বরগুনা পৌরসভার সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র-৩ হোসনেয়ারা চম্পা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে মূল্যবান বক্তব্য রাখেন, বরগুনা ডিপিএইচ‘র নির্বাহী প্রোকৌশলী মোঃ রাইসুল ইসলাম, বেতাগী পৌরসভার প্যানেল মেয়র-১ ও ৩নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলরর এবিএস মাসুদুর রহমান, ঢলুয়া ইউপি চেয়ারম্যান আজিজুল হক স্বপন, বরগুনা প্রেসক্লাব সভাপতি এ্যাডভোকেট সঞ্জিব দাশ। ওয়ার্কশপে সভাপতিত্ব করেন, বরগুনা সদরের ৪নং কেওড়াবুনিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান নসা। ওয়ার্কশপে মুল প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন, সিমাভি’র মনিটরিং ইভাল্যুয়েশন এন্ড লার্নিং অফিসার মোঃ শামসুর রহমান। তিনি বরগুনা ও পটুয়াখালী অঞ্চলের উপস্থাপনায় আরবান (পৌরসভা) এবং রুরাল (গ্রাম) এলাকা ভিত্তিক তুলনামুলক আলোচনা করেন । মূল উপস্থাপনার পর মুক্ত আলোচনায় সকল অংশগ্রহনকারী তাদের মতামত ব্যক্ত করেন এবং সিমাভি ও পার্টনার সংস্থা( ডরপ, হোপ ফর দ্যা পুরেস্ট, উত্তরণ, প্র্যাকটিকাল একশন, স্লোব বাংলাদেশ) প্রতিনিধিদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। এছাড়া আরো উপস্থিত ছিলেন, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদের প্রতিনিধি, মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক, স্যাকমো প্রতিনিধি, সিএসও প্রতিনিধি, এমএফআই প্রতিনিধি, সাংবাদিক ও স্থানীয় ব্যবসায়ীবৃন্দ। স্লোব বাংলাদেশের প্রকল্প ব্যবস্থাপক মোমিনুল ইসলাম এর উপস্থাপনায় ওয়ার্কশপে আরও উপস্থিত ছিলেন, সিমাভি‘র প্রোগ্রাম অফিসার সামীর কুমার পাল, উত্তরণ’র প্রকল্প সমন্বয়কারী হাসিনা পারভীন, এইচপি’র প্রজেক্ট ম্যানেজার ওয়াহিদুর রহমান, পিএবি’র মিউনিসিপালিটি কোঅর্ডিনেশন অফিসার গুলশানারা মেরী সহ প্রকল্পের অন্যান্য কর্মীরা। বার্তা প্রেরক/হাসিনা পারভীন/প্রকল্প সমন্বয়কারী/উত্তরণ সংবাদটি ২৫৫ বার পড়া হয়েছে আপনার মতামত লিখুন : আরও পড়ুন তালা উপজেলা ভূমি অফিস পাটকেলঘাটা থেকে স্থানান্তর না করার আহবান ১৩০কোটি টাকা ব্যয়ে সাতক্ষীরায় আইটি সেন্টার গড়ে তোলা হবে: প্রতিমন্ত্রী পলক