তালায় লুৎফর হত্যাকান্ডে শরীরে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি প্রকাশিত: ৭:৪১ অপরাহ্ণ, আগস্ট ২০, ২০২০ | আপডেট: ৭:৫১:অপরাহ্ণ, আগস্ট ২০, ২০২০ তালার লুৎফর নিকারীকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে, না কি অন্য কোন কারণে মৃত্যু হয়েছে- তা এখনও নিশ্চিত হওয়া সম্ভব হয়নি। তবে প্রাথমিকভাবে ময়না তদন্তে লাশ কাটার পর তার শরীরে কোন মারপিটের বা আঘাতের চিহ্ন পায়নি মেডিকেল টিম। আজ বৃহস্পতিবার(২০আগষ্ট) বিষয়টি নিশ্চিত করে সাতক্ষীরার সিভিল সার্জন ডা. হুসাইন শাফায়েত বলেন, লুৎফর নিকারী ময়না তদন্তের চুড়ান্ত রিপোর্ট পেতে প্রায় ১ মাস সময় লাগতে পারে। রিপোর্টগুলো আসলে লুৎফর নিকারীর মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে পুরোপুরি নিশ্চিত হওয়া যাবে। তবে তার শরীরে দৃশ্যমান এবং ময়না তদন্তের সময় লাশ কাটার পর কোন আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। নিহত লুৎফর নিকারীর পরিবারের অভিযোগ ২৫ লাখ টাকার বিনিময়ে ময়না তদন্ত রিপোর্ট পাল্টে দেওয়ার প্রচেষ্টা চলছে । যদিও বিষয়টি উড়িয়ে দিয়ে সাতক্ষীরার সিভিল সার্জন বলেন, এখনো ময়না তদন্তের পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট আসেনি। মামলা বিচারাধীন রয়েছে । কেউ যদি এধরনের অভিযোগ করে তবে তাকে আদালতের মাধ্যমে অভিযোগ প্রমাণ করতে হবে। জানা যায়, গত সোমবার(১৬আগষ্ট) রাত ১০টার দিকে তালার জিয়ালানলতা গ্রামের লুৎফর নিকারীর ছেলে সেলিম নিকারী নলবুনিয়া বিলের সরকারি খালে মাছ ধরছিলেন। তার পাশেই তালা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সরদার মশিয়ার রহমানের মৎস্য ঘের রয়েছে। ওই মৎস্য ঘেরের কর্মচারী ঘের থেকে মাছ চুরির অভিযোগে সেলিম নিকারীকে আটক করে ভাইস চেয়ারম্যান সরদার মশিয়ার রহমানকে খবর দেয়। সরদার মশিয়ার রহমান ঘটনাস্থলে পৌঁছালে ঘেরের কর্মচারীরা সেলিম নিকারীকে মারপিট করে। খবর পেয়ে সেলিম নিকারীর বাবা লুৎফর নিকারী ছেলেকে বাঁচাতে ঘটনাস্থলে যায়। এ সময় লুৎফর নিকারীকেও মারপিট করা হয় এবং এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়েছে বলে নিহতের পরিবারের অভিযোগ। এ ঘটনায় ৩ জনকে আসামি করে তালা থানায় সেলিম নিকারী বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে( মামলা নং-৭)। পরদিন মঙ্গলবার(১৭আগষ্ট) মামলায় সরদার মশিয়ার রহমানকে গ্রেফতার দেখিয়ে পুলিশ বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে সেপার্দ করে । সংবাদটি ৫১২ বার পড়া হয়েছে আপনার মতামত লিখুন : আরও পড়ুন খালেদা জিয়া বিদেশে চিকিৎসার জন্য, হাসিনা পালিয়েছে: হাবিব তালায় অধ্যক্ষ ইজ্জত উল্লাহ’র শুভেচ্ছা বিনিময় ও পথসভা অনুষ্ঠিত