তালায় এক গ্রাম ডাক্তার কর্তৃক প্রবাসীর ২০লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

প্রকাশিত: ৫:৫১ অপরাহ্ণ, জুলাই ২৬, ২০২০ | আপডেট: ৫:৫১:অপরাহ্ণ, জুলাই ২৬, ২০২০

সাতক্ষীরার তালার এক প্রবাসী নারীর পাঠানো টাকা তার মা’এর গৃহকর্তা প্রতারক গ্রাম ডাক্তার আজিজুর রহমান কর্তৃক আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। রবিবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তানে এক সংবাদ সম্মেলনে তালা উপজেলার কানাইদিয়া গ্রামের দ্বীন মজুর হান্নান শেখের স্ত্রী প্রবাসী ওই নারীর মা মর্জিনা বেগম এই অভিযোগ করেন।

সোহাগ মাল্টিমিডিয়া এন্ড ট্র্যাভেলস

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, সংসারে অভাব অনাটন থাকায় একই এলাকার মৃত আহম্মাদ গাজীর ছেলে গ্রাম ডাক্তার আজিজুর রহমানের বাড়িতে আমি গৃহ পরিচারিকার কাজ নেই। তার বাড়িতে কাজ করাকালিন সময়ে আমার স্বামী অসুস্থ্য হয়ে পড়লে গৃহকর্তা গ্রাম ডাক্তার আজিজুর রহমানের কাছে চিকিৎসা করাই। কিন্তু তার ভুল চিকিৎসার কারনে আমার স্বামী হান্নান শেখ পাগল প্রায় হয়ে যায়। একপর্যায় সে বাড়ি থেকে চলে গিয়ে আর ফিরে আসেনি। স্বামীর অনুপোস্থিতিতে তিন মেয়েকে নিয়ে সংসার চালানো অসম্ভব হয়ে পড়ায় আমি গ্রাম ডাক্তার আজিজুর রহমানের বাড়িতে গৃহকর্মীর কাজ অব্যহত রাখি। এভাবে তার বাড়িতে দীর্ঘ বার বছর ধরে আমি কাজ করছি।

মর্জিনা বেগম আরো বলেন, আমার বড় মেয়ে মরিয়ম খাতুনকে বিয়ে দেয়ার কিছুদিন পর ঝড়ে গাছ পড়ে তার স্বামী মারা যায়। এঘটনার পর অনেক কষ্টে বিভিন্ন স্থান থেকে লোন নিয়ে সে বিদেশে চলে যায়। বিদেশ গিয়ে আমার কাছে টাকা পাঠানোর কথা বলে। লেখা পড়া না জানার কারনে সরল বিশ্বাসে বিষয়টি আমি গৃহকর্তা আজিজুর রহমানকে অবহিত করলে তিনি ফাস্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক কপিলমুনি শাখায় আমার নামে একটি একাউন্ট খুলে দেন। মেয়ে মরিয়ম আমার পিন কোডে টাকা পাঠালে আমি মুর্খ বিধায় আজিজুরের কাছে দিতাম। সে টাকা তুলে ব্যাংকে আমার একাউন্টে জমা দিত বলে আমাকে জানাতো।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, আজিজুরের বাড়িতে গৃহকর্মীর কাজ ছেড়ে দেয়ার পর জানাতে পারি যে, আমার কাছ থেকে পিন কোড নিয়ে টাকা তুলে আমার একাউন্টে কোন টাকাই জমা দেয়নি। অর্থলোভী গ্রাম ডাক্তার আজিজুর আমার অজ্ঞতার সুযোগ নিয়ে ৬ বছরে মেয়ের পাঠানো প্রায় ২০ লক্ষ টাকা আত্মসাত করেছে। গত বছর আমার মেয়ে বাড়িতে এসে টাকার বিষয় জানতে চাইলে আমি বলি তোমার জামাই আজিজুরের কাছে আছে। আমার মেয়ে টাকা চাইলে সে কোন হিসাব দিতে পারেনি। পরে মেয়ে মরিয়ম ফের বিদেশে চলে যাওয়ার পর আমি টাকা চাইলে আজিজৃুর তালবাহনা করতে থাকে। একপর্যায় সে আমাকে খুন জখমসহ মিথ্যে মামলায় ফাসিয়ে হয়রানি করার হুমকি দিয়ে বলে তোর স্বামীকে যেভাবে পাগল বানিয়ে গুম করে দিয়েছি তোকেও সেই ভাবে গুম করে দিব।
তিনি আরো বলেন, বিষয়টি স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের জানিয়েও কোন লাভ হয়নি।

আমি সরল বিশ্বাসে আমার মেয়ের পাঠানো সমুদয় টাকা আজিজুরের কাছে রেখেছিলাম। অথচ সে প্রতারনা করে আমার মেয়ের কষ্টে উপার্জিত সমুদয় অর্থ কৌশলে হাতিয়ে নিয়েছে। এঘটনা জানতে পারলে মেয়ে স্ট্রোক করে মারা যাবে। তিনি মেয়ের পাঠানো সমুদয় অর্থ প্রতারক আজিজুর রহমানের কাছ থেকে উদ্ধার এবং তার জীবনের নিরাপত্তার দাবিতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।


আপনার মতামত লিখুন :

নিজস্ব প্রতিবেদক। ডেক্স