চুকনগরে ঋণের দায়ে জর্জারিত পলাতক ব্যবসায়ী ফিরে আসায় পাওয়াদারদের মাঝে স্বস্তি

প্রকাশিত: ৪:১১ অপরাহ্ণ, জুন ২৯, ২০২০ | আপডেট: ৪:১১:অপরাহ্ণ, জুন ২৯, ২০২০

চুকনগরে রাজধানী বস্ত্রালয়ের মালিক আব্দুর রশিদ ঋণেরদায়ে দেওলিয়া হয়ে পালিয়ে যাওয়ার পর এক মহামানবের প্রচেষ্টায় ও স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দের সহযোগীতায় তার দোকান খুলে দেয়া ও ঋণ পরিশোধের সুযোগ সৃষ্টি করে দেয়ায় তিনি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। সাথে সাথে তিনি আবার ব্যবসা ক্ষেত্রে ফিরে এসে দোকান খুলে দোকানদারী করায় পাওনাদের মাঝে ফিরে এসেছে স্বস্তি।

সোহাগ মাল্টিমিডিয়া এন্ড ট্র্যাভেলস

জানা যায়, চুকনগর শহরের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও রাজধানী বস্ত্রালয়ের মালিক তার দোকানের কার্যক্রম চালাতে গিয়ে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে উচ্চ সুদে ঋণ, বিভিন্ন এনজিও প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ ও বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে বাকীতে মালামাল ক্রয় করে ঋণ গ্রস্থ হয়ে পড়েন। এক পর্যায়ে ঋণের পাল্লা এত ভারী হয় যে, গত ৪/৫মাস আগে পাওনাদারদের চাপের মুখে তিনি দোকান রেখে পালিয়ে যান।

এ সুযোগে কতিপয় পাওনাদারদের যোগসাজসে তার দোকানটি তালাও মেরে দেয়া হয়। কিন্তু ঋণের দায়ে জর্জড়িত আব্দুর রশিদ দোকানে ফিরে এসে পাওনাদারদের টাকা পরিশোধ করার মানষিকতায় ডুমুরিয়াবাসীর মা, মাটি ও মানুষের প্রাণ প্রিয় নেতা এবং আধুনিক ডুমুরিয়া গড়ার একমাত্র রুপকারের প্রচেষ্টায় এবং স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দের সহযোগীতায় পাওনাদারদের সকল টাকা পরিশোধ করার ওয়াদায় দোকানটি খুলে দেয়া হয়। বর্তমানে তিনি সুন্দরভাবে দোকানদারী করছেন এবং একে একে পাওনাদারদের টাকা পরিশোধের চেষ্টা করছেন। এব্যাপারে খুলনা জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক অধ্যক্ষ এবিএম শফিকুল ইসলাম ও আটলিয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সরদার শরিফুল ইসলাম বলেন, আমাদের প্রাণ প্রিয় নেতার প্রচেষ্টায় আমরা স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দ ঋণের দায়ে জর্জড়িত আব্দুর রশিদের জীবন এবং জীবিকা নির্বাহ করে নিজে ও পরিবারের বেঁচে থাকার ব্যবস্থা করে দিয়েছি।

সাথে সাথে আমরা অনুভব করেছি রশিদ পালিয়ে গেলে পাওনাদারদের টাকা কোনক্রমেই আদায় হত না এবং ঋণগ্রস্থ রশিদের পরিবারটি পথের ভিখারী হয়ে যেত। একারণে উভয়কে বাঁচানোর জন্য আমরা অনেক ঝুকি নিয়ে তার দোকানটি খুলে দিয়েছি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পাওনাদার বলেন, রশিদ হারিয়ে গেলে আমরা কোনভাবেই টাকা আদায় করতে পারতাম না। সে ফিরে এসে আমাদের টাকা দেয়ার ওয়াদা করায় আমরা কিছুটা হলেও স্বস্তিতে আছি। আব্দুর রশিদ বলেন, আমাকে আবার দোকানে এসে দোকানদারী করার সুযোগ করে দেয়ায় পিতৃতুল্য শ্র্েদ্ধয় স্যারসহ সকলের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি এবং যত দ্রুত সম্ভব ঋণ পরিশোধ করার চেষ্টা করছি।


আপনার মতামত লিখুন :

গাজী আব্দুল কুদ্দুস। নিজস্ব প্রতিবেদক। চুকনগর, খুলনা