কেশবপুরে নদের পানিতে পৌর এলাকার মানুষের দুর্ভোগ

প্রকাশিত: ৫:৩০ অপরাহ্ণ, জুন ১৮, ২০২০ | আপডেট: ৫:৩০:অপরাহ্ণ, জুন ১৮, ২০২০

যশোরের কেশবপুর পৌরসভার নিন্মাঞ্চলে হরিহর নদের উপচে পড়া ও বৃষ্টির পানিতে বাড়ির ভেতর পানি উঠে এসেছে। পৌরসভার ১,৫ও ৭নং ওয়ার্ডের অনেকের বাড়ির ভেতর পানি ঢুকে পড়ায় বিপদে পড়েছে মানুষজন। মধ্যকুল খানপাড়া ও ফিলিং স্টেশনের পাশের সড়ক তলিয়ে যাওয়ায় পানির ভেতর দিয়েই যাতায়াত করতে হচ্ছে এলাকাবাসীকে।

সোহাগ মাল্টিমিডিয়া এন্ড ট্র্যাভেলস

সরেজমিন ৭নং ওয়ার্ড মধ্যকুলের খানপাড়া এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, আব্দুল বারিকের স্ত্রী বিউটি বেগম বাড়িতে ঢুকে পড়া পানির ভেতর দিয়ে সাংসারিক কাজকর্ম করছেন। এ সময় তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, নদীর পানি বাড়িতে উঠে আসায় পরিবার পরিজন নিয়ে ঝুঁকির মধ্যে রাত কাটাতে হচ্ছে। পাশের বাড়ির গৃহবধূ রাবেয়া খাতুন বলেন, বর্ষা মৌসুমেই আমাদের এ অবস্থায় পড়তে হয়েছে। পুরো বর্ষাকালে বাড়ি ছাড়ার উপক্রম হবে। মধ্যকুল নাথপাড়া এলাকার নিচুঅঞ্চলে পানি ঢুকে পড়েছে। সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর আয়ূব খান বলেন, তাদের বাড়ির যাতায়াতের রাস্তাটিও পানিতে তলিয়ে গেছে। এলাকার একাধিক বাড়িতে নদের পানি উঠে এসেছে। হরিহর নদে বাঁধ দিয়ে খনন কাজ করায়পানি প্রবাহে বাধাগ্রস্থ হয়ে তীরবর্তী এলাকায় উঠে আসছে।

পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের কেশবপুর সরদারপাড়া ও খানপাড়ায় পানি ঢুকে পড়েছে। খানপাড়ার বাসিন্দা আব্দুর রউফ খান বলেন, তাদের বাড়ির উঠানে পানি উঠে আসায় পড়তে হয়েছে বিপাকে। একই এলাকার বাসিন্দা আব্দুল লতিফ বলেন, সাহাপাড়া-ভবানীপুর যাতায়াতের পিচের রাস্তায় পানি উঠে পড়েছে। পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বিশ্বাস শহিদুজ্জামান বলেন, তার এলাকায় যাতায়াতের দুটি রাস্তায় পানি জমে পড়েছে। এলাকায় জমে থাকা পানি পৌরসভার পক্ষ থেকে অপসারণের জন্য কাজ শুর করা হয়েছে।
কেশবপুর পৌরসভার মেয়র রফিকুল ইসলাম বলেন, তার এলাকার কয়েকটি জায়গায় পানি উঠেছে। দ্রুত পানি নিষ্কাসনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী মুন্সী আছাদুল্লাহ বলেন, হরিহর নদের বিভিন্ন স্থানে বাঁধ দিয়ে খননের কাজ চলছে। যে কারণে নদের ও বৃষ্টির পানি এক হয়ে নদ তীরবর্তী কিছু এলাকায় পানি উঠে এসেছে। আগামী ১৫ জুলাই পর্যন্ত নদ খননের কাজ চলবে। এরপর বাঁধ অপসারণ করার পর কোন সমস্যা থাকবে না।


আপনার মতামত লিখুন :

মশিয়ার রহমান। নিজস্ব প্রতিবেদক। কেশবপুর, যশোর