কেশবপুরে ঠিকাদারের বিরুদ্ধে মালিকাধীন জমির ওপর রাস্তা নির্মাণের অভিযোগ

প্রকাশিত: ২:২৫ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ৭, ২০২০ | আপডেট: ২:২৫:অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ৭, ২০২০

মশিয়ার রহমান, কেশবপুর (যশোর):
যশোরের কেশবপুরে এক সাব ঠিকাদারের বিরুদ্ধে ব্যক্তি মালিকাধীন জমি জবর দখল করে রাস্তা নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গছে। এ ঘটনায় জমির মালিক আব্দুর রহমান গত ২৯ জানুয়ারি ম্যাপে অঙ্কিত সীমানা দিয়ে রাস্তা নির্মাণের দাবিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে অভিযোগপত্র দাখিল করেছেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অভিযোগটি তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে উপজেলা প্রকৌশলীকে নির্দেশক্রমে অনুরোধ করেছেন।

সোহাগ মাল্টিমিডিয়া এন্ড ট্র্যাভেলস

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত ২ মাস ধরে উপজেলার সাতবাড়িয়া গ্রামের ঘোষপাড়ার ভেতর দিয়ে একটি রাস্তা পাকাকরণের জন্যে খোড়াখুড়ির কাজ চলছে। রাস্তাটি বুড়িভদ্রা নদীর তীর ঘেষে যাওয়ার কারণে ধসে নদী অববাহিকায় বিলীন হয়ে গেছে। যার কারণে বাগের মাঠ এলাকায় রাস্তাটির কোন চিহ্ন নেই। গত ২২ জানুয়ারি রাস্তার সাব ঠিকাদার আরমান গাজী এ্যাস্কাভিটার মেশিন দিয়ে রাস্তাটি খোড়াখূঁড়ির সময় এলাকার আনার আলী, আবদুর রহমান, আবদুর রাজ্জাক, মিজানুর রহমান, মহসিন আলী ও অশিত ঘোষের পৈত্রিক সম্পত্তি দাবি করে বাঁধা প্রদান করেন। এ ঘটনায় জমির মালিকরা ৬২ ও হাল ম্যাপ অনুযায়ী রাস্তা নির্মাণের দাবি জানিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ করেন। কিন্তু এ অভিযোগের কোন নিষ্পত্তি না করেই ওই ঠিকাদার জোর পূর্বক ব্যক্তি মালিকাধীন জমির ওপর দিয়েই খোড়াখূঁড়ির কাজ অব্যাহত রাখেন। যে কারণে জমির মালিকগণ সরেজমিনে তদন্ত করে সার্ভেয়ার দিয়ে মেপে রাস্তা নির্মাণের দাবিতে পুনরায় ২৯ ফেব্রুয়ারি আবেদনটি করেছেন।

এ ব্যাপারে সাব ঠিকাদার আরমান গাজী বলেন, উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তর যেভাবে দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেভাবেই রাস্তা খোঁড়া হয়েছে। রাস্তার কাজ চলমান রয়েছে।
সংশ্লিষ্ট এলাকার চেয়ারম্যান সামছুদ্দিন দফাদার বলেন, ৪০ বছর ধরে ওই রাস্তা দিয়ে লোকজন চলাচল করছে। নতুন করে পাইলিং দিয়ে রাস্তা নির্মাণ করা সম্ভব নয়।
উপজেলা প্রকৌশলী মুনছুর রহমান বলেন, জনস্বার্থে রাস্তাটি করা হচ্ছে। বাঁধা প্রদান করলে নির্মাণ কাজ বন্ধ হয়ে যাবে। তাতে ওই এলাকার জনগণের ভোগান্তি আরও বাড়বে।

সুন্দরবনটাইমস.কম/নিজস্ব প্রতিবেদক


আপনার মতামত লিখুন :

নিজস্ব প্রতিবেদক