কুল্যায় সরিষা মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত ও আশাশুনির সংবাদ

প্রকাশিত: ৭:২৭ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ৭, ২০২০ | আপডেট: ৭:২৭:অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ৭, ২০২০

কুল্যায় সরিষা মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত

সোহাগ মাল্টিমিডিয়া এন্ড ট্র্যাভেলস

নিজস্ব প্রতিবেদক, আশাশুনি(সাতক্ষীরা):
আশাশুনি উপজেলার কুল্যায় সরিষা মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৩টায় কুল্যা ইউনিয়নের কুলতিয়া মোড়ে বিএআরআই উদ্ভাবিত সরিষার বিভিন্ন জাতের উপযোগিতা যাচাই এর উপর এ মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়।
কুল্যা ইউপি চেয়ারম্যান আবব্দুল বাছেত আল হারুন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, খুলনা কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের উপ প্রকল্প পরিচালক ও প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. হারুণর রশিদ। গোপালগঞ্জ বিএআরআই কৃষি গবেষণা কেন্দ্র ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের পরিবেশ উপযোগী গবেষণা কার্যক্রম জোরদার করণ কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের অর্থায়নে ও সরেজমিন গবেষণা বিভাগ বিএআরআই এর বাস্তবায়নে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সহকারী বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা অমরেশ চন্দ্র সরকার, উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সুকদেব কুমার সাধু প্রমুখ। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সহকারী বৈজ্ঞনিক কর্মকর্তা জাহিদ হাসান।

আশাশুনিতে কৃষি কর্মকর্তাদের সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত

আশাশুনি উপজেলায় কর্মরত কৃষি কর্মকর্তাদের সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার উপজেলা কৃষক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র মিলনায়তনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর আশাশুনির আয়োজনে অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ রাজিবুল হাসান। সভায় উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন কর্মকর্তা জি এম অলিউর রহমান, এসএপিপিও আব্দুল গনি, উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা রেজওয়ানুল কবির চৌধুরী, ইকবাল হোসেন, জাহিদ হাসান, মাহরুফ হোসেন, রফিকুল ইসলাম, ইউনুছ আলি, সানা আবু জাফর, মহিউদ্দিন গাজী-১, দিপক কুমার মল্লিক, তরিকুল ইসলাম, আছাদুল ইসলাম, অরবিন্দু কুমার মন্ডল, আফিফা খাতুন, আকিকুন নেছা, আরিফুল ইসলাম, শামিম ইসলাম, মুজিবর রহমান, এস এম আব্দুল ওহাব, সুখদেব কুমার সাধু, মহিউদ্দিন গাজী-২, শিবপদ সরকার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। সভায় বোরো ফসলের চলমান অবস্থা, কৃষি মেলা, সাকসবজি, গম ভুট্টা ও সরিষার চাষ প্রভৃতি বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়।

মারপিট ও সাদা কাগজে স্বাক্ষর

কুল্যায় ভোগদখলীয় জমিতে ধান রোপনের সময় মারপিট ও সাদা কাগজে স্বাক্ষর

আশাশুনি উপজেলার কুল্যা ইউনিয়নের মাদারবাড়িয়া গ্রামে ক্রয়সূত্রে দখলীয় জমির মালিকদেরকে ধান রোপনের সময় আদালতের নির্দেশ অমান্য করে মারপিট ও সাদা কাগজে স্বাক্ষর করে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
মাদারবাড়িয়া গ্রামের আনার আলি বেগের পুত্র আঃ সালাম গুনাকরকাটি গ্রামের মরহুম হযরত শাহ আব্দুর রহিমের পুত্র খাজা মোঃ শফিক আহমদ এর নিকট থেকে ১৯/৯/১৭ তাং ২৭৬৩ নং দলিলে মাদারবাড়িয়া মৌজায় ৩০ শতক এবং ১৪/০১/১৯ তাং ৯১ নং দলিলে মৃত খাজা মোহাম্মদ হুজ্জাতুল্লাহের পুত্র খাজা মোহাম্মদ এজাজ আহমেদ ও মরহুম খাজা মোহাম্মদ ছেবগাতুল্লাহ’র পুত্র আদনান মোহাম্মদ রহিমের নিকট থেকে একই খতিয়ানে ৩৩ শতক জমি ক্রয় করেন। উক্ত জমি গ্রহিতার নামে ১.০০ অংশে ৩৪১ নং একটি পৃথক নতুন খতিয়ানে রেকর্ড করা হয়েছে। চেকদাখিলাও কর্তন করা হয়েছে। উক্ত জমিতে ভোগদখলীকার থাকা অবস্থায় প্রতিপক্ষ মোহাম্মদ আলি, সোহরাব, আক্তার, উকিলসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে বিজ্ঞ অতিঃ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালত সাতক্ষীরায় ১৪৫ ধারা মতে মামলা করা হলে বিজ্ঞ আদালত থানা ও এসি (ল্যান্ড) আশাশুনিকে আইন শৃংখলা রক্ষা ও তদন্তের আদেশ প্রদান করেন। পুলিশ উভয় পক্ষকে শান্তি শৃংখলা রক্ষার্থে নোটিশ করেছেন। জমির মালিক জনমজুর নিয়ে ২ ফেব্রুয়ারি জমিতে রোপনকৃত ধান দেখাশুনা করার সময় প্রতিপক্ষ জমিতে অনাধিকার প্রবেশ করে ১৪৫ ধারা অমান্য করে মারপিট ও কাউকে কাউকে আটক করে বাড়িতে নিয়ে যায়। এবং সাদা কাগজে জোর পূর্বক স্বাক্ষর করিয়ে নেয়। জমিতে গেলে খুন জখমের হুমকী এবং পরিবারের সকলকে ভারতে তাড়িয়ে দেওয়াসহ জীবনে শেষ করে দেওয়ার হুমকী দেয়। নাজমুলসহ কয়েকজন তাদের ভয়ে পলাতক জীবন যাপন করতে বাধ্য হয়েছে। এব্যাপারে আব্দুস সালাম বাদী হয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। তারা আইন প্রয়োগকারী সংস্থাসহ সকলের সহযোগিতা কামনা করেছেন।

আশাশুনিতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বদলী কার্যক্রম চলছে

আশাশুনি উপজেলার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সমুহে শিক্ষক বদলী কার্যক্রম চলছে। ইতিমধ্যে ৮টি বিদ্যালয়ে বদলী অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানাগেছে, জানুয়ারি মাসে উপজেলার বুধহাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বদলীর জন্য ৫ জন, কুল্যা বেনাডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৪ জন ও মহেশ^রকাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৪ জন এবং আরও ৫টি বিদ্যালয়ে একজন করে সর্বমোট ১৮ জন শিক্ষক আবেদন করেন। আবেদনকারী স্কুল সমুহে ৫ বা ততোধিক শিক্ষক কর্মরত থাকায় উক্ত বিদ্যালয়গুলোতে বদলীযোগ্যদের অনুমোদন সাপেক্ষে যোগদানের আদেশ প্রদান করা হয়। ইতিমধ্যে কিছু বিদ্যালয়ে বদলীকৃত শিক্ষকরা যোগদান করেছেন। উপজেলা শিক্ষা অফিস হতে প্রতিস্থাপন সাপেক্ষে বদলী প্রস্তাব পাঠানো হয় ৮জন শিক্ষকের। কিন্তু জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার প্রতিস্থাপক দেওয়া হয়নি বলে অনুমোদন দেননি। এসব বিদ্যালয়ে প্রতিস্থাপকসহ পুনরায় বদলী প্রস্তাব পাঠানো হবে বলে জানাগেছে। এছাড়া দূরত্ব কমানোর জন্য বদলী আবেদন করেছেন ৮ জন শিক্ষক। যাদের ব্যাপারে এখনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।

আশাশুনিতে ব্যবসায়ীকে জিম্মী করে টাকা ছিনতাই

আশাশুনি উপজেলার কুল্যা ইউনিয়নের পুরোহিতপুর গ্রামে অস্ত্রের মুখে জিম্মী করে এক ব্যবসায়ীর নিকট থেকে ৮০ হাজার টাকা ছিনতাই করা হয়েছে। ঘটনা অভিভাবকদেরকে জানানোয় পুনরায় ব্যবসায়ীকে দিনভর আটকে নির্যাতন করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
পুরোহিতপুর গ্রামের সার ও কীটনাশক ব্যবসায়ী রাজকৃষ্ট ঘোষের পুত্র নন্দলাল ঘোষ জানান, জানুয়ারি মাসে তিনি কচুয়া গ্রামের মেছের ঢালীর পুত্র জহুরুলের কাছে সার ও কীটনাশক বিক্রয় করেন। ১ ফেব্রুয়ারি জহুরুল দোকানিকে ডেকে তার ক্ষেতে নিয়ে ধানের অবস্থা ভাল না হওয়ায় কি করা যায় পরামর্শ চান। সন্ধ্যায় দোকানে গেলে কি ওষুধ দিতে হবে জানাবে বলে ব্যবসায়ী বাড়িতে ফিরছিলেন। কচুয়া প্রাইমারী স্কুলের পশ্চিম পার্শের দোকানের সামনে পৌছলে মাদকাসক্ত মাছুদ, ইসলাম, জিয়া, বাবু ও সাকিল তাকে আটকে মেয়াদোত্তীর্ণ ঔষদ দিয়েছিস কেন মিথ্যা অভিযোগ করে তাকে তার দোকানে নিয়ে যায়। এরপর ক্রেচ বের করে অস্ত্রের মুখে জিম্মী করে ক্যাশ বাক্স থেকে নগদ ৮০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। এবং একটি ব্যাংক চেকে স্বাক্ষর করিয়ে পুরো চেক বই হাতিয়ে নেয়। ঘটনা কাউকে জানালে জীবনে শেষ করে দেওয়া হবে বলে হুমকী দেওয়া হয়। ভয়ে ভীত নন্দলাল কাউকে কিছু বলতে সাহস করেনি। ৪ ফেব্রুয়ারি ঔষধ কোম্পানীর লোক টাকা নিতে আসলে দোকানী টাকা দিতে অপারগতার কথা বলে। একপর্যায়ে ঘটনা জানানোর সময় তার মা ও বাবা শুনতে পায়। এদিন সন্ধ্যায় তার পিতা ঘটনাটি স্থানীয় ইউনিয়ন আ’লীগ সেক্রেটারী আবু সাইদ ঢালী ও ছিনতাইকারীদের অভিভাবকদেরকে জানান। পরদিন বুধবার ছিনতাইকারী সাকিল ও বাবু ব্যবসায়ী নন্দলালকে চেক ফেরৎ দেওয়ার কথা বলে দোকান থেকে তাকে মটর সাইকেলে উঠিয়ে নিয়ে কচুয়ার একটি মৎস্য ঘেরের বাসায় আটকে দিনভর নির্যাতন করে। পাশের মহিলারা জানতে পেরে ঘটনাস্থলে গেলে তাকে ছেড়ে দেয়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মধুসুদন ঘোষ, মহাদেব, তাপস, রাম প্রসাদ ঘোষসহ গ্রামের অর্ধ শতাধিক মানুষ বিষয়টি নিয়ে বসেন এবং সাংবাদিকদেরকে জানানো ও থানায় মামলা দায়ের করার সিন্ধান্ত নেওয়া হয়। এব্যাপারে কুল্যা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক আবু সাইদ ঢালী ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে সাংবাদকিদের জানান, তিনি ইতিমধ্যে চেক বইটি উদ্ধার করে দিয়েছেন। ইউপি সদস্য আঙ্গুর হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা হলেও তার মোবাইল বন্ধ থাকার কথা বলা সম্ভব হয়নি।

সুন্দরবনটাইমস.কম/ডেক্স


আপনার মতামত লিখুন :

নিজস্ব প্রতিবেদক