কালিগঞ্জে উপকূলীয় এলাকায় ‘বিদ্যালয় কাম সাইক্লোন শেল্টার’ চায় এলাকাবাসী

প্রকাশিত: ১০:১৯ পূর্বাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ৯, ২০২০ | আপডেট: ১০:১৯:পূর্বাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ৯, ২০২০

কালিগঞ্জের উপকুলীয় এলাকায় আবহাওয়া ও জলবায়ুর পরিবর্তন ঘটায় টর্নেডো, ঘূর্ণিঝড়, সাইক্লোন, জলোচ্ছ্বাস সহ যে কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং ঘটছে পরিবেশগত বিপর্যয়। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে উপকূলীয় সিমান্তবর্তী কালিন্দী নদীর তীরে হাড়দ্দাহ, বসন্তপুর গ্রামের হাজার হাজার মানুষের স্বাস্থ্য, বাসস্থান, খাদ্য সবকিছুই হুমকির সম্মুখীন।

সোহাগ মাল্টিমিডিয়া এন্ড ট্র্যাভেলস

ঘূর্ণীঝড় ফণী, আম্পানের মতো প্রলয়ঙ্করী দুর্যোগ কাটিয়ে উঠার পর নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণের দাবি উঠে। সোমবার বিকেলে উপজেলার হাড়দ্দাহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সম্মুখে বিভিন্ন শ্রেণীর শত শত মানুষ উপস্হিত হয়ে ‘বিদ্যালয় কাম সাইক্লোন শেল্টার’ নির্মাণের দাবি জানান। সরেজমিনে গেলে স্হানীয় এলাকার বাসিন্দা প্রবীণ আওয়ামীলীগার ও সাবেক ইউপি সদস্য আলহাজ্ব মোস্তাফিজুর রহমান, নূর মোহাম্মাদ, আলহাজ্ব আকবর গাজী, শিক্ষক আব্দুস সবুর, শহিদুল ইসলামসহ অনেকে জানান, ষাটের দশকে নির্মিত উপকূলীয় বেড়িবাঁধের বেশির ভাগই এখন নাজুক।

নদীর ভয়াবহ ভাঙন অব্যাহত থাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের ওয়াপদা বেড়ীবাঁধ নদীগর্ভে বিলীন হতে চলেছে। উপজেলার সবচেয়ে বড় নদী কালিন্দী পাড়ের হাড়দ্দাহ গ্রামটি রয়েছে দুর্যোগ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার তালিকায়, এতে বাসিন্দারা রয়েছেন আতঙ্কে। তাছাড়া বসন্তপুর বিজিবি ক্যাম্প সংলগ্ন হাড়দ্দাহ স্লুইজ গেট প্রায় ধ্বংস হওয়ার উপক্রম দেখা দিয়েছে। অধিকাংশ জায়গায় বাঁধের গোড়ায় মাটি না থাকায় সঙ্কীর্ণ ও খাড়া হয়ে গেছে বেড়িবাঁধের রাস্তা। দুর্বল বাঁধ ভেঙে যে কোনো মুহূর্তে নদীতে বিলীন হয়ে যেতে পারে এই এলাকাটি। কিন্তু আজ পর্যন্ত এই এলাকার মানুষের আশ্রয় ও নিরাপত্তার জন্য সাইক্লোন শেল্টার না থাকায় বন্যা ও জলোচ্ছ্বাসসহ যে কোন দুর্যোগে বড় ধরণের ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা তাদের। এজন্য স্হানীয় এলাকার শত শত মানুষ বিদ্যালয়টি ‘বিদ্যালয় কাম সাইক্লোন শেল্টার’ নির্মাণের জন্য সাতক্ষীরা-৪ আসনের সংসদ সদস্য এসএম জগলুল হায়দার সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।


আপনার মতামত লিখুন :

নূর ইসলাম বাবু। সংবাদদাতা। কালিগঞ্জ, সাতক্ষীরা