কলারোয়ায় শিশু কন্যাকে গলা কেটে হত্যা করলো পাষণ্ড মা

প্রকাশিত: ৫:৩২ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ২৫, ২০২৫ | আপডেট: ৫:৩২:অপরাহ্ণ, এপ্রিল ২৫, ২০২৫

সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার বাটরা গ্রামে ঘুমন্ত খাদিজা খাতুন নামের দেড় বছরের শিশু সন্তানকে বটি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে পাষন্ড মা।

সোহাগ মাল্টিমিডিয়া এন্ড ট্র্যাভেলস

শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার বাটরা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। জনতা ঘাতক মাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে।

শিশু খাদিজা খাতুন সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার কুশোডাঙা গ্রামের তৌহিদুজ্জামানের মেয়ে। গ্রেপ্তারকৃতের নাম আসমা খাতুন (২৪)। সে কুশোডাঙা গ্রামের তৌহিদুজ্জামানের স্ত্রী ও বাটরা গ্রামের আব্দুল মাজেদের মেয়ে।

কলারোয়া উপজেলার বাটরা গ্রামের রেশমা খাতুন জানান, তার দুই ভাই মারয়েশিয়ায় থাকে। ২০২১ সালের জুন মাসে তার বোন আসমার সাথে একই উপজেলার কুশোডাঙা গ্রামের তৌহিদুজ্জামানের বিয়ে হয়। পরবর্তীতে আসমার গর্ভে তানভির হোসেন টাইগার ও খাদিজা খাতুন নামে দুটি সন্তান হয়।

সম্প্রতি আসমা মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে। এ কারণে তার মা আলেয়া খাতুন বৃহষ্পতিবার আসমাকে চিকিৎসার জন্য শ^শুর বাড়ি থেকে বাড়িতে আনেন। শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আসমা তার মেয়ে খাদিজাকে ঘরের বারান্দায় রেখে ঘুম পাড়াচ্ছিল।

এ সময় মা আলেয়া মেয়ে আসমাকে ডাক্তারখানায় নিয়ে যাওয়ার জন্য মটরভ্যান আনতে যান। কিছুক্ষণ পর আসমা রান্না ঘর থেকে ধারালো বটি নিয়ে ঘুমন্ত অবস্থায় খাদিজার গলা কুপিয়ে হত্যা করে। স্থানীয় জনতা তাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য মোজাব্বর হোসেন জানান, শিশু সন্তানকে হত্যার পর আসমা সেখানেই বসে ছিল। মানসিক ভারসাম্য হারানোর ফলে এ ধরণের ঘটনা ঘটেছে বলে তিনি মনে করেন।

কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আসাদুজ্জামান জানান, আসমা মানসিক ভারসাম্যহীন বলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে। তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শিশু খাদিজার লাশের ময়না তদন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে।

 

এসজি/ডেক্স


আপনার মতামত লিখুন :

নিজস্ব প্রতিবেদক। ডেক্স