করোনা: রোগীর চাপ নেই মণিরামপুর হাসপাতালে প্রকাশিত: ৬:১০ অপরাহ্ণ, মার্চ ৩১, ২০২০ | আপডেট: ৬:১০:অপরাহ্ণ, মার্চ ৩১, ২০২০ নিজস্ব প্রতিবেদক, মণিরামপুর(যশোর): করোনভাইরাসের আতঙ্কে মণিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগীর চাপ কমেছে। গত ১০ দিন ধরে ৫০ শয্যা এই হাসপাতালবিমুখ রয়েছেন রোগীরা। জটিল কোন সমস্যা ছাড়া এখানে চিকিৎসা নিতে আসছেন না কেউ। এক সময় যেখানে হাসপাতালের ফ্লোরে রোগী পড়ে থাকতে দেখা যেত, সেখানে এখন বেডগুলো খালি পড়ে আছে। বহিঃবভাগেও নেই রোগীর লাইন। ফাঁকা রয়েছে জরুরি বিভাগও। সেখানে নিরাপদ দুরত্ব বজায় রেখে চলছে চিকিৎসা সেবা। মঙ্গলবার (৩১ মার্চ) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে সরেজমিন হাসপাতালে গিয়ে দেখা গেছে, বহিঃবিভাগ রোগীশূণ্য পড়ে রয়েছে। চিকিৎসকদের কক্ষে ঝুলছে তালা। আর নারী ও শিশু ওয়ার্ডে একপাশের বেডগুলো খালি পড়ে আছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মঙ্গলবার বহিঃবিভাগে মাত্র ১৩৭ জন রোগী চিকিৎসা সেবা নিয়েছেন। যেখানে একসময় রোগী থাকত ৫৫০-৬০০। টিকিট কাউন্টার ও চিকিৎসকদের কক্ষে লেগে থাকত রোগীদের লম্বা লাইন। এদিকে নারী, শিশু ও পুরুষ ওয়ার্ডে ভর্তি রোগী পাওয়া গেছে ১৪ জন। আর জরুরি বিভাগে চিকিৎসা নিয়েছেন আট জন রোগী। জরুরি বিভাগের ওয়ার্ডবয় আক্তার হোসেন বলেন, দুপুর একটার পর এই বিভাগে রোগীর চাপ বাড়ে। মঙ্গলবার সকাল থেকে মাত্র ৮ জন রোগী এখানে চিকিৎসা নিয়েছেন। আগে যেখানে এই সময়ের মধ্যে ২৫-৩০ জন রোগী আসত। হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স আসমা বিশ্বাস বলেন, একসময় আমরা ভর্তি রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিতে হিমসিম খেতাম। আর এখন রোগী নেই বললেই চলে। গত এক সপ্তাহের চিত্র ঠিক একই রকম। মারামারি ও বিষ খাওয়া রোগী ছাড়া হাসপাতালে তেমন কেউ ভর্তি হচ্ছেন না। মণিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা ডা. শুভ্রা রানী দেবনাথ বলেন, করোনার কারণে ওপরের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সকাল নয়টা থেকে ১২টা পর্যন্ত বহিঃবিভাগ খোলা থাকছে। চিকিৎসকদের সুরক্ষার জন্য পাঁচজন করে ডাক্তার আউটডোরে রোগী দেখছেন। তিনি বলেন, কয়েকদিন আগেও হাসপাতালের সব বিভাগ রোগীতে ভরপুর থাকত। কিন্ত এখন করোনার ভীতি মানুষের মধ্যে কাজ করছে। খুব জটিল সমস্যা না হলে কেউ হাসপাতালে আসছেন না। সুন্দরবনটাইমস.কম/উত্তম চক্রবর্তী সংবাদটি ১৯৪ বার পড়া হয়েছে আপনার মতামত লিখুন : আরও পড়ুন মণিরামপুরে নিয়ন্ত্রণহীন কাভার্ড ভ্যানের ধাক্কায় পিতা-পুত্র, দাদা-নাতিসহ ৫জন নিহত শোককে শক্তিতে রুপান্তরিত করে দেশকে এগিয়ে নিতে হবে: প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য