করোনায় ঘরবন্দী শিশুর বিশেষ যত্ন নিন

প্রকাশিত: ১:৩০ পূর্বাহ্ণ, মে ৩, ২০২০ | আপডেট: ১:৩০:পূর্বাহ্ণ, মে ৩, ২০২০

করোনাভাইরাসের ভয়াবহতা বাড়ছে, সেই সঙ্গে বাড়ছে ঘরবন্দী সময়ের ব্যাপ্তি। ঘরে আটকে থেকে বড়রাই যেখানে হাঁপিয়ে উঠছেন, সেখানে শিশুদের অবস্থা আরো বেগতিক। তারা না পারছে স্কুলে যেতে, না পারছে মাঠে খেলতে বা পাশের বাসার বন্ধুর সাথে মিশতে। এই অবস্থায় শিশুর মানসিক অস্থিরতা বা বৈকল্য দেখা দিতে পারে। তেমনটা যেন না হয়, শিশুর মানসিক-শারীরিক ও আবেগের ভারসাম্য রক্ষা করতে এখনই নিন কিছু পদক্ষেপ।

সোহাগ মাল্টিমিডিয়া এন্ড ট্র্যাভেলস

রুটিন অনুযায়ী চলুন: যতোটা সম্ভব এই ঘরবন্দী জীবনকে অর্থবহ করতে ও শিশুকে মানসিক ও শারীরিকভাবে চাঙা রাখতে প্রতিদিন নির্দিষ্ট রুটিন মেনে নিজে চলুন ও শিশুকে চলতে সহায়তা করুন। শিশুদের ছাঁচে থাকা জরুরি। তাই সকাল থেকে রাত পর্যন্ত খাওয়া-দাওয়া, লেখাপড়া, খেলা ও ঘুম যেন নিয়ম মতো হয়, তা অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে।

তাদের সঙ্গীহীন করবেন না: যেহেতু এখন সব কিছুই লকডাউন অর্থাৎ অচল হয়ে আছে, তাই শিশুকে এ অবস্থায় সঙ্গীহীন রাখা নিরাপদ নয়। এতে সে মানসিকভাবে ভেঙে পড়তে পারে। তাই পাশের ফ্ল্যাটের বন্ধুদের সাথে নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে তাকে কথা বলতে দিন বা খেলার সুযোগ দিন। তা সম্ভব না হলে মোবাইল ফোনে কথা বলা, ভিডিও চ্যাটের মাধ্যমে বন্ধুর সাথে যোগাযোগ বজায় রাখার সুযোগ করে দিন।

আপত্তিকর কথা বলবেন না: সময়টা কারো জন্যই সুখকর না এখন। তাই টেনশনের কারণে এমন কোনো আপত্তিকর কথাবার্তা শিশুর সামনে পরিবারের অন্য সদস্যকে বলবেন না, যা শিশুর মনের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে। এমনকি আপনার বিল্ডিংয়ে বা আশেপাশে কারো কোভিড-১৯ হয়েছে, সে কথা শিশুর সামনে বলে তার কোমল মনে ভয় সৃষ্টি করবেন না।

টিভি বা ফেসবুক শিশুকে কম দেখতে দিন: স্বাভাবিক সময়েই শিশু কম্পিউটার বা টিভিতে বেশি সময় যেন না কাটায়, তা খেয়াল রাখা বাবা-মায়ের দায়িত্ব। কিন্তু যেহেতু এখন ঘরেই সবাইকে সময় কাটাতে হচ্ছে, তাই হয়তো সময় কাটাতে আপনার সাথে শিশুও টিভি, ফেসবুকের দর্শক-পাঠক হয়ে উঠছে। কিন্তু প্রতিদিন অন্যসব দেশে শত শত মানুষ কোভিড-১৯ রোগে মারা যাচ্ছে, এমনকি বাংলাদেশেও বাড়ছে মৃত্যুর মিছিল- এসব তথ্য শিশুর মনের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলবে। সেক্ষেত্রে তাকে টিভি বা ফেসবুক থেকে দূরে রাখুন।

শিশুকে কাজ দিন: ঘরবন্দী এ সময়ে শিশুর মনকে চাপমুক্ত রাখতে তাকে কাজে ব্যস্ত রাখার চেষ্টা করুন। প্রতিদিন নির্দিষ্ট রুটিন মেনে চলার পাশাপাশি তাকে নিজের রুম, তার পড়ার ডেস্ক পরিষ্কার করা, বিছানা গুছানো, ছবি আঁকা, এসবে ব্যস্ত রাখুন।


আপনার মতামত লিখুন :

সুন্দরবনটাইমস.কম। ডেক্স