কপিলমুনি প্রধান শিক্ষক হরেকৃষ্ণ দাশের অন্তিম সময়ে গভীর ষড়যন্ত্রে মেতেছে একটি মহল প্রকাশিত: ৬:১৭ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ২৬, ২০১৯ | আপডেট: ৬:১৭:অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ২৬, ২০১৯ প্রতিবেদক, কপিলমুনি(খুলনা): কপিলমুনি সহচরী বিদ্যামন্দিরের প্রধান শিক্ষক হরেকৃষ্ণ দাশের অন্তিম সময়ে গভীর ষড়যন্ত্রে মেতেছে একটি কুচক্রী মহল। সম্প্রতি তার চাকুরি জীবনের শেষলগ্নে এসে তাকে রীতিমত বিতর্কে ফেলতে নানা ষড়যন্ত্রসহ দফায় দফায় বৈঠক করছে ঐ মহলটি। পত্রিকান্তেও এ নিয়ে রিপোর্ট প্রকাশ করিয়ে সম্মানহানীর অপচেষ্টা করে বিরোধীতাকারীরা। আর তাই ঘটনাটিকে ঘিরে সমালোচনার যেন শেষ নেই। যা স্বাভাবিক ভাবে মানতে পারছে না অভিভাবক সহ সচেতন এলাকাবাসী। আর সে কারণে ঘটনা নিয়ে প্রতিনিধির অনুসন্ধানে উঠে এসেছে স্বার্থান্বেষী ঐ মহলের বিভিন্ন অপতৎপরতার চিত্র। অনুসন্ধানকালে জানাযায়, প্রতিবেশী প্রতিষ্ঠানের আক্রোশসহ এলাকার অনেক উচ্চ শিক্ষিত ব্যক্তি, সুবিধা বঞ্চিত দোকান মালিক, আশান্বিত অনেক প্রার্থীর প্রতিষ্ঠানে চাকুরী না হওয়া, নিয়োগ বানিজ্য থেকে বঞ্চিত হওয়া সর্বোপরী ঘটনার জের হিসাবে প্রধান শিক্ষক হরেকৃষ্ণ দাশের চাকুরী জীবনের অন্তিম মুহুর্তে আক্রোশ মেটাতে এমন অপতৎপরতার বিষয়গুলি প্রধান কারণ হিসাবে দেখা দিয়েছে। জানাযায়, প্রধান শিক্ষক হরেকৃষ্ণ দাশের চাকুরী শেষ হতে আর মাত্র কয় দিন বাকী রয়েছে। আগামী ৩১ ডিসেম্বর শেষ কার্যদিবস শেষ করবেন তিনি। দীর্ঘদিন এ প্রতিষ্ঠানকে আকড়ে ধরে এবং প্রধানের দ্বায়িত্ব পালনে নিরঙ্কুশ চেষ্টাসহ ভালবাসায় প্রতিষ্ঠানকে লালন করেছেন তিনি। এমন ভাললাগা ও ভালবাসার প্রিয় প্রতিষ্ঠান ছেড়ে যেতে অন্তিম মুহুর্তটা বেদনাদায়ক হয়ে থাকে প্রত্যেকটি মানুষের কাছে। তাদের কর্ম সহ স্মৃতির পাতায় বেচে থাকে অনেক কিছুই। গুণগ্রাহী হিসাবে স্বীকৃতিলাভ করেন চিরচেনা প্রতিষ্ঠানসহ মানুষের কাছে। অথচ এমন মুহুর্তটায় দাড়িয়ে তাকে ঘিরে কেন এমন ষড়যন্ত্র? কার বা পাকা ধানে মই দিলেন প্রধান শিক্ষক হরেকৃষ্ণ দাশ? এমন সব বিষয়ের তথ্যোনুসন্ধানে উঠে এসেছে ঐসব স্বার্থপর, স্বার্থান্বেষী মহলের অপতৎপরতার নানা কাহিনী। তবে শেষ সময়ে কেনইবা এমন অপপ্রচার বা ষড়যন্ত্র এমন প্রশ্নের উত্তর মেলাতে গিয়ে অনেকে মন্তব্য করেন, প্রধান শিক্ষক হরেকৃষ্ণ দাশের শেষ সময়ে এমন চক্রটি তৎপর হওয়ার বিশেষ কারণ হিসাবে বাংলা প্রবাদে “‘ ঝি কে মেরে বউকে শেখানোর মত ” অবস্থা হয়েছে। সুত্র আরো জানায়, কুচক্রী ঐ মহলটির উদ্যেশ্য যাতে পরবর্তী প্রধানকে তারা নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করতে পারেন এবং পরবর্তী প্রধান যাতে তাদেরকে ভয় পান। এসব বিষয় নিয়ে বিভিন্ন মানুষের মন্তব্যে উঠে আসে নানা তথ্য। এ বিষয়ে পাইকগাছা উপজেলা জাতীয় শ্রমিকলীগের সভাপতি ও কপিলমুনি সদর আ’লীগনেতা শেখ আবুল কাশেম এ বিষয়ে বলেন, কিছু কিছু পত্রিকায় স্যার কে নিয়ে পক্ষে ও বিপক্ষে সংবাদ প্রকাশ করেছে। কি কারনে স্যারের বিরোধীতা করা হচ্ছে বুঝলাম না। তাও শেষ সময় এসে যা ঠিক না বলে মন্তব্য করেন তিনি। তবে এমন কোন কিছু হোক তা আশা করিনা। কারণ স্বর্গীয় রায় সাহেবের এ প্রতিষ্ঠান ঐতিহ্যবাহী। এখানে কোন দুর্নীতি করা যায় না। জেলা প্রশাসক মহোদয় পদাধিকার বলে সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। এখানে অন্যায় হলে কেউ ছাড়া পায় না এটাই জানি। তবে অনেকের ক্ষোভ থাকতে পারে সে ক্ষত্রে প্রতিষ্ঠানের সুনাম নষ্ট হোক এমন কোন কাজ করা ঠিক হচ্ছে না বলে জানান আ’লীগের এই নেতা। এ বিষয়ে হরিঢালী ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ড (কপিলমুনি সদর) আ’লীগের সভাপতি হাজরা মঈনুদ্দিন বলেন, স্যারের নিজ এলাকায় তিনি অনেক সম্মানিত এবং সম্মানের সাথে বসবাস করেন বলে জানি। সে অনুযায়ী তিনি এখানেও সম্মানিত হওয়ার কথা। কিন্ত কিছু মানুষের বিরোধীতার স্বীকার তিনি। তিনি বলেন, তার কাছে অনেক সুপারিশ করেছি কিন্তু যেটা গ্রহণ করার মত সেটা তিনি গ্রহণ করেছেন আর যেটা করার মত না সেটা ফিরিয়ে দিয়েছেন। তাতে আমি অখুশি না। কেননা প্রধান শিক্ষক হিসাবে তিনি খুব কঠোর। তিনি কখনও কোন অন্যায়ের সাথে আপোষ করেন না। তাতেও আমরা খুশি। বর্তমানে তার বিরুদ্ধে এমন অপপ্রচারে আমি আন্তরিক দুঃখিত। কপিলমুনি বাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও কপিলমুনি কলেজ গভর্ণিংবডির সদস্য স্বপন কুমার সাহা বলেন, কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বসে প্রধানদের কোন কাজ করতে হলে সভাপতিসহ ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের অনুমোদন লাগে। সেক্ষেত্রে আলাদা তদারকি কমিটি গঠণ করতে হয়। দুর্নীতি করা কঠিন বলে জানান তিনি। তিনি আরো বলেন, স্যার একজন সৎ মানুষ হিসাবে চিনি ও জানি। কপিলমুনি বাজারের অধিকাংশ ব্যবসায়ী জানান, বাজারটি রায় সাহেব বিনোদ বিহারী সাধু কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে স্কুলটিতে অনেক শিক্ষক প্রধানের দ্বায়িত্ব পালন করেন। সে হিসাবে প্রথম থেকেই যোগ্যতার নিরিখেই সর্বশেষ এখানে প্রধানের দায়িত্ব পান প্রধান শিক্ষক হরেকৃষ্ণ দাশ। সভাপতি হিসাবে মাননীয় জেলা প্রশাসক পদাধিকারী বলে আসিন থাকেন। সে প্রতিষ্ঠানে দুর্নীতির কোন স্থান নেই। জানাগেছে, রায় সাহেবের স্বপ্নে গড়া এ প্রতিষ্ঠান। তিনি এলাকার মানুষের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করতে চিকিৎসার জন্য গড়ে তোলেন কপিলমুনি হাসপাতাল, শিক্ষার ব্যবস্থায় সহচরী বিদ্যামন্দিরসহ আরো বহু জনহীতকর কাজ করেন তিনি। সে কারনেই রায় সাহেবের সুনাম নষ্ট করে কেউ টিকে থাকতে পারেনি আজও বলে মনে করেন ব্যবসায়ীরা। সুন্দরবনটাইমস.কম/এইচ এম এ হাশেম সংবাদটি ২২১ বার পড়া হয়েছে আপনার মতামত লিখুন : আরও পড়ুন কপিলমুনিতে শিশু সন্তানকে খেলতে পাঠিয়ে মায়ের আত্মহত্যা! কপিলমুনিতে ওয়ারেন্টভুক্ত আসামীদের নামের তালিকা টানিয়েছে থানা পুলিশ