সাতক্ষীরার উপকুলীয় অঞ্চলে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বেড়েছে বানভাসিদের দুর্ভোগ

প্রকাশিত: ৬:০৭ অপরাহ্ণ, আগস্ট ২৭, ২০২০ | আপডেট: ৭:২৬:অপরাহ্ণ, আগস্ট ২৭, ২০২০

সাতক্ষীরার উপকুলীয় এলাকায় বৃহস্পতিবার সকাল  থেকে আবারও লঘু চাপের প্রভাবে থেমে থেমে শুরু হয়েছে ভারী বর্ষন। এর ফলে উপকুলীয় উপজেলা আশাশুনি ও শ্যামনগরের কপোতাক্ষ ও খোলপেটুয়া নদীর জোয়ারের পানি কিছুটা (১ফুট) বৃদ্ধি পাওয়ায় নতুন করে বেড়েছে বানভাসিদের দুর্ভোগ।

সোহাগ মাল্টিমিডিয়া এন্ড ট্র্যাভেলস

 

 সেনাবাহিনী, পানি উন্নয়ন বোর্ড, জেলা প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের সমন্বয়ে বাঁধ মেরামতের কাজ দ্রুত শেষ করা হবে বলে জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

 

এদিকে,আশাশুনি উপজেলা প্রতাপনগর ইউনিয়নের বাসিন্দা আব্দুল বারি জানান,নদীর পানি বৃদ্ধি ও ভারী বর্ষনের ফলে আবারও তারা উদ্বেগ আর উৎকণ্ঠায় রয়েছেন। ঘূর্ণিঝড় আম্পানের পর থেকে টানা তিন মাসের অধিক সময় ধরে পানি বন্দী থাকায় বিপন্ন হয়ে পড়েছে উপকুলীয় এলাকার লক্ষাধিক মানুষ।

 

বিশেষ করে আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর, শ্রীউলা ও আশাশুনি সদর (আংশিক) এবং শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা (আংশিক) ইউনিয়নের অর্ধশতাধিক গ্রাম এখনও প্লাবিত। দেখা দিয়েছে তাদের মানবিক বিপর্যয়। ভেসে গেছে হাজার হাজার বিঘা মৎস্য ঘের ও ফসলি জমি। ধ্বসে পড়েছে শত শত কাঁচাঘর বাড়ি।

 

স্থানীয় স্বাস্থ্য সহকারি সারাবান তুহুরা (উষা) জানান,প্লাবিত অঞ্চলে পয়ঃ নিষ্কাশন ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। গবাদি পশু ও সাপ পোকামাকড় মারা গিয়ে পানি দূষিত হয়ে পড়েছে। আর দূষণের কবলে পড়েছেন পানিবন্দিদের পরিবেশ। দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানির সংকট।

 

ইতিমধ্যে সরকারি ত্রাণ সহায়তা কেউ কেউ পেয়েছেন। আর যারা পাননি তারা যাতে পান সে জন্য অবেদন জানিয়েছেন।

 

যদিও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ক্ষতিগ্রস্তদের পর্যাপ্ত সরকারি ত্রাণ সহায়তা দেয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যে ২৯৫ মেট্রিকটন চাউল ও ২ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। 

 

সাতক্ষীরা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জুলফিকার আলী রিপন জানান, লঘুচাপের প্রভাবে ভারী বর্ষন শুরু হয়েছে। আজ সকাল থেকে দুপুর ১২ টা পর্যন্ত ১০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

 

সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ড-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী সুধাংশ কুমার সরকার জানান, কয়েকটি স্থানে রিংবাধ দিয়ে পানিবন্ধ করা হয়েছে। তবে বেঁড়িবাধ সংস্কার কাজ অব্যহত রয়েছে। বেশকিছু এলাকায় বেঁড়িবাধ ভেঙে এতই গভীর হয়েছে যে সেখানে এখন বেঁড়িবাধ সংস্কার করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে।

 

নির্বাহী প্রকৌশলী সুধাংশ কুমার সরকার আরও জানান,সরকার ইতি মধ্যে টেকসই বেড়িবাঁধের পরিকল্পনা গ্রহন করা হয়েছে। খুব শীঘ্রই এর সুফল ভোগ করবে উপকূলীয় এলাকার মানুষ।


আপনার মতামত লিখুন :

নিজস্ব প্রতিবেদক। তালা, সাতক্ষীরা