রাজগঞ্জে নিত্যপণ্যের দর ঊর্ধ্বমুখি: প্রশাসনের নজরদারী নেই

প্রকাশিত: ৪:৫৪ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ২৩, ২০২০ | আপডেট: ৪:৫৪:অপরাহ্ণ, এপ্রিল ২৩, ২০২০

যশোরের রাজগঞ্জে ফের বাড়ছে নিত্যপণ্যের দাম। বিশেষ করে আলু, পেঁয়াজ, রসুন, আদা ও শুকনো মরিচের দাম বেড়েছে অস্বাভাবিকভাবে। লকডাউনের কারণে পরিবহন খরচ বেশি এবং সরবরাহ কমের কথা বলে ব্যবসায়ীরা ইচ্ছেমতো দাম হাঁকাচ্ছেন। যে যেমন পারছেন লুফে নিচ্ছেন মুনাফা। বাজার নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনের তেমন কোনো তৎপরতাও চোখে পড়ছে না। ফলে দিশেহারা হয়ে পড়ছেন ঘরবন্দি কর্মহীন মানুষ। 

সোহাগ মাল্টিমিডিয়া এন্ড ট্র্যাভেলস

বৃহস্পতিবার (২৩ এপ্রিল) রাজগঞ্জ বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিকেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫৫ টাকায়। রসুন প্রতিকেজি ১৪০ টাকা, আলু ২৫ টাকা, দেশি আদা প্রতি কেজি ৫০০ টাকা। শুকনো মরিচের দামও বেড়ে হয়েছে ৫৫০ টাকা। ব্যবসায়ীরা বলছেন, গত একসপ্তাহ ধরে এসব পণ্য তাদেরকে ক্রমাগত বেশি দামে কিনতে হচ্ছে।
কথা হয় ক্রেতা স্কুল শিক্ষক মো.ফারুক হোসেনের সাথে। তিনি বলেন, এক সপ্তাহ আগে পেঁয়াজ কিনেছি ৩৫ টাকা কেজি। এখন তা ৫৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। রসুন ৬৫ টাকার স্থলে ১৪০ টাকায় গিয়ে ঠেকেছে।

রাজগঞ্জ বাজারের এক খুচরা ব্যবসায়ী তুলনামূলক বেশি দামে নিত্যপণ্য বিক্রি হচ্ছে বলে স্বীকার করেন। তিনি বলেন, চলতি লকডাউনের কারণ দেখিয়ে পাইকারি বাজারে জিনিসের দাম বেশি। তাই আমরাও বেশি দামে বিক্রি করছি। ১৫ দিন আগে শুকনো মরিচের কেজি ছিল ২২০ টাকা। এখন তা ৫৫০ টাকায় কিনতে হচ্ছে। 
রাজগঞ্জ বাজারের এক ব্যবসায়ী বলেন, চলতি লকডাউনের কারণে পরিবহন খরচ বেড়েছে। তারপরেও মালের ঘাটতি রয়েছে। চাইলেই পণ্য পাওয়া যাচ্ছে না। এদিকে ক্রেতাদের ভিন্ন মত, তারা বলছেন, ব্যবসায়ীরা বাজারে সংকট সৃষ্টি করে দাম বেশি নেচ্ছে। ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট আছে, সেই সিন্ডিকেট সব পরিচালনা করেন।  

 
 

আপনার মতামত লিখুন :

উত্তম চক্রবর্তী। নিজস্ব প্রতিবেদক। মণিরামপুর, যশোর