মণিরামপুরে দুই মাসে মাত্র ৪ মেট্রিক টন সরকারিভাবে ধান ক্রয় প্রকাশিত: ৭:৪৫ অপরাহ্ণ, জুলাই ২, ২০২০ | আপডেট: ৭:৪৫:অপরাহ্ণ, জুলাই ২, ২০২০ বাজার মূল্যে খুব বেশি ব্যবধান না থাকলেও মণিরামপুর উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তাদের ধান দিচ্ছেন না মণিরামপুরের চাষিরা। একই অবস্থা চাল ক্রয় কেন্দ্রেও। ফলে হতাশ হয়ে পড়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা। জানা যায়, গত বুধবার পর্যন্ত সরকারি ভাবে ধান ক্রয় করা হয়েছে মাত্র ৪ মেট্রিক টন। সরকারি ভাবে ৪ হাজার মেট্রিক টন ধান ক্রয়ের সিন্ধান্ত থাকলেও গত দুই মাসে মাত্র ৪ মেট্রিক টন ধান কেনা সম্ভব হয়েছে। উপজেলা ভারপ্রাপ্ত খাদ্য কর্মকর্তা মো. সেলিম হোসেন জানান, কোনো চাষি ধান দিচ্ছেন না অফিসে। ফলে ধান ক্রয় করতে নাকাল অবস্থা চলছে। শেষ পর্যন্ত না হয় উপজেলার তালিকাভূক্ত চাষিদের বাড়ি যেতে হবে ধান কিনতে। খবর নিয়ে জানা যায়, খোলা বাজারে চলতি সময় প্রতি মণ ধান বিক্রি হচ্ছে ৯৫০ থেকে ১১৫০ টাকায়। সরকারি ভাবে নেওয়া হচ্ছে ২৬ টাকা কেজি দরে। তাও আবার গ্রেডিং করে ধান দিতে হবে। এরপর গ্রাম থেকে অফিসে ধান আনতে রয়েছে মোটা অংকের পরিবহণ খরচ। এসব বিবেচনা করেই ঝাঁমেলা এড়াতে চাষিরা ধান দিচ্ছেন না সরকারি অফিসে। একই অবস্থা চাল ক্রয়ের ক্ষেত্রেও সরকার প্রতি কেজি চালের মূল্য ৩৬ টাকা দর দেওয়ায় চাল দিচ্ছেন না মিলাররা। গত দুই মাসে ৬৯.৭৫০ মেট্রিক টন চাল ক্রয় করা সম্ভব হয়েছে। মিলাররা ধার্যকৃত চাল না দেওয়ায় ৪৪ মিলারকে শোকজ করেছে জেলা খাদ্য কর্মকর্তা অফিস। ভারপ্রাপ্ত খাদ্য কর্মকর্তা আরো জানিয়েছেন, মিলাররা চাল না দিলে ভবিষ্যতে তারা ব্যবসায় ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। সংবাদটি ৪৯৮ বার পড়া হয়েছে আপনার মতামত লিখুন : আরও পড়ুন মণিরামপুরে নিয়ন্ত্রণহীন কাভার্ড ভ্যানের ধাক্কায় পিতা-পুত্র, দাদা-নাতিসহ ৫জন নিহত শোককে শক্তিতে রুপান্তরিত করে দেশকে এগিয়ে নিতে হবে: প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য