পাটকেলঘাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টির ক্লাশ রুমে থৈ থৈ পানি

প্রকাশিত: ৮:৪৬ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১৮, ২০১৯ | আপডেট: ৮:৪৬:অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১৮, ২০১৯

ডেক্স রিপোর্ট:
পাটকেলঘাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি উপজেলার শ্রেষ্ঠ মডেল বিদ্যাপিঠ হওয়া সত্বেও নিদারুণ কষ্টে নিমজ্জিত বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীবৃন্দ। বৃষ্টির পানিতে প্রতিষ্ঠানের অফিস সহ ক্লাশরুম গুলো পানিতে থৈ থৈ করছে। বর্তমানে ক্লাসরুম গুলো পানিতে নিমজ্জিত থাকায় বারান্দায় চলছে কোমলমতি শিশুদের পাঠদান। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, প্রচন্ড রোদে কোমলমতি শিশুরা বারান্দায় অতি কষ্ঠে তাদের পাঠদান চালাচ্ছে। পাটকেলঘাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি ১৯৭২ সালে মিনা স্কুল নামে প্রতিষ্ঠিত হয়ে ২০১৩ সালে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের স্বীকৃতি পায়।

সোহাগ মাল্টিমিডিয়া এন্ড ট্র্যাভেলস

তৎপূর্বে ১৯৯৫ সালে এই স্কুলে তিন রুম বিশিষ্ট একটি এক তলা ভবন নির্মান করে কোন রকমে পাঠদান চালিয়ে আসছিল। এ অবস্থায় এ মাসের ভারি বর্ষনে উক্ত বিদ্যালয়ের দুটি ক্লাস রুম ও একটি অফিস রুম পানিতে নিমর্জিত হওয়ায় শিক্ষকবৃন্দ খুবই কষ্ঠে শিক্ষার্থীদের বারান্দায় পাঠদান দিচ্ছে। বিদ্যালয়ের চারপাশ ঘুরে দেখা যায় বিদ্যালয়ের কর্ণারে শৌচাগার এর পার্শ্বে বেঞ্চ পাতিয়ে রৌদ্রের ভিতর শিক্ষকগণ কোমলমতি শিশুদের ক্লাস নিচ্ছেন। তালা উপজেলায় এ স্কুলটি রেজাল্ট এর দিক দিয়ে প্রথম স্থান অধিকার করে। বর্তমানে এ বিদ্যালয়ে ৩৩৩ জন শিক্ষার্থী ও ৫ জন শিক্ষক আছে। শিক্ষার্থীর আনুপাতিক হারে এ বিদ্যালয়ে আরও ৩টি শিক্ষকের ঘাটতি আছে। গত সপ্তাহে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেছিলেন, সারাদেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের যেখানে শিক্ষক কম সেখানে সমন্বয় করা হবে।

তাই এই বিদ্যালয়ের করুন দশা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা বন্ধনা চন্দ জানান, গত দেড় মাস ধরে পানির মধ্যে ক্লাশ চালানোর ফলে অনেক শিক্ষার্থীরা জ্বর সহ নানান রোগে আক্রান্ত হয়েছে। অনেকেই স্কুলে আসা ছেড়ে দিয়েছে। এই বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী অহনা, কনিষ্ঠা সাহা ও ছাত্র সাকিবুল হাসান তাদের সমস্যার কথা সম্পূর্ণ ইংরেজিতে ব্যক্ত করে। যে বিদ্যালয়ের শিক্ষার মান এত উন্নত সে বিদ্যালয়ের দিকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ একান্ত নজরদারি রাখবেন এটাই তাদের প্রত্যাশা। বিদ্যালয়ের পড়া শুনার কথা বলতে গিয়ে বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো: অলিউল ইসলাম বলেন, এই স্কুলের সকল শিক্ষকরা কোমলমতি শিশুদের পাঠদান দিতে খুবই আন্তরিক এবং যাতে শিক্ষার্থীরা ভালো রেজাল্ট করে সে উদ্দেশ্যে স্বেচ্ছা শ্রমে স্কুলে সান্ধ্যাকালীন পাঠদানের ব্যবস্থা চালু রেখেছেন। তিনি আরো বলেন, ২০১৯ সালে ৫২ জন পরীক্ষার্থী সমাপনী পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করে ১৫ জন এ প্লাস, ৯ জন ট্যালেন্টপুলে ও ১ জন সাধারণ গ্রেডে বৃত্তি পেয়েছে।

এ অবস্থা দীর্ঘদিন চলতে থাকলে আমাদের শত চেষ্টা সত্ত্বেও হয়তো বা ভালো ফলাফলের ধারাবাহিকতা ব্যর্থ হতে পারে। তাই বিদ্যালয়টিতে দ্রুত বহুতল ভবন নির্মাণ করে বিদ্যালয়ের এ আশু সমস্যা সমাধান করার জন্য সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের কাছে এতদ্বাঞ্চলের গন্যমান্য ব্যক্তিসহ প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ দাবি জানান।

 

 

সুন্দরবনটাইমস.কম/নাজমুল হক খান/পাটকেলঘাটা/সাতক্ষীরা

 


আপনার মতামত লিখুন :

নিজস্ব প্রতিবেদক