তালায় অসহায় পরিবারকে উচ্ছেদ করতে বসত-বাড়িতে হামলা

প্রকাশিত: ৯:৩৩ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২০, ২০১৯ | আপডেট: ৯:৩৩:অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২০, ২০১৯

নিজস্ব প্রতিবেদক, তালা:
অসুস্থ্য চাচার কাছ থেকে জমি কিনতে টাকা দিয়ে জমি বুঝে পেলেও রেজিট্রি হয়নি গত ২৭ বছরেও। অত:পর ২৭ বছর যাবৎ বসত ঘর নির্মাণপূর্বক বিভিন্ন প্রজাতির গাছ-পালা লাগিয়ে ভোগদখলে থাকাবস্থায় বহিরাগতরা তাদেরকে বসত-বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করতে হামলা চালিয়ে বাড়ি-ঘর ভাংচুর,মারপিট ও গাছপালা কর্তন করে তছরুপ করেছেন বলে সাতক্ষীরা বিজ্ঞ আমলী ০৩ নং আদালতে একটি মামলা করেছেন।

সোহাগ মাল্টিমিডিয়া এন্ড ট্র্যাভেলস

মামলায় তিনি অভিযোগে করেছেন যে,হামলাকারীরা নাকি ঐ বসত-বাড়ির জায়গা রেজিস্ট্রি করে নিয়েছেন। মামলার বিবরণে প্রকাশ,সাতক্ষীরার তালা উপজেলার মাগুরা ইউনিয়নের বালিয়াদহ গ্রামের মোজাফ্ফর বিশ্বাসের স্ত্রী জাহানারা খাতুন প্রায় ২৭ বছর পূর্বে বসত-বাড়ির জন্য ৮ শতাংশ জমি কিনতে তার চাচা মৃত হাজের শেখেষ্ফর ছেলে শহর আলী শেখ কে তৎকালীণ ১২ হাজার টাকা বুঝে দেন।

অসুস্থ্য চাচা শহর আলী জাহানারার কাছ থেকে ঐ টাকা নিয়ে নিয়ে চিকিৎসা নিতে ভারতে যান। এরপর সেখান থেকে চিকিৎসা নিয়ে ফিরে আসার ২ দিনের মধ্যে তার মৃত্যু হয়। তবে টাকা নিয়ে জমি রেজিস্ট্রি করে দিতে না পারলেও মৃত্যুর পর চাচাতো ভাইয়েরা তার চুক্তি অনুযায়ী ৮ শতাংশ জমি মেপে তার দখল বুঝিয়ে দেন। এরপর জাহানারা ঐ জমিতে বসত-বাড়ি নির্মাণ পূর্বক সেখানে স্বামীসহ সন্তানদের নিয়ে গাছ-পালা লাগিয়ে ভোগ দখলে রয়েছেন।

এমন অবস্থায় গত ১৩ সেপ্টেম্বর বেলা ১১/১২ টার দিকে একই ইউনিয়নের রঘুনাথপুর গ্রামের মৃত জোশো বিশ্বাসের ৩ ছেলে মো: রাকিব বিশ্বাস, জাহিদ বিশ্বাস ও হযরত বিশ্বাস,মৃত ওসমান বিশ্বাসের ছেলে ইব্রাহিম বিশ্বাস,মৃত ইনছার বিশ্বাসের ছেলে খায়রুল বিশ্বাস,চাদকাঠির জবেদ বিশ্বাসের ছেলে শাহিনসহ অজ্ঞাত নামা মুখোশধারী আরো ১০/১২ জন সংঘবদ্ধ হয়ে ঐ বাড়িতে আকষ্মিক হামলা চালায়। তাদের দাবি, ঐ বাড়ির সমুদয় সম্পত্তি তারা খরিদা সূত্রে মালিক। এসময় তারা তাদের উচ্ছেদ করতে প্রথমে রান্না ও গোয়াল ঘর ভাংচুর করে অন্তত ৫০ হাজার টাকার ক্ষতিসাধন করে। এরপর তারা বাঁধা দিতে গেলে হামলাকারীরা জাহানারা খাতুনের স্বামী মোজাফ্ফরকে বেধড়ক মারপিট করে আহত করে। এছাড়া এসময় তারা বাড়িতে লাগানো বিভিন্ন প্রজাতির অসংখ্য চারা গাছ কেটে তছরুপ করে।
এসময় তাদের আতœচিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসতে থাকলে হামলাকারীরা ২ টি দা ও ২ টি কুড়াল ফেলে দ্রুত অবস্থান ত্যাগ করে।

স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে পার্শ্ববর্তী গ্রাম্য ডাক্তারের কাছে নিয়ে যায়। এঘটনায় থানায় মামলা করতে গিয়েও সেখানে প্রশ্রয় পাননি বলে মামলায় অভিযোগ করেছেন,জাহানারা।

এব্যাপারে জাহানারা ও তার অসহায় পরিবার তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহনের জন্য প্রশাসনের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

 

 

 

সুন্দরবনটাইমস.কম/সেলিম হায়দার/তালা


আপনার মতামত লিখুন :

নিজস্ব প্রতিবেদক