চুকনগর বাজারের সরকারী জমি প্রভাবশালীদের দখলে

প্রকাশিত: ৬:৪৩ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২, ২০১৯ | আপডেট: ৬:৪৪:অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২, ২০১৯

নিজস্ব প্রতিবেদক, চুকনগর(খুলনা):
খুলনার চুকনগর বাজারের সরকারী জমি এখন প্রভাবশালীদের দখলে । একের পর এক আলিশান ভবন গড়ে তোলা হলেও সংঙ্গত কারণে কর্তৃপক্ষ নিরব রয়েছে।
জানা যায় সরকারী পেরিফেরী যে জমি রয়েছে এর অধিকাংশ জমি নিজেদের ব্যবসা করার কথা বলে সরকারীভাবে বন্দোবস্ত নিয়ে নিজেরা ব্যবসা না করে দোকান গুলোকে লক্ষ লক্ষ টাকা জামানত নিয়ে মাসিক হিসাবে ভাড়া দিচ্ছে। যার ফল শ্রুতিতে একদিকে যেমন লাভবান হচ্ছে অবৈধভাবে দখলে নেয়া প্রভাবশালীরা। অন্যদিকে বঞ্চিত হচ্ছে ক্ষুদ্র ব্যাবসায়ীরা। সাথে সাথে ঐসব জায়গা গুলোতে তৈরি করেছে অট্টালিকা। যদিও বন্দোবস্ত দেওয়ার শর্তে পাকা বিল্ডিং করার কোন নিয়ম নেই। এছাড়া একটি পরিবারের জন্য অর্ধশতক জমি বন্দোবস্ত দেওয়ার বিধান থাকলেও সেখানে একই পরিবারের সকল সদস্যদের নামে বন্দোবন্ত হয়েছে। এমনকি এমনও দেখা গেছে ভাই ভাইপো ভাইজি সহ অনেকের নামে বন্দোবস্ত করে রেখেছে। যেখানে শুধুমাত্র যারা ব্যবসা করবে তাদের নামে বন্দোবস্ত দেওয়ার কথা। এ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে সাধারন ব্যবসায়ী সহ জনসাধারনের মনে।
আরও জানা যায়, যে যখন ক্ষমতা পেয়েছে। সে তখন শুধু নিজের নামে নয় পরিবারের সকল সদস্যদের নামে এমনকি মেয়ে ও স্ত্রীর নামেও বন্দোবস্ত করে নিয়েছে এই সকল প্রভাবশালী ব্যক্তিরা। আর একাজে সহযোগিতা করেছে কিছু অসাধু কর্মকর্তা কর্মচারী।
তথ্য মতে, চুকনগর বাজারের বন্দোবস্ত দেওয়ার মত মোট জমি রয়েছে (খাস ও চরভরাট) ৪.৪১ একর, এরমধ্যে থেকে দখলে নিতে বাকি রয়েছে মাত্র ০.০২ একর বা ২ শতাংশ (পুকুর), আর বাকি জমি এখন প্রভাবশালীদের দখলে চলে গেছে। নাম প্রকাশ না করা শর্তে ভূমি অফিসের একজন কর্মচারী বলেন জমি বন্দোবস্ত দেওয়ার সকল কাজই করেন। আমাদের উর্দ্ধোতন কর্মকর্তারা আর সরকারী বন্দোবস্তকৃত জমিতে যখন ছাদের বিল্ডিং করে তখন আমরা উর্দ্ধোতন কর্তৃপক্ষকে তারা গুরুত্ব দেয় না।
এ প্রসঙ্গে চুকনগর অফিসে কর্মরত সহকারী ভূমি অফিসার আলী আহম্মেদ জানান, অবৈধ দখলে কে কে আছে সে ব্যাপারে তিনি কিছুই জানেন না। এমন কি ছাদের বিল্ডিং করার ব্যাপারে কোন পদক্ষেপ নেননি। অথচ (অবৈধ ভাবে দখলকৃত পেরিফেরীর জায়গা গুলো ভূমি অফিসের নাকের ডোগায়)। স্থানীয় ইউ পি চেয়ারম্যান প্রতাপ কুমার রায় বলেন, ব্যবসা না করা ব্যক্তিরা ব্যবসায়ী হিসাবে জায়গা গুলোকে নথিভুক্ত করার জন্য আমার কাছে ট্রেড লাইসেন্সের জন্য আসলে আনুমানিক ৩৬৫ জনকে লাইসেন্স দেয়নি। কারন প্রকৃত ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা এই জায়গা গুলো বন্দোবস্ত নিয়ে ব্যবসা করুন এটাই আমার দাবি। পরবর্তীতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিষ্ট্রেট মোছাঃ শাহনাজ বেগম বলেন, এব্যাপারে আমি অভিযোগ পেয়েছি। বিধি মোতাবেক তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

সোহাগ মাল্টিমিডিয়া এন্ড ট্র্যাভেলস

 

 

 

 

সুন্দরবনটাইমস.কম/গাজী আব্দুল কুদ্দুস/চুকনগর


আপনার মতামত লিখুন :

নিজস্ব প্রতিবেদক