চুকনগরে মাদ্রাসা অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ প্রকাশিত: ৯:৩২ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ১৩, ২০২০ | আপডেট: ৯:৩২:অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ১৩, ২০২০ চুকনগরে নুরানিয়া ইসলামীয়া ফাজিল (ডিগ্রী) মাদ্রাসা। চুকনগরে নুরানিয়া ইসলামীয়া ফাজিল (ডিগ্রী) মাদ্রাসার উপাধ্যক্ষ বর্তমানে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে বিতর্কিত সার্টিফিকেট ও রেজুলেশনের মাধ্যমে আরবি প্রভাষক পদে চাকুরী শুরু এবং পরবর্তীতে সহকারী অধ্যাপকের বেতন নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এঘটনায় ডুমুরিয়া উপজেলার নুরনিয়া গ্রামের নূরুল ইসলাম গাজীর পুত্র বিলাল হোসেন গাজী উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। প্রাপ্ত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ০১/০১/১৯৮৯ ইং তারিখে কেশবপুর উপজেলার আগরহাটি গ্রামের মৃত জায়েদ আলী মোল্যার পুত্র মোঃ রহমাতুল্যাহ এবিজিকে (ভরত ভায়না) ফাজিল মাদ্রাসায় চাকুরীতে যোগদান করে যথাক্রমে জুনিয়র মৌলভী ও সহকারী মৌলভী পদে দায়িত্ব পালন করেন। যার ইনডেক্র নং-৩৫৭৭২০ এবং গত ৩০/০৬/১৯৯৬ ইং তারিখে পদত্যাগ করেন। উল্লেখ্য যে, চাকুরীরত অবস্থায় তিনি ১৯৯২সালে রেগুলার কামিল পরীক্ষায় ২য় বিভাগে উত্তীর্ণ হন। কামিল সনদ দিয়ে উচ্চ পদে চাকুরীর বৈধতা না পেয়ে পদত্যাগের পূর্বেই খুলনা জেলার ডুমুরিয়া উপজেলাধীন চুকনগর নুরানিয়া ইসলামিয়া ফাজিল ডিগ্রী মাদ্রাসায় ০১/১১/১৯৯৪ইং তারিখে উপাধ্যক্ষ পদে যোগদান করেন। ১৯৯৫সালে জনবলে উপাধ্যক্ষ পদটি না থাকায় ১৯৯৮সালে মিনিষ্ট্রী অডিট কর্মকর্তাকে ব্রিাট অংকের টাকার বিনিময়ে রেজুলেশন ও ঘষামাজা বিভিন্ন কর্মকর্তাদের স্বাক্ষর জাল করে রেহায় পায়। পরবর্তীতে আরবি প্রভাষক পদে নিয়োগ বোর্ড না করে একই রেজুলেশন দেখিয়ে ০১/০৬/২০০১্ইং তারিখে তিনি আরবি প্রভাষক পদে এমপিও ভুক্ত হন। যার ইনডেক্র নং- ৬৮০৬৫৬। মাদ্রাসাটি ফাজিল অধিভুক্ত না হওয়ার সত্ত্বেও তখনকার অধ্যক্ষকে বিরাট অংকের টাকা দিয়ে গোপনে নিয়োগ বোর্ডের মাধ্যমে ফাজিল শাখার উপাধ্যক্ষ পদে নিয়োগ নিয়ে দুটি পদ দখল করে থাকেন। বিষয়টি ১০/১১/২০১৫ইং তারিখে দৈনিক জনসংলাপ পত্রিকায় আসে। তখন পত্রিকার সম্পাদককে বিরাট অংকের টাকা থামিয়ে রাখেন। আবার তিনি উপাধ্যক্ষ থেকে ডিমোশনে এসে নিজেকে আরবি প্রভাষক দেখিয়ে ৫:২ রেশিও হিসাবে সহকারী অধ্যাপক হিসাবে ০১/০১/২০১৯ইং তারিখ থেকে ৩৫হাজার ৫শ টাকার স্কেল নেয়। অভিযুক্ত মোঃ রহমাতুল্লাহ অত্র মাদ্রাসার বর্তমান অধ্যক্ষ(ভারপ্রাপ্ত) হয়ে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি এসএম নুর আলীর স্বাক্ষর জাল করে বিভিন্ন সৃষ্ট পদে নিয়োগ বানিজ্য করতে মাঠে নেমেছে। এছাড়া প্রতিষ্ঠানের স্বীকৃতি না থাকায় সভাপতির স্বাক্ষর জাল করে গঠিত নিয়োগ বোর্ডের ডিজি প্রতিনিধি গ্রহনের বিষয়ে অবহিতকরণ প্রসঙ্গে আরেকটি অভিযোগও দায়ের করা হয়েছে। এব্যাপারে অধ্যক্ষ রহমাতুল্যাহ তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করেন। ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি এসএম নুর আলী তার স্বাক্ষর জাল করার বিষয়টি স্বীকার করেন। উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান গাজী এজাজ আহম্মেদ, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আব্দুল ওয়াদুদ ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ফিরোজ আহম্মেদ বলেন, বিষয়টি তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। সংবাদটি ৭০১ বার পড়া হয়েছে আপনার মতামত লিখুন : আরও পড়ুন চুকনগরে চিংড়িতে অপদ্রব্য পুশ করায় ভ্রাম্যমান আদালতে জরিমানা চুকনগরে ইঞ্জিন ভ্যান চালাতে গিয়ে ৬ বছরের শিশুর করুন মৃত্যু