কলারোয়ায় ফোর মার্ডারের ঘটনায় এক জনকে গ্রেপ্তার করেছে সিআইডি প্রকাশিত: ৭:০২ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১৬, ২০২০ | আপডেট: ৭:০২:অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১৬, ২০২০ সাতক্ষীরার কলারোয়ায় একই পরিবারের চারজনকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃত রায়হানুল। সাতক্ষীরার কলারোয়ায় ফোর মার্ডারের ঘটনায় রায়হানুল ইসলাম নামে এক জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। রায়হানুল ইসলাম নিহত শাহিনুর রহমানের ছোট ভাই। শুক্রবার (১৬ অক্টোবর) দুপুরে সাতক্ষীরার সিআইডি বিশেষ পুলিশ সুপার আনিচুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেন। এসপি জানান, রায়হানুল ইসলামকে সাতক্ষীরা চিফ জুডিশিয়াল আদালতের মাধ্যেমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৫ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৯টায় নিহত শাহীনুর রহমানের শাশুড়ি ময়না খাতুন বাদী হয়ে কলারোয়া থানায় অজ্ঞাত আসামি করে একটি হত্যা মামলাটি দায়ের করা হয়। কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (চলতি দায়িত্বে) হারান চন্দ্র পাল জানান, এ ঘটনায় একজনকে নজর বন্দিতে রেখেছে পুলিশ। মামলা দায়ের পর শুক্রবার সকালে পুলিশ মামলাটি পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডিতে হস্তান্তর করা হয়েছে। সাতক্ষীরার পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) বিশেষ পুলিশ সুপার আনিচুর রহমান জানান, সকালে মামলাটি গ্রহন করে তদন্ত কাজ শুরু করা হয়েছে। গ্রেফতারের আগে নিহত শাহিনুরের ভাই রায়হানুল বর্তমানে সিআইডি পুলিশের হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিআইডি পরিদর্শক আকতার হোসেন। বৃহস্পতিবার ভোররাতে কলারোয়া উপজেলা হেলাতলা ইউনিয়নের খলশী গ্রামে লোমহর্ষক এ ঘটনা ঘটে। এলাকাবাসির দেওয়া তথ্যমতে পুলিশ তাদের ঘর থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল মগে পাঠানো হয়। ময়না তদন্ত শেষে রাতেই নিকটস্থ ব্রজবাকসা গ্রামে শাহিনুরের মামা আবদুল কাদেরের পারিবারিক গোরস্থানে তাদের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। নিহতরা হলেন, খলসি গ্রামের শাহাজান আলীর ছেলে মৎস্য হ্যাচারী মালিক মো. শাহীনুর রহমান (৩৯), তার স্ত্রী সাবিনা খাতুন (৩৩), ছেলে সিয়াম হোসেন মাহী (১০) এবং মেয়ে তাসলিম সুলতানা (৮)। এসময় হত্যাকারীরা ওই পরিবারের পাঁচ মাসের শিশু মারিয়াকে হত্যা না করে ফেলে রেখে যায়। অপরদিকে, এ হত্যাকান্ডের পর থেকে ঘটনাস্থল ওই বাড়িতে এখনো কৌতুহলী মানুষের ভিড় কমেনি। সাতক্ষীরা-যশোর সড়কের ধারে পুরো বাড়ি ও পাড়াজুড়ে থমথমে ভাব বিরাজ করছে। নারকীয় হত্যাকান্ডের মধ্যে ঘাতকদের হাত থেকে বেঁচে যাওয়া চারমাসের শিশু মারিয়া সুলতানার দায়িত্বভার নিয়েছেন সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক এস.এম মোস্তফা কামাল। তিনি ওই শিশুর চিকিৎসা ও বেড়ে ওঠার সব ব্যয়ভার বহন করবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন। শিশুটি বর্তমানে হেলাতলা ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত মহিলা ইউপি সদস্য নাসিমা খাতুনের হেফাজতে রয়েছে। তবে ঘটনার দিন নিহত শাহীনুর রহমানের ছোট ভাই রায়হানুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, প্রায় কোটি টাকা মূল্যের সাড়ে ১৬ শতক জমি নিয়ে নিকট প্রতিবেশী ওয়াজেদ কারিগরের ছেলে আকবর কারিগরের সাথে ২২ বছর ধরে মামলা চলে আসাছে। এই জমির বিরোধের জের ধরে এই হত্যাকা- ঘটে থাকতে পারে বলে তার ধারনা। এসজি/ডেক্স সংবাদটি ১৩০৫ বার পড়া হয়েছে আপনার মতামত লিখুন : আরও পড়ুন কলারোয়া সীমান্ত থেকে ৫ বাংলাদেশী নাগরিক আটক কাকডাঙ্গা সীমান্তে আটক ৪