কপিলমুনিতে নিজস্ব প্রযুক্তি দিয়ে ক্ষেতের ইঁদুর ধরছেন কৃষক লিয়াকত

প্রকাশিত: ৯:৩১ অপরাহ্ণ, মার্চ ৯, ২০২০ | আপডেট: ৯:৩১:অপরাহ্ণ, মার্চ ৯, ২০২০

নিজস্ব প্রতিবেদক, কপিলমুনি(খুলনা):
কপিলমুনির সলুয়ার বিলে ইঁদুরের উৎপাতে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন স্থানীয় কৃষকরা। ধান, মাছ, কাঁকড়াসহ নানা ফসলের ব্যাপক ক্ষতি করছে এই ইদুর। একদিকে নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগ আর অন্য দিকে ইদুরের দৌরাতেœ কৃষকরা ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখিন হয়েছেন।

সোহাগ মাল্টিমিডিয়া এন্ড ট্র্যাভেলস

মাঠের পর মাঠ নানা শষ্য তছরুপ করছে ইদুর। শুধু শষ্য নয় মৎস্য ঘেরের মাছ ও কাঁকড়া ধরে খাচ্ছে এসব বাঘা বাঘা মেটে জাতের ইদুর। আর এসব ইদুরের হাত থেকে কৃষকদের রক্ষা করতে ইদুরের বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষনা করেছেন স্থানীয় শ্রীরামপুর গ্রামের কৃষক লিয়াকত সেখ। তিনি নিজস্ব প্রযুক্তিতে তারের ফাঁদ তৈরী করে বিলের ইদুর ধরা শুরু করেছেন। গত দশ দিনে তিনি ৫০ টির বেশী ইদুর দরে কৃষকদের বাহবা কুড়িয়েছেন। সলুয়ার বিলে ইদুরের উৎপাত নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত ইদুরের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যাবেন বলে তিনি গ্রামের কাগজকে জানান। তিনি জানান, নিজের প্রযুক্তিতে লোহার তারের ফাঁদ তৈরী করে তার ভিতরে শুকনা নারিকেল দিয়ে বিশেষ খাবার তৈরী করে ফসলের ক্ষেতের মধ্যে বা মৎস্য ঘেরের রিং ফাড়িতে রাতে ঐ ফাদ পেতে রাখি। সকালে গিয়ে দেখা যায় বড় বড় ইদুর ধরা পড়েছে সেই ফাদে। তিনি বলেন, ‘প্রতিটি ইদুর সাত ‘শ গ্রাম থেকে নয় ‘শ গ্রাম ওজনের। স্থানীয় কৃষি বিভাগ আমাকে সহযোগীতা করলে শুধু সলুয়ার বিল নয় অন্যান্য মাঠ থেকে ইদুরের উৎপাত রোধ করা সম্ভব।’

স্থানীয় কৃষক মুজিবর রহমান বলেন, ‘আমাদের বিলে হাজার হাজার টাকার ফসল বিনষ্ট করে কৃষকদের ব্যাপক আর্থিক ক্ষতি করছে ইদুর। তবে কৃষক লিয়াকত সেখ নিজ খরচে সেচ্ছায় ইদুর নিধন করে স্থানীয় কৃষকদের কল্যাণে যে কাজ করছেন তা খুবই প্রশংসনীয়। তাকে সরকারী ভাবে এবং আমাদের সহযোগীতা করা উচিৎ। গতকাল যে ইদুরটি তার ফাদে ধরা পড়েছে তার ওজন প্রায় আট ‘শ গ্রাম। ধরা পড়া এ সব ইদুর দেখে অনেকেই প্রথমে ভাবছেন একটা বেজি। কিন্তু ইদুর (মেটে জাত) যে এত বড় বড় হয় তা অনেকেই ভাবতে পারেননি।

সুন্দরবনটাইমস.কম/এইচ এম এ হাশেম

 


আপনার মতামত লিখুন :

নিজস্ব প্রতিবেদক